ওজন কম থাকলে না কি আবার ঝড়ে উড়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। যাই হোক মজা করলাম। আজ আমরা পার্ফেক্ট একটা ওজন তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করবো। আশা করি এটি রোজ সকালে খালি পেটে খেলে এবং কিছু নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে আপনিও আপনার ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারবেন।
ওজন বাড়ানোর বিশেষ উপাদান
মানুষের দেহের গঠনের সাথে পর্যাপ্ত ওজন ও থাকা উচিৎ। একজন সুস্থ মানুষের ওজন, উচ্চতা আর মোটা দিয়ে নিশ্চিত করা যায়। তাই আমরা আজ এই ওজন বাড়ানোর প্রয়োজনীয় সকল তথ্য শেয়ার করবো।
প্রথমত আমরা ওজন বাড়ানোর ২ টি উপায় ভাগ করে নেওয়া যায়। ১. কিছু নিময় নিতি ফলো করে ২. কিছু খাবারের মাধ্যমে। তাই এই ২ টি বিষয় আমরা নিচের দিকে সম্পুর্ন ক্লিয়ার করে দিব।
কি কি কাজের মাধ্যমে ওজন বাড়ানো যায়
সকালে ঘুম থেকে উঠে বিশেষ কিছু অভ্যাস করার মাধ্য়মে আপনারা খুব সহজে ওজন বাড়িয়ে নিতে পারেন। তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলোঃ
- স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার
- হালকা ব্যায়াম
- শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ
- রাতে ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমানো
স্বস্থ্যকর খাবার
ওজন বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। শুধু সকালে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে বা অভ্যাস পরিবর্তন করার মাধ্যমে ই ওজন বাড়ানো সম্ভব নয়। কারন ওজন বাড়ানোর জন্য আপনাকে নিয়মিত অভ্যস্ত হতে হবে। আর সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
তেল জাতিয় ভাজা পোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ। যা আমাদের ওজন কমিয়ে দেয়। আমরা যদি অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করি এবং এটি ত্যাগ না করি, তাহলে কখনোই আপনি ওজন বাড়াতে পারবেন না। তাই আমাদের সর্বপ্রথম ই অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সেই সাথে নিচের নির্দেশনা মেনে চলতে পারলে আমরা খুব ভালো ফলাফল পেতে পারি।
হালকা ব্যায়াম
আমাদের সারাদিনের ক্লান্তি আর রাতের বিশ্রামের পরে নিজেদের শরিরকে ভালো করার জন্য আমাদের প্রয়োজন সকালের শীতল আর স্বাস্থ্যকর বাতাসকে গায়ে লাগানো। সেই সাথে শরিরের বিভিন্ন অঙ্গকে একটু আকা বাকা করে নেওয়া।
এজন্য সামান্য হাটাচলা করা, হাত পা কে নাড়িয়ে বাকা করা, সম্ভব হলে একটু সাইকেল চালানো, একটু ঝুলে ঝুলে ব্যায়াম করতে পারলে আরো ভালো।
শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ
শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ বলতে সকালে যদি আমরা ঘুম থেকে উঠে একটু হাটাচলা করি, তাহলে আমাদের শীতল বাতাস এবং বাতাসের স্বাস্থ্যকর কনাগুলো আপনার ফুশফুশকে শান্ত করে দিবে যা আপনার শরিরের জন্য রক্তচলাচল ও ক্ষতিকর বিষয়ের জন্য উপকারী হবে।
এজন্য আমরা আমাদের সকালের বাতাসে মুক্ত ভাবে একটু হাটাচলা করা উচিৎ।
রাতে ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমানো
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের জন্য ৬-৭ ঘন্টা ঘুমানো উচিৎ। ঘুম কম হলে মস্তিস্ক দুর্বল হয়ে পড়ে। ঘুম কম হলে শরিরের জলীয় মাত্রা একবারে কমে যায়। যা ওজন কমাতে পারে, শরির সুস্ক করে রাখে। খাবারের সঠিক পুষ্টিমাত্রা শরিরে কাজে লাগাতে পারে না। আরো ইত্যাদি সমস্যা থাকে।
কমপক্ষে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের জন্য ৬ ঘন্টার উপরে ঘুমানো উচিৎ। তবে যদি কেউ এর থেকে কম সময় ঘুমায়, তাহলে তার শরিরের ওজন ধীরে ধীরে কমতে থাকে আর ওজন বাড়ার সকল ক্ষমতাকে হ্রাস করতে থাকে।
সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে
সকালে খালি পেটে বিশেষ কিছু পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করার মাধ্যমে আমরা শরিরের ওজনকে বাড়িয়ে নিতে পারি। এজন্য বিশেষ যে সকল খাবার খাওয়া উচিৎ তার মধ্যে অন্যতম কিছু খাবার ও তার খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলোঃ
কলা খেয়ে ওজন বৃদ্ধি
কলা একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। এই খাবারের রয়েছে বিশেষ বিশেষ কিছু গুন, তার মধ্য়ে অন্যতম একটি গুন হলো এটি আমাদের দেহের ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে কলাটি জেন সার প্রয়োগ বা অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ না থাকে। এবং সাগর কলা খাওয়ার ফলে এই পুষ্টি কিন্তু পুরোপুরি পাবেন না।
কলায় উচ্চ ক্যালোরি থাকার কারনে এটি উচ্চমাত্রায় শক্তি যোগায় আর একই সাথে সরিরকে সতেজ করে তোলার মাধ্যমে ওজন বাড়াতে সক্ষম হয়।
বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বাড়ানোর উপায়
বাদাম খাওয়ার মাধ্য়মে ওজন বাড়ানো সম্ভব। কেননা বাদামে প্রচুর ক্যালরি থাকে এবং ফ্যাট থাকে যা আমাদের ওজন বাড়াতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আমাদের যদি মোটা শরিরে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে বেশি ফ্যাট থাকার ফলে আরো মোটা হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে এটি এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ।
বাদাম খাওয়ার জন্য সকালে কাচা বাদাম খাওয়া যেতে পারে বা চাইলে খাবারের মধ্যে ব্যাবহার করে ও খাওয়া যায় সেই সাথে আবার ভাজা বাদাম খাওয়ার ফলেও কিন্তু ওজন বাড়ানো যায়।
দুধ খেলে কিভাবে ওজন বাড়ে
দুধ একটি বিশেষ পুষ্টিকর খাবার, আমার মনে হয় না যে দুধ এমন কোন পুষ্টি বিহিন যা আমাদের দেহের জন্য উপকারী না। তাই আমি আপনাদের বলবো, নিয়মিত দুধ খাওয়ার অভ্যাস করুন। তবে এটি খাটি দুধ খাওয়ার প্রয়োজন হবে।
সকালে প্রতিদিন দুধ খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বাড়ানো সম্ভব। তবে এটি আপনি খাবারে মিশিয়ে বা শুধু দুধ পান করার মাধ্যমেও এই পুষ্টিকর উপাদান শরিরে বহন করতে পারেন। এমন কি কাচাঁ দুধ খাওয়ার মাধ্যমেও আপনি এই পুষ্টি পাবেন।
দুধ সকালে অথবা রাতে দুই সময়ে ই খেতে পারেন। তবে কোন কোন স্থানে বলা রয়েছে রাতে দুধ খাওয়ার ফলে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়।
ডিম খেলে কিভাবে ওজন বৃদ্ধি পায়
ডিম একটি উচ্চ ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার। এটি শক্তি বাড়াতে পারে আবার আমাদের ওজন বাড়িয়ে থাকে। তাহলে আমরা সরাসরি ডিম খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ওজনকে বুষ্ট করে নিতে পারি। তাই আমরা এই ডিম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারি। কিন্তু এই ডিম খাওয়ার বিশেষ কোন নিয়ম মানতে হবে তেমন নয়।
আপনি চাইলে যে কোন সময়ে ডিম খেতে পারেন। আবার সকালে ডিম সিদ্ধ করার মাধ্য়মে ওজন বাড়াতে পারেন।
ঘি বা মাখন খাওয়ার ফলে ওজন বাড়ে
ঘি এবং মাখন খাওয়ার ফলে খুব অল্প সময়েই আপনি আপনার ওজন বাড়িয়ে নিতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হলো আপনি যদি অরজিনাল ঘি না খান, তাহলে এটি বিপরিত প্রক্রিয়া ফেলতে পারে। এজন্য আপনাদের একজন খাটি ঘি বিক্রেতাকে খুজে বের করতে হবে। ঘি সমন্ধে আমাদের অন্য় পোস্ট দেখতে পারেন।
সঠিক ঘি পেতে আপনি অনলাইনে ভালোভাবে খুজে নিতে পারেন। বা আমাদের হোয়াসঅ্যাপে যোগাযোগ করার মাধ্যমেও আমাদের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।
ঘি খাওয়ার জন্য আপনি গড়ম ভাত, আলু ভর্তা, রুটি বা অন্যান্য খাবারের সাথেও খেতে পারেন। আর এই ঘি বা মাখন খাওয়ার মাধ্যমে ভালো ফলাফল পেতে পারেন।
শেষ কথা
আমাদের সাথে থাকার মাধ্য়মে স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো অন্যান্য তথ্য পেতে পারেন। আর নিজেদের কোন তথ্যের প্রয়োজন হলে আপনারা আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিতে পারেন।