নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার

0
40
নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার
নতুনদের জন্য শেয়ার বাজার

বড় পরিমাণে ইনকামের অন্যতম একটি বিস্বস্থ মাধ্যম হলো শেয়ার বাজার। শেয়ার বাজারকে ইংরেজিতে স্টক মার্কেট বলা হয়। আর এই শোর বাজারকে ব্যবহার করেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনীরা সবসময় কিন্তু শেয়ার মার্কেট মাধ্যমটি ব্যবহার করে তাদের অস্তিত্ব রক্ষা করে।

আজ আমরা বাংলা ভোর ব্লগ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শেয়ার বাজার শেখার প্রাথমিক ধাপগুলো সমন্ধে জানবো।

শেয়ার বাজার কি?

শেয়ার বাজার বলতে এমন একটি মাধ্যমকে বোঝায় যেখান আপনি কিছু টাকা ইনভেস্ট করবেন এবং নিদিষ্ট সময়ের পরে সেটি লাভ অথবা লস হবে।

শেয়ার মার্কেট সমন্ধে যদি আমরা আরো বিস্তরিত বলতে চাই তাহলে, বড় বড় কিছু কোম্পানি তাদের ব্যাবসার জন্য বা কোন একটি প্রোজেক্টের জন্য যখন কাজ করে, তখন তাদের কাছে থাকা টোকার চেয়েও বেশি বাজেটের হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে তারা একটি মাধ্যম ব্যবহার করে, যেখানে তারা তাদের এই প্রোজেক্টের মধ্য়ে অন্যান্য লোকদের কে টাকা ইনভেস্ট করার সুযোগ দিয়ে থাকে।

এবং সাধারন মানুষের থেকে নেওয়া টাকা দিয়ে তারা তাদের প্রোজেক্ট সম্পুর্ন করে থাকে। এর পরেই শুরু হয় আসল খেলাটা। যদি ওই প্রোজেক্ট টি লাভ করতে পারে, তাহলে আপনার টাকাও বাড়তে থাকবে। আর যদি কোন কারনে তারা লস করতে থাকে, তখন আপনার টাকাও লসে যেতে থাকবে। এখন কথা হলো যে একটি কোম্পানি কোটি টাকা খরচ করে কি তারা লসে পড়তে চায়।

এই প্রশ্নের উত্তর হবে না, কেউ ই নিজের লস চায় না। তবে কখনো কখনো তারা কোন একটা কারনে লস করে থাকে। এর পরে যদি এই লস থেকে আবার লস ঠেকিয়ে লাভ করতে পারে, তখন আপনার ও লাভ আসবে।

এখানেই মুলত শেয়ার বাজারের খেলাটা হয়। যখন কোন কোম্পানি একটি প্রোজেক্ট তৈরি করে, তখন শুরুতে সামান্য লাভ করলেও কিছু দিনের মধ্যে একটা বড় শড় লসে পড়তে পারে। কিন্তু যদি আপনি তখন লস দেখে বা সামান্য লাভ দেখেই টাকা বের করে নেন, তাহলে কিন্তু আপনি বিশাল লস করবেন।

এখানে একটা পয়েন্ট করে রাখা দরকার, লং টাইম এবং শর্ট টাইম নামের দুটি উপাদি রয়েছে। এখানে লং টাইম বলতে ৫ বছর ১০ বছর ধরা হয়। এই লম্বা সময়ে যদি আপনি টাকা ইনভেস্ট করে রাখতে পারেন, তাহলে আপনি নিশ্চিত ভাবে থাকতে পারেন, কেননা লং টাইম ইনভেস্ট করলে ধীরে ধীরে আপনার ইনকাম বাড়বেই, মানে কোম্পানি লাভের দিকে যাবেই।

আর ২-৪ মাস বা ২-৪ বছরে সেটি তেমন বেশি লাভে যেতে পারে না, কারন কোম্পানিগুলো লম্বা সময়ের চিন্তা নিয়ে কাজ করে তাই তারা প্রাথমিক ভাবেই ইনকামের চিন্তা না করে সেটি ধীরে ধীরে উন্নতি করতে থাকে। তাই প্রচলিত আছে যে, শেয়ার মার্কেটে কাজ করতে চাইলে লম্বা সময় নিয়ে আসবেন। হুট করে বড়লোক হওয়ার ইচ্ছে থাকলে শেয়ার মার্কেটে আসবেন না।

শেয়ার মার্কেট কিভাবে কাজ করে?

