ফ্রিল্যান্সিং এর সকল কাজের ই বেশ ভেল্যু রয়েছে। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে কোন কাজটি যথার্থ এটি নির্ভর করবে আপনি কি ধরনের কাজে আগ্রহী। আপনি কতটুকু কাজ করতে পারেন বা কতটা সময় কাজ করার ক্ষমতা রাখেন ইত্যাদি বিষয়ের উপরে।
প্রাথমিক ভাবে ফ্রিল্যান্সিং কে আমরা সময় আর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দুটি ভাগে রাখতে পারি, তাহলে আমরা কাজের বিষয়ে খুব সহজে বুঝতে সক্ষম হবো, আর নিজেদের সেই কাজের জন্য প্রস্তুত করতে পারবো।
১. অল্প টাকার কাজ তবে প্রচুর কাজ রয়েছে
২. টাকা বেশি কাজের পরিমাণ কম
অল্প টাকা কিন্তু কাজ প্রচুর
যখন আপনি কঠিন কাজে শিখতে চাচ্ছেন না, এবং ২ মাস থেকে ৬ মাসের মধ্যে ইনকামে হাত দিতে চান। আপনি চাইলেও ১ বছর থেকে ২ বছর বসে কাজ শিখতে পারবেন না অথবা আপনি লম্বা সময় ধরে কাজ শিখতে আগ্রহী নয়।
যদি আপনার ইচ্ছে এরকম হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে এমন কোন কাজ শিখতে হবে, যেটি আপনি অল্প সময়ে শিখতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার কম্পিটিশন বেশি হবে এটাই সাভাবিক। কারন বেশির ভাগ মানুষই সাধারন ২-৩ টা কোর্স করে এই ধরনের কাজ ভালো ভাবে শিখে নিতে পারে, ফলে অনেক পরিমানে ওয়ার্কার এই অংশে জড়ো থাকে।
তবে একটি সুখবর হলো, এই ধরনের কাজের চাহিদাও মার্কেটে প্রচুর। আই এই ধরনের কাজের মধ্যে অন্যতম স্থানে যে সকল কাজ রয়েছে সেগুলো হলোঃ
- অ্যাড কেম্পেইন
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- লোগো ডিজাইন
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ভিডিও এডিটিং
- ইউজার সাপোর্ট
- ওয়েব ডিজাইন
- ওয়েব কাস্টমাইজ
- সিপিএ মার্কেটিং
- ডাটা এন্ট্রি
আরো ইত্যাদি রয়েছে, যেগুলো অল্প সময়ে কাজ শিখে ভালো ভাবে কাজ করতে পারা যায়। তবে এই নয় যে এগুলোর ভবিষ্যৎ দুর্বল। অনেকে অনেক সময়ে ভাবতে পারেন যে, যেহেতু এই ধরনের কাজ অনেক বেশি কম্পিটিশন থাকে তাহলে এটি কাজ পাওয়া কঠিন বা ভবিশ্যৎ ভালো হবে না। তাহলে চলুন কেন ভবিশ্যৎ ভালো আর কাজ বেশি পাওয়া যায় সেগুলোর সমন্ধে জেনে নেওয়া যাক।
- প্রতি নিয়ত নতুন নতুন কোম্পানি তৈরি হচ্ছে
- পুরাতন কোম্পানিগুলো নতুন নতুন সার্ভিস তৈরি করে
- কোম্পানির কাস্টমার বৃদ্ধির সাথে সাথে সেখানে কাজের পরিমাণ ও বেড়ে যাচ্ছে
- কোম্পানির মার্কেটিং চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে
- কোম্পানির প্রতিদন্দি বৃদ্ধির ফলে মার্কেটিং করার প্রয়োজন বাড়ে, ডিজাইন ভালো এবং বেশি প্রয়োজন হয়
- সাপোর্ট বেশি দরকার হয়
- ব্লগ পোস্ট বেশি প্রয়োজন হয়
- ভিডিও বেশি প্রয়োজন হয়
- ইউজারকে টার্গেট করতে ডেটা এন্ট্রি করতে হয়
আরো ইত্যাদি কারনে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদাও বেড়ে যায়। যেমন একটি নতুন কোম্পানি মার্কেটে লনস করলেই কি কি কাজের চাহিদা সেখানে থাকে সেগুলো সংক্ষেপে বলতে গেলেঃ
- কোম্পানির ওয়েবসাইটের জন্য ডিজাইনার
- ওয়েব কাস্টমাইজের জন্য
- ওয়েবসাইটের লোগো তৈরিরি জন্য
- বিভিন্ন ব্যনার ও ডিজাইনের জন্য গ্রাফিক্স
