কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা অসুবিধা

কৃতিম বুদ্ধিমত্তা হলো কৃত্তিম ভাবে তৈরি করা একটি বুদ্ধিসম্মত একটি সিস্টেমকে বোঝায়। আজ আমরা এই বিশেষ কৃত্তিম ভাবে তৈরি করা একটি ডিভাইসের সংযুক্ত ভাবে কাজ করে। তবে এর পেছনে বিশাল একটি ডেটা সেন্টার থাকে আর সেখান থেকেই এটি কাজ করে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা যা ইংরেজিতে Artificial Intelligence বলা হয়। আর এটি সংক্ষেপে AI বলা হয়। এখানে

Artificial হলো কৃত্তিম আর Intelligence হলো বুদ্ধিসম্মুর্ন। তাহলে এই দুটো শব্দ যুক্তত হয়েই এই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা হয়েছে। যা আমরা ইংরেজিতে Artificial Intelligence বলা হয়।

এখানে শুধু এই দুটো শব্দ মিলেই এই বিশাল অর্থ সম্মত শব্দের বিস্লেশন শেষ নয়। আমরা এটিকে আরো গভীর থেকে জানতে পারি। এটি আমরা বিশেষ কিছু পয়েন্টে বলিঃ

বোঝার ক্ষমতাঃ বুদ্ধি বলতে যেখানে বোঝার জন্য ক্ষমতা থাকে। মানে আপনি যে কোন লেখা, ফটো বা অন্য কোন বিষয়ে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলে বা দেখালে, শুনালে সে এটি বুঝতে সক্ষম হবে। আর বিশেষ বিশেষ সময়ে প্রয়োজনীয় সকল পরিচ্ছিতি আনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারবে।

পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতাঃ সকল পরিচ্ছিতি সমন্ধে আপনাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অনুযায়ী বুদ্ধি দিতে সক্ষম হবে। তাহলে সেটি বুদ্ধি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এবং বোঝার ক্ষমতা থেকে বুঝে এবং পদক্ষেপ নিতে পারে।

সয়ংক্রিয় কর্যকারীঃ সে তার বুদ্ধি ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারে। যা অন্য কোন ড্রাইভার প্রয়োজন হয় না। সে নিজেই পদক্ষেপ অনুযায়ী একটি ড্রাইভার হিসেবে কাজ করে। সে নিজের কাজ তো করতে পারেই তার সাথে অন্যান্য কিছু কাজের জন্যেও সে ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি ict

আইসিটি প্রশ্নের জন্য এক কথায় আপনি উত্তর খুজতে পারেন। আর যদি লম্বা ভাবে তথ্যের প্রয়োজন থাকে তাহলে পুরো পোস্ট টি দেখে নিতে পারেন। তার সাথে এক কথায় উত্তরটি হলোঃ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল মেশিনের মাধ্যমে মানব-মতো চিন্তা, শেখা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য

বিশেষ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৈশিষ্ট্য আমাদের জেনে নেওয়া দরকার। এগুলো জেনে নিতে পারলে খুব সহজে এই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সমন্ধে সহজে বুঝতে এবং বুঝাতে পারবো।

• স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ
• শেখার ক্ষমতা
• সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
• ভাষা বোঝা ও ব্যবহার
• চিত্র ও বস্তু চিনতে পারে
• গতি ও নির্ভুলতা
• ডেটা বিশ্লেষণ
• অভিনয় বা অনুকরণ ক্ষমতা
• কাজের স্বয়ংক্রিয়তা
• একই সময়ে অনেক তথ্য নিয়ে কাজ করতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক কে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে চিনবেন কিন্তু আপনি তার পিতাকে চিনবেন না এটি তো হবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের বই খাতায় তো এটি আপনার লাগবেই, আপনাকে এটি শিখে ১ নাম্বার অর্জন করতে হবে।

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার জনক জন ম্যাকার্থি (John McCarthy) যাকে Father of Artificial Intelligence বলা হয়। তবে এটি শুধু তার ই অবদানে হয়নি। এক্ষেত্রে অন্যদের অনেক আবেদন রয়েছে যা আমাদের ইতিহাসের কালো পাতায় চলে গেছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা অসুবিধা

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা এখনকার সময়ে সময়ে যেন শুনামের কোন শেষ নেই। তার সাথে এটি মানুষের বন্ধু শুলভ আচারন করে, অলস মানুষের জন্য এটি আরো বেশি ভালো একটা মাধ্যম হিসেবে কাজ করতেছে। কিন্তু এই ভালোর মধ্যে অনেক খারাপ ও রয়েছে আর বিশেষ করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স আসন্ন একটি মহা বিপদ হিসেবে ধরা যাচ্ছে।

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বলতে অনেক সমস্যার কথা জানতে পারেন আবার আপনি যখন এটির ভালো বিষয় লক্ষ্য করতে পারেন। আজ সেগুলোর সংক্ষিপ্ত কিছু বিষয় আলোচনা করা হলো।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সমন্ধে আমরা আগেই বেশ সকল বিষয়ে ধারনা দিয়ে রেখেছি। তবে এখানে এর কিছু সুবিধা সমন্ধে বলতে গেলে সবার আগেই রয়েছে এটি মানুষের সময়কে বাচাতে সাহায্য করে, যা ঘন্টার পরে ঘন্টা রিসার্স করে মানুষ আগে জানতো, সেগুলো এখন মিনিটের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারেন।