শেয়ার মার্কেটের প্রথম অংশেই এর বেশ কিছু ইনফরমাশন দিয়েছি। তার পরেও এর কাজ নিয়ে আরো ভালো ধারনা দিতে এই অংশটি রাখলাম।

শেয়ার মার্কেট মুলত এক জনের ইনকাম সোর্সের সাথে আপনার টাকা দিবেন, সেখান থেকে যা লাভ হবে তার আপনার টাকার অংশ হিসেব করে আপনাকে লাভের টাকা দেওয়া হবে। আর লসের ক্ষেত্রেও লস আপনার অংশে থাকবে।

বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই এই সিস্টেম রয়েছে। আবার বিশ্বের বড় বড় কিছু দেশের সাথে অন্যান্য দেশের লোকেরাও ইনভেস্ট করতে পারে। বিশ্বের বড় বড় কিছু শেয়ার মার্কেটের কোম্পানি এবং বাংলাদেশের বিশেষ কিছু কোম্পানি রয়েছে।

এখন আপনাকে এর ভেরতে থাকা ভাগ গুলোকে বুঝতে হবে। এটি সাধারনত ৩ টি ধাপে থাকতে পারে। ১. শেয়ার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ২. শেয়ার বিক্রেতা কোম্পানি ৩. শেয়ারের ক্রেতা।

শেয়ার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিঃ যারা শেয়ার বিক্রি করে তারা সরাসরি এতো হ্যাসাল করে শেয়ার বিক্রি করে না। এজন্য শেয়ার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ব্যবহার করে। এটি হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কেনা বেচা করার জন্য় একটি বাজারের মতো কাজ করে। অর্থাৎ যারা শেয়ার কিনবে আর যারা শেয়ার বিক্রি করবে তাদের সবাইকে একত্র করে এই শেয়ার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। এই কোম্পানির মাধ্যমে আপনি একাধীক শেয়ার বিক্রেতাকে সহজে দেখে সেখান থেকে আপনার পছন্দের কোম্পানি থেকে শেয়ার কিনতে পারেন।

শেয়ার বিক্রেতা কোম্পানিঃ বড় বড় প্রায় সকল কোম্পানি শেয়ার বিক্রি করে। তাই এদের নাম লিস্ট দেওয়া কঠিন। এখানে উদাহরন হিসেবে বাংলাদেশের স্কয়ার কোম্পানি এবং ফেসবুকের যে মোটা কোম্পানি আছে তাকে ধরা যাক।

ধরুন স্কয়ার কোম্পানি তাদের নতুন একটি শাখা চালু করবে, সেখানে উড়জাহাজ সেবা চালু করতে চায়। তখন এই সেবা চালু করার জন্য কোটি কোটি টাকা প্রয়োজন, তারা এটি ২০ বছরের একটি প্ল্যান করেছে। তারা একাধিক লোকের মাধ্যমে এখানে ইনভেস্ট করাবে আর ইনকাম তাদের শেয়ার করবে। এভাবে মেটা কোম্পানি ও একটি প্রোজেক্ট চালু করতে পারে।

ক্রেতাঃ ক্রেতা তো আপনি নিজেই, তাহলে আর নতুন কি বলার রইল।

তবে এক্ষেত্রে স্পস্ট ভাবে বলতে গেলে , ধরুন উড়োজাহাজের জন্য ১০০ কোটি টাকা দরকার। তখন আপনি সেখানে ১ কোটি টাকা দিয়ে রাখলেন। বা ১ লক্ষ টাকা দিয়ে রাখলেন। এখন এটি রোবটিরক ভাবে হিসেব করে নিবে যে মোট টাকার কত পার্সেট হয়েছে। আবার যদি লস বা লাভ হয়, সেটিও প্রতি দিন অটো আপডেট হয়ে আপনার অ্যাকাউন্টে দেখাবে।

