নবজাতক একটি ভবিশ্যতের নাম। নবজাতক আসলে ছোট বাচ্চা শিশুকে বলা হয়ে থাকে। আর আমরা নবজাতক ও গর্ববতী মায়ের জন্য বিশেষ একটি ক্যাটাগরি তৈরি করে রেখেছি, এই ক্যাটাগরিতে আপনারা মা ও শিশুর সকল প্রকারের স্বাস্থ সম্পর্কিত সকল তথ্য পেতে পারেন।
নবজাতকের অসুস্থ হওয়াটা খুবই সাভাবিক। কারন এই ১ মাস বয়সের ছোট শিশুটির দেহটা খুবই নরম ও মশৃন থাকে। তাই দেহে রোগে আক্রান্ত হওয়াটাও অত্যান্ত সাভাবিক বিষয়। কিন্তু সেই নবজাতক কে সুস্থ করাটাও অতি জরুরি আর এজন্য সঠিক সময়ে সঠিক আর উচ্চ চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
১ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয়
প্রথমেই নবজাতকের জন্য উষ্ণ স্থান করে তাকে সেখানে রেখে সুস্থ করে রাখার চেষ্টা করতে হবে। আর তার যেন কোন ভাবেই অসুস্থ না হয়, সেজন্য চেষ্টায় কমতি রাখা জাবে না।
তবে যদি কোন ভাবে সর্দি, জ্বর বা ঠান্ডা লেগেই যায়, তাহলে তার জন্য উচ্চ চিকিৎসা নিতে হবে। এজন্য নবজাতকের মা সহ শিশুকে নিয়ে দক্ষ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন।
১ মাসের শিশুর সর্দি হলে ঘরোয়া চিকিৎসা
বিশেষ কিছু ঘরোয়া সতর্কতা অবলম্বন করে রাখা উচিৎ, তার মধ্যে অন্যতম কিছু হলো
- শিশুর নাক পরিষ্কার রাখুন
- গরম ভাপ দিন
- মায়ের বুকের দুধ পান করান
- ঘরের পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন
- তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন
- উষ্ণ কাপড়ে মুড়ে রাখুন
- ডাক্তারের পরামর্শ নিন
- নবজাতকের মায়ের যত্ম নিন
- ঠান্ডা খাবার থেকে দূরে রাখুন
আশা করি উক্ত সকল বিষয়ে লক্ষ রাখবেন। আর চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত ওষুধ খাওয়াবেন। কেননা এই সর্দি, ভয়াবাহ রূপ ধারন করতে সক্ষম। আর ঘরের পরিবেশ ঠিক থাকলে কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে শুধু এই ঘরোয়া উপায়ে নির্ভরশীল হলে চলবে না, অবশ্যই ওষুধ খাওয়াতে হবে।
বিশেষ করে নবজাতকের মায়ের যেন ঠান্ডা বা সর্দি কাশি না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। সেজন্য ডাক্তারের কাছে পরামর্শ করা শরির উষ্ণ রাখা সহ ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে। আর শিশুর জন্য ঠান্ডা, কাশি, ও জ্বর সহ সকল প্রকারের শিশুদের রোগ সমন্ধে জানতে আমাদের শিশু বিষয়ে পোস্ট দেখে নিন। সেজন্য শিশু লিখে সার্স করে দেখতে পারেন, বা এই মা ও শিশু বিষয়ে পোস্ট দেখতে পারেন।
নরমাল স্যালাইন ড্রপ ব্যবহার করে নাক পরিষ্কার রাখতে পারেন। প্যারাসিটামল ড্রপ (Paracetamol) জ্বরের জন্য বা ডাক্তারের নির্দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণে ডোজ দেওয়া যায়। ১ মাসের নবজাতকের জন্য সর্দি-কাশির কোনো বিশেষ ওষুধ দেওয়া হয় তেমন, তাই এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
নাক পরিষ্কার রাখার জন্য নরম সুতি কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। ঘরের আদ্রতা কিছুটা গড়ম রাখার চেষ্টা করুন, উষ্ণ কাপড় পরিধান করান। সেই সাথে তাদের জন্য মায়ের বুকের দুধ ছাড়া তেমন কোন খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। তাই শিশুকে বেশি বেশি করে পর্যাপ্ত দুধ খাওয়ান এটি যথেষ্ট উষ্ণ থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
নবজাতকরে কারো পরামর্শে কখনোই মধু,কাঁচা দুধ ইত্যাদি দিবেন না। রুমে ধুলোবালি মুক্ত এবং শিশুকে ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখুন। শিশুকে ওষুধ খাওয়ানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।