মিল্ক শেক আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত উপকারী একটা জিনিস। তবে সকল জিনিসের কিছু ব্যাবহার বিধী থাকে, তার ই সাথে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা উপকারিতা ও অপকারিতা তো থাকেই।
তবে এই নিউজে আপনারা আমাদের বাংলা ভোর থেকে মিল্ক শেক সমন্ধে সকল কিছুই জানতে পারবেন। আর আশা করি আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে যথেষ্ট উপকার পাবেন। যা আমাদের অন্যান্য পোস্ট থেকেও পেয়ে থাকেন।
মিল্ক শেক কি?
খুবই প্রটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি জলিয় খাবার। যা কৃতিম ভাবে একাধীক উপাদান মিলিত করে তৈরি করা হয়। এটি শরিরের ভিটামিনের অভাব পুরন করে এবং শরিরের সতেচতা বৃদ্ধি করে দেয়।
তবে সেই সাথ এর নিয়মিত ভোগের কারনে শরিরে যেমন পুষ্টি জোগায় তেমন বেশি পরিমানে শেবন করলে আপনি যেমন উপকার পাবেন, তেমন বেশি ভালো করতে গিয়ে খারাপ করে ফেলবেন। তার সাথে আবার আপনি বিশেষ কিছু রোগেও ভুক্তভুগি হয়ে যেতে পারেন।
বিশেষ করে হাই পেশার, ডায়াবেটিস, ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই নির্ধারিত মাত্রায় সেবন করবেন। তার সাথে আমি নিচের অংশে বলেও দিব যে কিভাবে শেবন করতে হবে।
মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা
মিল্কশেক এর অনেকগুলো উপকরিতা রয়েছে। আমি আপনাদের জনপ্রিয় কিছু উপকারের কথা বলবো। তার সাথে ক্ষতিকরের বিষয়টাও বলে দিব।
তবে এই খাবার গুলো আমাদের দেহের ভালোর বা উপকারের জন্য ই তৈরি করা হয়ে থাকে। এগুলো বিশেষ ভাবে গবেষনা করে তৈরি করা হয়। তবে যে সকল জিনিস কৃতিমভাবে যা কিছু তৈরি করা হয়। সেখানে কিছু না কিছু ক্ষতিকর বিষয় তো থাকেই।
মিল্কশেক এর বিশেষ কিছু উপকারী বিষয় হলো-
- ভিটামিন, মিনারেল, এবং প্রোটিন সরবরাহ করে
- দ্রুত শক্তির উৎস, বিশেষ করে ব্যায়ামের পর।
- সহজে তৈরি করা যায় এবং পুষ্টি প্রদান করে।
- ফাইবার সহায়তা করে হজম প্রক্রিয়ায়।
- সুস্বাদু হওয়ায় মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
- দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে
- অতিরিক্ত খাবার খাওয়া কমায়।
- শরিরের দুর্বলতা দূর করে।
- ওজন বাড়াতে সাহায্য করে
- মাথার চাপ কমায়
এমন আরো কিছু উপকার এই মিল্ক শেক থেকে পাবেন। তাই যদি কেউ প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে এটি শেবন করতে পারেন। তার সাথে আমি নিচের দিকে এর নির্ধারিত বাজার মুল্য দিয়ে দিব। এবং বিভিন্ন কোম্পানি ও প্যাকের বিষয়ে ও জানিয়ে দিব।
ক্ষতি কর কোন বিষয় আছে মিল্কশেকে সেগুলো নিচের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অপশনে ভালোভাবে দেওয়া থাকবে। তবে মিল্কশেক খাওয়ার সময় উপাদান, পরিমাণ এবং আপনার সার্বিক জীবনযাত্রার ওপর নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম
সকল জিনিসের ই কিছু না কিছু নিয়ম নিতী থাকে। সেটা হতে পারে খাবার , পোষাক বা অন্য কিছুর ব্যবহার। সঠিক ব্যবহার না করলে সে টি যেমন ক্ষতির কারন হতে পারে, তেমন আবার ব্যবহার ও বৃথা যাবে।
সাধারনত প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে, ভরা পেটে বা খাওয়ার ২০-৩০ মিনিট পরে ১ গ্লাস গরম দুধের সাথে ১ চামচ মিল্ক শেক ভালোভাবে মিশিয়ে পান করবেন।
মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
যতটা ভালো – ততটাই খারাপ রুপ নিতে পারে। তাই সকল কিছুর মতো মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমন্ধেও জেনে নেওয়া উচিৎ।
সাধারন অর্থে প্রাকৃতিক সকল উপাদানেই মানুষের দৈহিক উপকার হয়ে থাকে। তবে তার সাথে যে সেগুলোর অপব্যাবহারে ক্ষতি হবে সেটাও বলতে বাধা রাখে না। তাই উপরের নিয়ম মেনে খেতে হবে, যা আমরা মিল্ক শেক খাওয়ার নিয়ম অপশনে দিয়েছি।
তার সাথে কিছুটা মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। আর বিশেষ কিছু দেহের জন্য সমস্যার কারন হতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো
যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে এগুলো খেতে চাইলেও ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না। আর চিনির ব্যবহার তো রয়েছেই। সেগুলো ও দেখে নিতে হবে।
যদি আপনারর গ্যাসটিকের সমস্যা থাকে, তাহলে এটি সাবধানতার সাথে খেতে হবে। কারন দুধ খাওয়ার কারনে গ্যাসে খুব সমস্যা করতে পারে। সে জন্য গ্যাসের ওষুধ খেতে পারেন। আর গ্যাসের ঘরোয়া চিকিৎসা করে আমাদের এই ওয়েবসাইটে পোস্ট থাকবে, সেগুলো দেখতে পারেন।
দূর্বল পেট: অতিরিক্ত দুধ বা চিনির কারণে কিছু মানুষের পেটের সমস্যা হতে পারে।
অ্যালার্জি: দুধের প্রোটিনের জন্য অ্যালার্জি সৃষ্টি হতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি: অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের ফলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
ডায়াবেটিসের সমস্যা: চিনির পরিমাণ বেশি হলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
মাথা ঘোরা: চিনির কারণে রক্তে গ্লুকোজের হঠাৎ বৃদ্ধি এবং পরে কমে যাওয়ার ফলে মাথা ঘোরাতে পারে।
শারীরিক অস্বস্তি: কিছু মানুষ দুধের ফলে গ্যাস বা অস্বস্তিতে ভোগেন।
মিল্ক শেক এর দাম কত
milkshake অনেক প্রকারের হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হলো বাদাম মিল্ক শেক, চকলেট মিল্ক শেক, ওয়েট গেইন মিল্ক শেক ইত্যাদি।
তার সাথে আবার ভালো খারাপ তো ভেদাভেদ বাংলাদেশে থাকবেই। সেদিকে তো খেয়াল রাখতেই হবে। তাই সেদিকে দাম তো কমবে বা বাড়বেই। সেদিকে তো খেয়াল রাখতেই হবে।
তার পরেও বাংলাদেশে সাধারনত ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০০ টাকা বা তার চেয়েও বেশি কিছুটা দামের ভিন্ন ভিন্ন প্যাপ পাওয়া যায়।
মডেল বা প্যাক | বাজার মুল্য |
নেস্কিক কলার স্বাদ milkshake | ৫৮০ টাকা |
কমপ্ল্যান চকোলেট milkshake | ৬৫০ টাকা |
সুস্বাস্থ্যের জন্য মালাই milkshake | ১২০০টাকা |
ওয়েট গেইন milkshake | ২০০ টাকা |
হেল্থ গেইন milkshake | ৬০০ টাকা |
কম্বো দুধ, চকলেট, বাদাম শেক | ২০০০টাকা |
এই ধরনের সাস্থকর সকল খাবার সমন্ধে জানতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে জয়েন করে রাখুন। তার পরে আমাদের সকল নিউস সবার আগে ই পেয়ে জাবেন। আমাদের হোয়াটঅ্যাপ চ্যানেল।
এছাড়াও আমাদের গুগল নিউস প্রফাইলে ফলো করেও আমাদের সকল নিউস সবার আগে পেতে পারেন। ফলো দিতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।