লস করলে যে, আপনার সব টাকা লস হবে আর অন্যদের লাভ থাকবে এমন হবে না। বরং আপনার পার্সেন্টিস হিসেব করে, কত টাকা লস বা লাভ সেটি নিদিষ্ট করে যুক্ত করা হবে।

শেয়ার কিনতে হবে কিভাবে

শেয়ার কেনার জন্য অবশ্যই আপনাকে শেয়ার ম্যানেজমেন্ট কোন কোম্পানির থেকে কিনতে হবে। তাহলে এবার প্রশ্ন হতে পারে যে কিভাবে আমরা শেয়ার কিনতে পারি আর কোথায় যেতে হবে।

শেয়ার মার্কেট বেশ পুরোনো একটি প্রক্রিয়া। তবে সময়ের সাথে সাথে এটি বর্তমানের প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে অনলাইনে এর সকল সিস্টেম চলে এসেছে। তাই এখন কার সময়ে আপনি খুব সহজেই মোবাইল, কম্পিউটারের মাধ্যমে এই কোম্পানিতে যেতে পারেন, সেখানে থাকা সকল শেয়ার কোম্পানির সমন্ধে ভালোভাবে তথ্য পেতে পারেন। এবং যেটি আপনার কাছে ভালো মনে হবে সেটি থেকে শেয়ার কিনে নিতে পারেন।

কিন্তু বাংলাদেশের জন্য একটি দুক্ষ যনক বিষয় হলো বাংলাদেশে শুধু মাত্র বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো থেকেই শেয়ার কিনতে হবে। তারা অন্য কোন কোম্পানির থেকে শেয়ার কিনতে পারবে না।

যদিও বাংলাদেশে তেমন ভালো সার্ভিস দেয় না। একই সাথে বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করলে বেশির ভাগ সময়েই দেখা যায় তারা লাভের পরিবর্তে লস করে থাকে। যদি আপনি বাংলাদেশে শেয়ার কিনতে চান , তাহলে আমাদের পরবর্তি পোস্টের অপেক্ষা করুন। বাংলাদেশের শেয়ার বিক্রেতা কোম্পানির মধ্য়ে রয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ

কিভাবে শেয়ার বিক্রি করতে হয়

শেয়ার নিদিষ্ট একটি সময়ের পরে পরে নিলামে ওঠে। তবে এটি লম্বা সময় হতে পারে, যেমন ১০ বছর বা তার কম বেশি। এক্ষেত্রে যদি আপনি এর মধ্যবর্তি সময়ে কিনতে বা বিক্রি করতে চাইলে আপনাকে এটি অন্য কোন ক্রেতার থেকে কিনতে হয়।

যেমন আমি ১০ হাজার টাকার শেয়ার কিনে রাখছিলাম, এখন সেটি বিক্রি করতে চাই, তাহলে আমি এমন কাউকে খুজবো, যে এটি কিনতে আগ্রহী, তাকে খুজে পেলে তার কাছে বিক্রি করতে পারি। তবে এটি কেনার বা বিক্রি করার জন্য কষ্ট করে খুজে নিতে হবে না। এটি আপনি শেয়ার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে বললেই তারা কিনে দিবে। আর সফটওয়্যারের মাধ্যমে কিনতে চাইলে তা অটোমেটিক কেনা হয়ে যাবে।

যেহেতু বাংলাদেশ থেকে বাহিরের কোন কোম্পানির শেয়ার কেনা যায় না। তবে অনেকেই কিনতে বিভিন্ন মাধ্যম অবলম্বন করে থাকে। এক্ষেত্রে আমরা ভবিশ্যতে এই বিষয়ে তথ্য শেয়ার করবো। আর যদি কোন হ্যাসাল ছাড়াই আপনি ইনভেস্ট করে ইনকাম করতে চান, তাহলে ক্রিপ্টো সাইটে দেখতে পারেন। আমরা সম্পুর্ন গাইড নিয়ে আগামীতে পোস্ট লিখবো।

আমাদের নিয়মিত সকল পোস্ট পেতে নটিফেকেশন চালু করে রাখুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here