তার পরে যে বিষয়টা বলা চলে সেটি হলো এটি স্মর্ট ভাবে কাজ সম্পুর্ন করতে সক্ষম যা মাত্র অল্প সময়েই বেশি অনেক কঠিন কঠিন কাজ করতে সক্ষম। একই সাথে একাধীক টাস্ক সম্পুর্ন করার মাধ্য়মে একাধিক মানুষের অতি কম সময়ে এটাই নির্ভুল ভাবে আর সুন্দর ভাবে করতে সক্ষম।

মানুষের অনুপস্থিতিতেও এটি কাজ করতে সক্ষম। পুরো ইন্টারনেট থেকে খুব সহজে ডেটা সংগ্রহ করতে পারে এবং তার ডেটা সেন্টার থেকে ডেটা নিয়ে একটি বিশেষ গানিতিক বুদ্ধির সাহায্যে তার নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করে সঠিক প্রয়োগ করে।

মানুষের সাথে বন্ধুত্বসরূপ আচারন করে। যা মানুষের একাত্ববোধকে এড়িয়ে এবং আগ্রহ বাড়াতে সক্ষম। একই সাথে শত বার চেষ্টা করলেও বা বার বার প্রশ্ন করলেও কখনো বিরক্তিবোধ করে না। এটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার একটি বিশেষ গুন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অসুবিধা

কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার বিশেষ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যদি সুবিধার তুলনায় চলমান অসুবিধার কথা চিন্তা করা যায়, তাহলে এটি খুবই নগন্ন অবস্থায় আছে। কারন শত শত সুবিধার সাথে আংশিক অসুবিধা তো ধরার বাইরে থাকে। তবে আসন্ন লক্ষ্যনীয় বড় বড় কিছু অসুবিধা বা সমস্যা রয়েছে। তার মধ্য অন্যতম হলো ক্যারিয়্যার এ বড় ধস নামবে কোটি মানুষের।

যদিও এখন অফিস আদাতল, ব্যাংক, শিক্ষা সহ প্রায় সকল ক্ষেত্রেই এই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। যা সময় অপচয় রোধ করে, আগ্রহ বাড়ায় আর মানুষকে অলস করে ফেলে। তার থেকেও বড় সমস্যা হলো এটির মাধ্যমে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার এই সার্ভারে আরো অনেক তথ্য ট্রেইন হচ্চে। এবং মানুষের বার বার করা রিকোয়েস্টের ভিত্তিতে সে সহজেই বুঝতে পরতেছে যে মানুষ আসলে কোন প্রশ্নের জন্য কি উত্তর খুজে আর এটি তাকে যোগ্যতা সম্পুর্ন করে এবং মানুষের যায়গাতে স্থাপন করে।

একটা সময় যখন মানুষের প্রায় নিত্য দিনের রুটিনের সকল তথ্যই এই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার কাছে থাকবে, তখন সে খুব সহজেই মানুষের চাকরি ও কাজের জন্য যোগ্য হবে আর এটির খরচ কম থাকার জন্য কোম্পানিগুলো এই সয়ংক্রিয় রোবট ব্যবহার করবে যা বিস্বাসঘাতক এবং অলস হবে না। এক্ষেত্রে এটি মানুষের ৯০ শতাংশ কর্মস্থল দখন করতে পারে।

এছাড়াও এটি বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাস দ্বারা আক্রমিত হলে বা কোন ক্ষতিকর ভাবে তৈরি করা হলে এটি মানুষের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে এমন কি মৃত্যুর জন্যেও দ্বায়ী হবে, আর একটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার নামে কোন আইনের সাজা দেওয়াও সঠিক সমাধান হবে না।

আরো বিশেষ করে লক্ষ্য করা যাবে, যেহেতু এটি আবেগ বুঝে না। যদিও অনেক সময় বলতে পারে যে এটি আবেগ ও বুঝবে, কিন্তু আসলে না , এটি কখনোই মানুষের মতো আবেগ বুঝতে পারবে না। তার উপরে একটি বটকে কখনোই তার প্রয়োজনের থেকে বেশি ট্রেইন করার জন্য বেশি অর্থ ব্যবহার করবে না। আবার যদি সে তার রিপোর্ট অনুযায়ী তথ্য ঠিক মনে করে আর যদি আপনি কোন একটি সমস্যা বোধ করেন তাহলে সেটি সমাধান করতে আপনাকে অনেক হ্যাসাল সহ্য করতে হবে।

তবে যা-ই হোক আপাতত এটি ভালো কাজে লাগাতে থাকুন, আর অপব্যবহার ছেড়ে দিন। আবার এটি ব্যবহার করার জন্য অতিরিক্ত বেকার বা অলস হলে কিন্তু শেষ। আর সময়ের সাথে সাথে এটি শিখেও নিতে হবে না হয় তো আপনি পিছিয়ে যাবেন।

এই ধরনের সকল তথ্য পেতে আমাদের সাথে থাকুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আমাদের সাইটের নটিফেকেশন চালু করে রাখতে পারেন।