বাচ্চা হলে তার জন্য বিশেষ কিছু সচেতনতা বজায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে শিশুরা যেহেতু বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার খায়, বা তাদের খাওয়ানো হয়। তাই শিশুদের জন্য এই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। আর আমরা আপনাদের স্বাস্থ বিষয়ে প্রতিদিনের বিশেষ কিছু কার্যকরম চলতেছে।
আপনিও আমাদের সাথে থাকলে আমাদের স্বাস্থ বিষয়ক সকল তথ্য পেয়ে জাবেন। তাই অবশ্যই আমাদের সাইটের নটিফেকেশন চালু করে রাখতে পারেন। আর সেই সাথে নিচের হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করে রাখতে পারেন। তাহলে আমাদের সকল তথ্য সবার আগে পেয়ে জাবেন।
কি কি কারণে শিশুদের কৃমির সংক্রমণ হতে পারে
কৃমি অনেক ধরনের হয়ে থাকে। তার মধ্যে রয়েছে
- গোলকৃমি
- হুকওয়ার্ম
- টেপওয়ার্ম
- পিনওয়ার্ম
আর এই কৃমিগুলো বিশেষ কিছু মাধ্যমে ছড়াতে পারে, বা দেহের মধ্যে ঢুকে পরতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম কিছু কারন হলো।
- দূষিত খাবার বা পানি
- পায়ের ত্বকের মাধ্যমে মাটি থেকে
- কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ খাবার
- নখের বা হাতের মাধ্যমে
এই কৃমিগুলো থেকে বিশেষ কিছু উপায়ে দূর করা যায়। তাই আমরা এই সকল বিষয়ে সম্পুর্ন ধারনা নিব। তাই সব কিছু নিচে দেওয়া হলো।
বাচ্চাদের কৃমি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়
বাচ্চাদের কৃমি হওয়াটা সাভাবিক বিষয়ে। তবে এই কৃমি থেকে বাচার জন্য কিছুটা ঘরোয়া উপায় হলো, উপরে যে সকল কারনে বা মাধ্যমে এই কৃমির সংক্রোমন ছড়ায়, সেগুলো থেকে দূরে থাকলে অনেক টা ই মুক্ত পাবেন।
- দূষিত পানি বা খারাপ পানি খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
- পায়ের ত্বক এবং হাত বা শরিরের সকল অঙ্গকে মাটি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
- খাবার খাওয়ার আগে সেটি সিদ্ধ হয়েছি কিনা সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
- হাত পা নখ সহ ইত্যাদি পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
সেই সাথে যদি কোন ভাবে কৃমি হয়েই পড়ে, তাহলে কিছু ঘরোয়া খাবারের মাধ্যমে সেটি কমিয়ে নিতে পারেন। সেই খাবার ও খাওয়ার নিয়মের মধ্যে অন্যতম হলো।
- হলুদ: এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া এক গ্লাস কুসুম গরম দুধে দিয়ে সকালে খাওয়ান।
- নারকেল:কাঁচা নারকেল খেতে দিন বা নারকেল তেলের সঙ্গে মধু খাওয়ান।
- কুমড়োর বীজ:কুমড়োর বীজ গুঁড়া করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দিন।
- রসুন:সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ান বা রসুনের পেস্ট সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়ান।
- কাঁচা পেঁপে:এক চা চামচ কাঁচা পেঁপের রস এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খাওয়ান।
শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
শিশুদের কৃমির জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা এই ধরনের ওষুধে আপনি বিশেষ ঝুকির সম্মুক্ষীন হতে পারেন। আর সেই সাথে এটি বিভিন্ন বয়সের বা দেহের ধরনের উপরে নির্ভর করে বদলাতে পারে।
আর ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা করতে চাইলেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাই সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ই চিকিৎসা করা দরকার।
যেহেতু বিশেষ কিছু বয়সের সাথে এই ওষুধের ধরন পরিবর্তন করা হয়ে থাকে, তাই এখানে বয়সের সাথে মিলিয়ে কিছু ওষুধের নাম ও তার ব্যবহার সমন্ধে দেওয়া হলো।
১ বছরের বাচ্চাদের কৃমির ঔষধের নাম
১ বছরের বাচ্চাদের জন্য সবচেয়ে ভালো আর বেশি ব্যবহৃত ওষুধ হলো অ্যালবেন্ডাজল (Albendazole)। আর এই ওষুধটি যথেষ্ট কার্যকারীও। তার সাথে আরো কিছু ওষুধ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কিছু ওষুধের তালিকা।
৬ মাস থেকে ২ ছরের বাচ্চা শিশুদের জন্য সবচেয়ে ব্যবহৃত ও কার্যকারী ওষুধের তালিকায় রয়েছে ২০০ মিলিগ্রাম (Albendazole)। যা শিশুদের জন্য অত্যান্ত কার্যকারী।
২ বছরের বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ
১ বছর ও তার নিচের বয়সের শিশুদের কৃমির ওষুধের সাথে ২ বছরের বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে। তাই ২ বছরের বাচ্চাদের জন্য ৪০০ মিলিগ্রাম (Albendazole) সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
এই ওষুধ একবার খাওয়াতে হয়। প্রয়োজনে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর পুনরায় খাওয়ানো যেতে পারে।
বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
খাওয়ার পরে বা রাতে ঘুমানোর আগে ওষুধ খাওয়ানো ভালো। খালি পেটে সাধারণত কৃমি নাশক ওষুধ সেবন না করানো উচিৎ। ট্যাবলেট গুড়ো বা চূর্ণ করে পানির সাথে মিশিয়ে শিশুদের খাওয়াতে পারেন। তার সাথে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া শিশুদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।
বিশেষ কিছু সতর্কতা হলোঃ শিশুর পেট ব্যথা, বমি, বা ডায়রিয়া হলে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে পারেন বা ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের কৃমির ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনোই খাওয়াবেন না। ওষুধ খাওয়ানোর পরে যদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, যেমন বমি বা বেশি অস্থিরতা, তাহলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।