- পন্য়ের জন্য গ্রাফিক্স
- পন্যের ভিডিও এডিটিং
- পন্যের ব্লগ বা কন্টেন্ট রাইটার
- এসইও করা
- টার্গেটের জন্য ডাটা এন্ট্রি করা
- ইউজারকে সাপোর্ট দিতে সাপোর্টার
- মার্কেটিং করতে ভালো মার্কেটার
- ফেসবুক, ইউটিউব সহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দিতে একজন এজস এক্সপার্ট
এছাড়াও ইত্যাদি কাজের জন্য লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তবে কি শুধু এখানেই শেষ এই কাজের প্রয়োগ, আমার তো মনে হয় না আরো নানান ভাবে ব্যবহার করা যায় এই দক্ষতা। সেগুলো নিচের ধাপে থাকবে।
বেশি টাকা কিন্তু কাজের পরিমাণ কম
যেহেতু আমাদের বেশির ভাগ মানুষই অল্প সময় কাজ শিখে ইনকামের কথা মাথায় নেয়, তাই তাদের জন্য এই কাজটি মোটেও ভালো হবে না। তারা উপরে শেয়ার করা কাজগুলো করতে পারেন। এজন্য আমরা এই অংশটি এই পোস্টে বেশি বড় করতে চাচ্ছি না। তবুও সাধারন ধারনা দিয়ে রাখি।
যে সকল কাজ বেশি সময় ধরে শিখতে হবে, এবং কাজের পরিমাণ তুলনামূলক কম আর ইনকাম অনেক বেশি সেগুলোর মধ্যে অন্যতম কাজ গুলো হলোঃ
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর সর্বাধীক দক্ষতা (অ্যাড কেম্পেইন, ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং সহ ইত্যাদি)
- ওয়েব ডেভলাপমেন্ট করা
- অ্যাপ ডেভলাপমেন্ট করা
- ব্লগিং এর সর্বাধীক ধারনা নিয়ে কাজ করা
- ই-কমার্স নিয়ে যোগ্যতা নিয়ে ব্যবসা করা
- ড্রবশপিং বা অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং এর এক্সপার্ট হওয়া
আরো ইত্যাদি কাজ রয়েছে এই তালিকায়। তবে এখানে অনেকে একটু কনফিউজড থাকতে পারে, যেহেতু একই কাজের কথা উপরে থাকার সত্তেও এখানে আবার এসেছে এজন্য। তাদের ক্লিয়ার ভাবে ধারনা দিতে একটা উদাহরন দেওয়া হলোঃ
ধরুন একটি কোম্পানি মার্কেটে নতুন এসেছে, এক্ষেত্রে সে তো আর প্রতিদিন তার কোম্পানির জন্য ওয়েবসাইট বানাবে না, সে একবার ই ওয়েব ডেভলাপার কে হায়ার করে নিবে আর অনেক বেশি টাকা হলেও কাজটি সম্পুর্ন করে নিবে। পরবর্তি সময়ে যখন সেটি আংশিক আপডেট করতে হবে বা ক্ষেত্র বিশেষ কাস্টমাইজ করতে হবে তখন একজন ওয়েব কাস্টমাইজের কে হায়ার করবে।
সাধারনত একটি ওয়েবসাইট ডেভলাপ করলে সেটি ১০ বছর থেকে শুরু করে ২৫ বছর বা তার থেকেও বেশি সময় সঠিক ভাবে চলতে পারে। কিন্তু প্রতিটি অফার শো করানোর জন্য বা প্রতিটি নতুন প্রোডাক্ট ক্যাটাগরির জন্যই কিন্তু সাইটের কাস্টমাইজের প্রয়োজন দেখা যায়।
আর যখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর কথা এখানেও এসেছে। এখানে মুলত একাধীক কাজ একত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে রয়েছে। অর্থাৎ আমি নতুন কোন কোম্পানি তৈরি করলাম এবং সেখানে আমার কোন একটি শপিং মলের সকল পন্য শো করলাম। এই ক্ষেত্রে আমি নিজে এই বিষয়ে কোন অভিজ্ঞতাই নেই তাহলে এমন কাউকে হায়ার করতে হবে যে সব বিষয়ে দক্ষ্য এবং সে সবকিছুই দেখা শোনা করবে।
একই সাথে এমন ও হতে পারে যে, আমি কাজ বুঝি, তার পরেও আমার সময়ের অভাব থাকার কারনে বা আমি আমার সেলকে বাড়ানোর জন্য একজন দক্ষ্য মার্কেটার কে হায়ার করতে চাইবো।
ভবিষ্য়তের শেষ কোথায়?
