আমরা অনেকেই ১ টি দোয়াকে ইফতারের দোয়া হিসেবে চিনে থাকি। তবে মুলত ইফতারে আরো বেশ কয়েকটি দোয়া আছে যা সাধারনত প্রশিদ্ধ নয়। তবে ইফারের সময় যেহেতু সকল প্রকারের দোয়াই মহান আল্লাহ কবুল করেন, তাই এই বিশেষ দোয়া গুলো পড়ে নেওয়া ভালো। আর একই সাথে বাংলা ভাষায় নিজের মনের সকল দোয়াও মন থেকে আল্লাহকে জানিয়ে দেওয়া উঁচিৎ।
বিশেষ করে, সম্ভব হলে ইফতারের আগে হাত তুলে মোনাজাতের মাধ্যমে সকল দোয়া করে নেওয়া উঁচিৎ। আবার যদি না পারেন তবেও মনে মনে দোয়া করতে পারেন।
ইফতারের ৩ টি প্রশিদ্ধ দোয়া বাংলা উচ্চারণ
সবচেয়ে বেশি প্রচলিত দোয়া হলোঃ
আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিজের মাধ্যমে ইফতার করছি।
তার পরে জনপ্রিয় স্থানে রয়েছে আরো একটি ইফতারের দোয়া। দোয়াটি হলোঃ
"আল্লাহুম্মা ইন্নি লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু"
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার প্রদত্ত রিজিক দ্বারা ইফতার করছি।

এক্ষেত্রে এই দোয়া ২ টি প্রায় সমান অবস্থানে রয়েছে। উপরের দোয়াটিতে একটি কম শব্দ থাকায় অনেকে এটি মনে রাখতে পারে, তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই উপরের দোয়াটি ইফতারের সময় পড়া হয়। তবে এই দোয়াটির সাথে আরো উল্লেখযোগ্য একটি দোয়া রয়েছেঃ
জাহাবাজ জামাউ, ওয়াবতালাতিল উ'রুকু, ওয়া ছাবাতাল আযরূ ইনশাআল্লাহু তায়ালা।
অর্থঃ পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সওয়াবও স্থির হলো।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় আলেমগন নিচের দোয়াটি পাঠ করেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে উভয় দোয়াই পাঠ করা উত্তম। যেহেতু ইফতারের আগে সবাই ইফতারের অপেক্ষাই করতে থাকে। তাই এই দোয়া ছাড়াও নিজের প্রয়োজন মতো আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া বা প্রাথনা করে নেওয়া উঁচিৎ।