গড়ম থেকে আমাদের দেহের বিশেষ ক্ষতির প্রভাব পড়ে। একই সাথে আমরা লক্ষ্য করতে পারি যে গড়মে ব্রেনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়, চেহারা কালো করে আরো নানা সমস্যা তৈরি করে। আর এই গড়মের বিশেষ যে সমস্যা তৈরি হয় সেগুলো সমন্ধে আমরা জেনে নিবো এবং আমরা এই অত্যধিক গড়ম থেকে বাচাঁর উপায় সমন্ধেও জেনে নিব।
অত্যধিক গড়মের ফলে কি কি সমস্যা হয়
একেবারে শীত বা একেবারে ঠান্ডা কোনটাই আমাদের জন্য সুবিধা যনক নয়। গড়মের ক্ষেত্রে সাধারন মানুষের সহ্য ক্ষমতার একটি মাত্রা রয়েছে। সাধাররন মানুষের ক্ষেত্রে গড়ম সহ্য করার ক্ষমতা ২২-২৮ পর্যন্ত। তবে অঞ্চলের ভিত্তিতে এটির মাত্রা সামান্য কমতে বা বাড়তে পারে।
এক্ষেত্রে যদি গড়মের মাত্রা অত্যধিক হয়ে যায় তখন সেটি বিশেষ কিছু ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়। অত্যধিক গড়মের ফলে মানুষের যে সকল ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে বা যে সকল সমস্যা তৈরি হতে পারে সেগুলো হলোঃ
- হিট স্ট্রোক
- হিট এক্সহস্টশন
- জলশূন্যতা
- লো ব্লাড প্রেশার
- ঘামাচি ও চর্মরোগ
- রোদে পুড়ে ত্বকে লাল হয়ে যাওয়া
- ত্বকে পেইন বা ব্যাথা তৈরি হওয়া
- বিরক্তিভাব
- ত্বক কালো হয়ে যাওয়া
- চুল পড়ে যাওয়া
- খাবারের রুচি কমে যাওয়া
- শরিরে দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভব করা
এগুলোর প্রতিটি নিয়েই বিস্তারিত ভিন্ন ভিন্ন পোস্টে জানাবো। তাই আমাদের সাথে থাকতে পারেন নতুন নতুন সকল তথ্য পেতে।
অত্যধিক গরম থেকে কিভাবে বাচতে পারবে
গড়ম থেকে বাচঁতে হবে আমাদের। এটি নিজেদের নিরাপত্তা এবং দেহের সুস্থ্যতার জন্য একমাত্র উপায় বলা চলে। তাই অত্যধিক গড়ম থেকে বাচার জন্য আমাদের যা কিছু করতে হবে তা নিচে দেওয়া হলো।
কি কি খাবার খেলে গড়ম থেকে বাঁচা যায়
আমরা কিছু খাবার খাওয়ার মাধ্যমে অত্যধিক গড়ম থেকে স্বস্থি পেতে পারি। তবে শুধু খাবরাই যথেষ্ট নয় আমাদের এই প্রচন্ড গড়ম থেকে বাঁচার জন্য, কিন্তু একাধীক উপায়ে আমরা গড়ম থেকে অনেক পরিমাণে বেচে থাকতে পারি।
- পানিযুক্ত ফল
- শরবত ও পানীয়
- দুধ-দই
- হালকা খাবার
- বিভিন্ন পাতা দ্বারা তৈরি শরবত
এগুলো খাওয়ার সাথে আমাদের কিছু খাবার বর্জন করাও দরকার রয়েছে। যে খাবার গুলো বর্জনীয়ঃ ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত ঝাল বা মশলা যুক্ত খাবার, কোমল পানীয় বা কোকাকোলা, পেপসি ইত্যাদি।
কি কি জিনিস ব্যবহার করলে গরম থেকে বাঁচা যায়
বিশেষ কিছু বস্তু ব্যবহার করার মধ্য়মেও আমরা অত্যধিক গড়ম থেকে আংশিক কমিয়ে স্বস্থি বোধ করতে পারি। যে সকল বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে বা যা যা ব্যবহার করতে পারি তা হলোঃ
- হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতি কাপড়ের পোশাক
- ছাতার ব্যবহার করা
- কালো সানগ্লাস ব্যবহার করা
- ঠান্ডা পানি ভরে মাঝে মাঝে মুখে স্প্রে করা
- বিভিন্ন ঠান্ডা বা কুলার ডিভাইস ব্যবহার করা যেতে পারে
- পা ও মুখে দিনেও ২-৩ বার পানি দেওয়া
যে সকল অভ্যাস পরিবর্তন করে অত্যধিক গড়ম থেকে রক্ষা পাওয়া যায়
যে সকল অভ্যাস পরিবর্তন করার মাধ্যমে আমরা অত্যধিক গড়ম থেকে বাঁচতে পারি সেই অভ্যাসগুলো সমন্ধে বিশেষ ভাবে কিছু তথ্য শেয়ার করা হলো।
ঘরের মধ্যে থাকতে পারেন। বিশেষ কোন প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে যাওয়া বন্ধ করুন। দরজা জানালা দিয়ে রোদ প্রবেশ করতে না পারে এমন ব্যবস্থা নিন। গাছ লাগাতে পারেন। ছাদে ছোট সবুজ গাছের বাগান করতে পারেন। অল্প সময়ের জন্য চাইলে ছাদে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
ঘরে এসি, ফ্যানসহ ইত্যাদি ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে বাজারের ছোট ছোট অল্প দামের কিছু কুলার ডিভাইস পাওয়া যায়, তার মধ্যে যে কোনটি কিনে ব্যবহার করতে পারেন।
ঘন ঘন পানি খেতে পারেন। পানিতে খাবার স্যালাইন, লেবুর রস, বিভিন্ন ফলের রস বা বিভিন্ন শরবত বানানোর দ্রব্যাদি গুলিয়ে খেতে পারেন। এক্ষেত্রে শারিরিক ভাবে ঠান্ডা থাকতে পারবেন। আবার বিশেষ করে রক্তের আদ্রতা কমিয়ে নিবে।
উপসংহার
আমরা নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ের উপরে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আমাদের এই ওয়েবসাইটে শেয়ার করি। এখানে আপনিও ফলো করে আমাদের সাথে থাকতে পারেন। আমাদের ফলো করে রাখলে আপনি নিয়মিত আমাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক সকল পোস্টের নটিফেকেশন পেয়ে যাবেন।