অনেকে মনে করতে পারে যে, এই কাজ কি শুধু এই ইনকামেই সিমাবদ্ধ কিনা। আসলে বিষয়টি হলো, আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং শিখে থাকেন, তাহলে আপনি যে শুধু ফ্রিল্যান্সিং করেই থেমে যাবেন বিষয়টা এমন নয় কিন্তু।
যদি নিজে কন্টেন্ট রাইটিং শিখে থাকেন, তাহলে অবশ্যই নিজে ফ্রিল্যান্সিং করার সাথে সাথে আবার নিজের ওয়েবসাইটের জন্যেও কন্টেন্ট লিখে সেখানে বিভিন্ন মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। যেহেতু আমরা নিদিষ্ট কোন কাজের বিষয়ে এই পোস্ট করছি না, তাই অন্যান্য পোস্টে আমরা এই বিষয়গুলো আলোচনা করবো।
আবার যখন আপনি একজন ভালো ডিজাইনার হতে পারেন বা এই ধরনের কোন কাজে ভালো দক্ষ্যতা অর্জন করতে পারেন। তখন সেটি আপনি এজেন্সি আকারে সবাইকে সার্ভিস দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার সাথে আরো অনেকে যুক্ত হবে, এবং আপনারা সবাই মিলে যে নতুন কোম্পানি আসবে, তাদের বলতে পারেন যে আমরা আমাদের এজেন্সির মাধ্যমে আপনাদের সকল প্রয়োজনীয় বিষয়ে কাজ করে দিবো, বিনিময়ে আমাদের এই সার্ভিস নেন বা এতো টাকা পে করতে হবে।
অধিকাংশ সময়েই আমরা এই ধরনের এজেন্সি গুলো দেখতে পাই। তারা এভাবে বেশির ভাগ সার্ভিস দিয়ে থাকে। যা সাধারনত একন ব্যাবসার জন্য লোকেরা নিয়ে থাকে। এবং তাদের ব্যবসাকে ভালো পর্যায়ে নিতে সক্ষম।
এছাড়াও আপনারা অনেক সময়ে দেখতে পারেন যখন কেউ দক্ষ্যতা অর্জন করতে পারে। তখন তারা কোর্স চালু করে থাকে। সেক্ষেত্রে তারা নিজেদের স্টুডেন্ট কে শিখাতে পারে আবার একই সাথে তারা নিজেদের স্টুডেন্টদের নিয়ে ভালো কাজও পায় এজেন্সি আকারে।
ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কাজগুলো
উপরের আলোচনা থেকে বুঝতেই পেরেছেন যে, কোন কাজ কখন শিখতে পারেন। আর সকল কাজেরই ভালো ডিমান্ড রয়েছে। তবে আমরা এখন শুধু আপনাদের কাজগুলোর সাথে আবার একটু প্রয়োজনীয় তথ্য় শেয়ার করবো।
তবে যে কাজই আপনি শিখতে চান না কেন, আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, যদি না ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে মার্কেট আপনার জন্য নয়। আর যদিও ২-১ টা কাজ পেতে পারেন, তবুও এটি বেশি সময় থাকবে না। কারন রিভিউ খারাপ আসবে আর নতুন কেউ কাজ দিবে না, যে কাজ দিয়েছিলো সে তো ভুলেও আর কখনো দিবে না।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ফ্রিল্যান্সিং
উপরের অংশ থেকে বুঝতেই পেরেছেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বহুমুখি কাজ। এই কাজের মধ্যে বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে। যদি আপনি সকল সেক্টরের সমন্বিত রেখা শিখতে চান, তাহলে আপনাকে অনেক সময় নিয়ে কাজ শিখতে হবে। আর এই কাজ সর্বক্ষনই আপডেটের সাথে থেকে কাজ করে যেতে হবে। তবে প্রাথমিক ভাবে যদি আপনি অল্প কাজ শিখে ইনকামে যেতে চান আর ধীরে ধীরে সময় করে আগাতে চান, তাহলে আপনাকে আমার পক্ষ্য থেকে সাজেশন হচ্চে অ্যাড কেম্পেইন শিখুন।
এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে সকল কাজ শিখতে পারেন, সেগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
- সিপিএ মার্কেটিং
- অ্যাডস কেম্পেইন
- আরো ইত্যাদি প্রয়োজনীয় মার্কেটিং
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ফ্রিল্যান্সিং
সময়ের সাথে মানুষ রঙিন দুনিয়া মুখী। সময় যতোই সামনে যাচ্ছে, মানুষ ততই সুন্দর ডিজাইনের কথা মাথায় নিচ্ছে। ধরে নেন গত বছরের যে বাইকটি বাজারের সেরা ডিজাইন ছিল এবছর তার থেকেও ভালো কেউ আসতে পারার মাধ্যম ই হলো এই ডিজাইন।
ধীরে ধীরে এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা অনেক হারে বেড়েই চলেছে। এই ধরেন আমি একটা শপিং সাইট রিলিজ করতে চাচ্ছি, এখন লোগোটা তো নিজেই তৈরি করে নিয়েছি। তবে বাকি হাজার টা পন্যের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইন তো আর আমার জন্য করা সম্ভব নয়। তাছাড়াও যেহেতু আমি তেমন ভালো ডিজাইনার নয়, সেক্ষেত্রে আমি তো জানি যে, যারা আমার প্রতিদন্দি আছে, তারা অবশ্যই ভালো ডিজাইনারদের দ্বারা ডিজাইন করাবে তাই আমাকে তাদের সাথে কম্পিটিশনে থাকতে হলে আমাকেও তেমন ভালো ডিজাইনার খুজতে হবে।
আমি যদি ৫০০ টাকা বেশি খরচ করে হলেও ১০ টা সেল বেশি পাই আর সেখানে আমার ২০০০ টাকা লাভ হয় আবার ব্রান্ডের প্রমোশোন ভালো হয়, তাহলে তাই করতে আমার সমস্যা টা কোথায়। এটাই সবাই চিন্তা করে। তাই যদি চাই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন, তাহলে আমার মতে শিখতে পারেন।
আর আমার শপিং সাইট রিলিজ হলে কিন্তু অনলাইন কেনাকাটার জন্য সেখানে আসতে ভুলবেন না।
ডাটা এন্ট্রি করে ফ্রিল্যান্সিং
ডাটা এন্ট্রি করতে পারলে একই মানুষের কাছে বার বার বিক্রি করতে সক্ষম, সেখাননে আমার টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দিতে হবে না। তাই ডাটা এন্ট্রি একবার কিছু টাকা খরচ করে করতে হলেও সবাই এটা করে নেয়।
যেহেতু বিজ্ঞাপন দিলে সেটি টার্গেটে পোছাতে পোছাতেই আমার অর্ধেক বাজেট শেষ হয়ে যাচ্ছে, সেখানে কিছু টাকা খরচ হলেও যদি আমি সবার ডাটা পেয়ে তাদের টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দিতে পারি, তাহলে তো সেল হওয়াটা অনেক ইজি হবে। এজন্যই ডাটা এন্ট্রি করা হয়ে থাকে।
ইউজার সাপোর্ট শিখে ফ্রিল্যান্সিং
ব্যবসার অন্যতম একটি অধ্যায় হচ্ছে ইউজার সাপোর্ট। এটি শেখার তেমন কিছুই নেই। শুধু ইউজারদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাদের আগ্রহকে বাড়িয়ে তুলতে হবে। তবে এক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
ইউজার বাড়ার সাথে সাথে সাপোর্টের জন্য লোকের সংখ্যাও বাড়াতে হয়। তবে প্রয়োজন হবে ভালো সাপোর্টার নিয়োগ দেওয়া। এটি প্রতিটি ব্যবসায় ই থাকা জরুরি। তাই আপনিও সামান্য দক্ষ্যতা নিয়ে এই কাজে জয়েন করতে পারেন।
ওয়েব ডেভলাপমেন্ট শিখে ফ্রিল্যান্সিং
ওয়েব ডেভলাপমেন্ট শিখতে যেমন বেশি সময় লাগে তেমন ইনকাম ও অনেক বেশি। একেকটা কাজের জন্যই লক্ষ টাকা চার্চ করতে পারেন। তবে যেমন তেমন শিখলেই হবে না। ভালো দক্ষ্যতা অর্জন করতে হবে। কননা এক পেজের ওয়েবসাইট কোন ওয়েবসাইট ই নয়। এটি আগেও গুগল সাইট, আরো বিভিন্ন ল্যান্ডিং পেজ এর ডিজইনের মাধ্যমে করা যেত, এখন তো এআই ব্যবহার করে আরো ভালো ভাবে করা যায়, তাএ এই অল্প বিদ্যা কিন্তু ভয়ঙ্কর হবে।

এআই শিখে লক্ষ টাকা ইনকাম
যেহেতু উপরে সবগুলো বিষয়ে যথেষ্টা ধারনা দিয়ে এসেছি। তাই ওগুলো নিয়ে আর তেমন কিছুই বলার প্রয়োজন নেই। তাছাড়াও প্রতিটি বিষয় নিয়ে নতুন নতুন তথ্যমূলক পোস্ট আসতে থাকবে আমাদের সাইটে। এজন্যই এই শেষ পয়েন্টে ড্রব করেছি।
এআই বর্তমান সময়ের সব থেকে যুগান্তকারী একটি আবিষ্কার। এটির ভবিষ্যৎ সমন্ধে ভাল ভাবে ধারনা করা কঠিন। তবে এর ভবিষ্যৎ উর্ধমুখী ছাড়া নিম্মমূখী নয়। তাই আমরা আপনাকে সাজেশন দিবো, আপনি যে কোন কাজ শিখতে পারেন, তবে আপনি আপনার কাজের সাদৃশ্য থাকা এআইয়ের সকল ফিচারের সর্বোচ্চ ব্যবহার শিখে রাখবেন। তাহলে এটি আপনার ডিমান্ড বাড়িয়ে দিবে।
অপর দিকে এটি আপনাকে কখনোই পিছিয়ে ফলতে দিবে না। অনেকে বলে থাকে এআই না কি চাকরি খাবে, তাহলে যদি আপনি এআই শিখে নেন, তাহলে কিভাবে আপনার সাথে গাদ্দারি করতে পারবে।
তার থেকে বড় কথা হলো, আপনি এআই শিখতে পারেন তবে এর ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা এটি ব্যবহার করলে আপনি যদিও ভালো রেসাল্ট দেখাতে পারেন, তবে এর ফলে নিজের দক্ষ্যত হারিয়ে ফেলবেন, আর নিজেকে ইংক্রেজ করতে পারবেন না ফলে এটি ভবিষ্যতে আপনাকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিবে।
আর এটাও মনে রাখা দরুরি যে, যদি আপনি শুধু মাত্র এআই শিখেন, তাহলে কিন্তু কোন লাভ নেই। কারন শুধু এআই আপনাকে তেমন ভালো কোন ইনকাম সোর্স করে দিতে পারে না।
শেষ কথা
সবাই ভালো থাকো, এই কামনা করি। আর মনে রাখবা ভালো দক্ষ্যতা ছাড়া কাজে গেলে এই কম্পিটিশনে বেশি সময় টিকতে পারবা না। তাই প্রচুর চর্চা করতে হবে। আর এটা ও মনে রেখো
বেকার থাকার চেয়ে বেকার খাটা ভালো
তবে আবার সারা জীবন বেকার খেটে যাইও না। সেখানেই বেকার খাটো যেখানে শিখবে বা তারা তোমার সঠিক মূল্য জানে বা দিবে। অনেকে হয়তোবা মূল্য দেয়না তবে সে তোমার মূল্য যানে, তার কাছে তুমি বেকার খাটলে সে ধীরে ধীরে তোমার প্রতি দূর্বল হতে থাকবে।
আর সময়ের সাথে আপডেট হতে হবে, না হলে সময় তোমাকে লাথি মেরে বের করে দিবে। অপর দিকে ভালো হয়ে কাজ করতে হবে।
আমাদের সাথে থাকার অনুরোধ রইল। আর আমাদের নতুন শপিংমল চালু করলে আমরা এই সাইটের মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দিবো। তাই আমাদের সাথে থাকলে আশা করি আমরা আপনাদের অনেক ভালো সার্ভিস দিতে পারবো।