ব্লগ ও ভ্লগের সম্পুর্ন vlog kivabe korbo

0
616
vlog kivabe korbo
vlog kivabe korbo

বাংলা ভোর অনলাইন পত্রিকার নতুন পোস্ট vlog kivabe korbo তে আপনাদের সবাইকে সাগতম। আশা করি আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমরা এই পোস্টে আপনাদের সাথে ব্লগ এবং ভ্লগ এর সম্পুর্ন বিষয়ে আলোচনা করবো এবং পার্থক্য বুঝিয়ে দিব। তার সাথে vlog kivabe korbo এর সম্পুর্ন গাইডলাইন দিব।

আমাদের জানতে হবে কিছু বিষয়। এর পরে শিখতে হবে কিছুটা সময় ব্যয় করে, তার পরে আমরা ভ্লগ ভিডিও বানাতে পারবো এবং অনলাইনে আপলোড করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতেও পারবো। এর জন্য প্রথমেই জানতে হবে ভ্লগ কি।

ভ্লগ ভিডিও কি

কোন একটা বিষয়ে সম্পুর্ন ধারনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা সহ ভিডিও তৈরি করাকে ই এক ধরনের ভ্লগ ভিডিও বলা হয়। আরো বিস্তারিত বলতে গেলে, সময়ের সাথে মানুষ উন্নতির মুখ দেখেছে। তার ধারাবাহিকতায় আজ আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা ইউটিউব ফেসবুকের মতো শত শত সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারি, আবার সেখান থেকে টাকাও ইনকাম করতে পারি।

অনলাইন থেকে ইনকামের অন্যতম একটা মাধ্যম হলো ভ্লগ ভিডিও বানানো। ভ্লগ ভিডিও নামে আমরা সাধারনত বিভিন্নস্থানে ঘুরে ঘুরে সেখানকার সকল বিষয় ভিডিওতে শেয়ার করা এবং সেখান থেকে সকল তথ্য সংগ্রহ করে তা ভিডিওতে বলে দেওয়া।

অনেক সময় আমরা খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে বা বউ নিয়ে ভিডিও করে, সেক্ষেত্রে এই ভ্লগ ভিডিও কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। আমরা সেটা সমন্ধে বলে গেলে আমাদের আগে বিভাগ গুলো জানতে হবে।

কি কি ধরনের ভ্লগ ভিডিও করা যায়

  • ঘুরে ঘুরে জনপ্রিয় বিষয়ে
  • কাপল ভ্লগ
  • ফুড ভ্লগ
  • ফানি ভ্লগ
  • রিভিউ ভ্লগ
  • প্রিমিয়ম ভিডিও ভ্লগ
  • ফিশিং ভ্লগ
  • ট্যুর ভ্লগ
  • বাইক ভ্লগ
  • সাইন্স ভ্লগ
  • ইভেন্ট ভ্লগ
  • কৃষি ভ্লগ

আরো ইত্যাদি বিষয়ে আমরা অনেক সময়ে ভ্লগ ভিডিও দেখতে পাই। সেগুলো নিয়ে আমরা নিচের দিকে আরো আলোচনা করবো। তার সাথে বলে রাখা ভালো, আপনি এখান থেকে কোনটা কি কাজ সেটা সমন্ধে না জানলেও চলবে, আপনি যে কাজে দক্ষ সে কাজের ভিডিও দিলেই চলবে।

ব্লগ আর ভ্গল এর পার্থক্য

সময়ের সাথে আমাদের বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ায় ও ভ্লগের প্রচলন বেড়ে গেছে। তবে আমাদের এই ২ দেশেই অনেক আগে থেকে ই ব্লগিং এর প্রচলন ছিল। আমাদের দেশের ছেলেরা কোটি কোটি টাকা প্রতি বছর ইনকাম করতে সক্ষম ব্লগিং এর মাধ্যমে।

তবে আজকের বিষয় ব্লগ নয়, আমাদের আজকের বিষয় ভ্লগ ভিডিওর উপর। যদি আপনারা ব্লগিং শিখে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে চান, তাহলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে ফলো দিয়ে রাখুন। আমরা আগামি দিনে আপনাদের জন্য ব্লগিং শুরু করার বিষয়ে সম্পুর্ন গাইডলাইনের উপর পোস্ট দিব।

তবে ব্লগিং অর্থ বলতে গেলে, কোন বিষয়ে বিস্তারিত লেখাকে ব্লগ বলে, আর এই লেখা কাজটিকে ব্লগিং বলে। যারা এই লেখা লেখি করে তাদের বলে ব্লগার। অন্যদিকে যারা ভিডিও বানায় তাদের বলে ভ্লগার, যে ভিডিও বানায় তাকে বলে ভ্লগ ভিডিও ।

ব্লগ চ্যানেলের এবং পেজের নাম

আপনারা সবাই ই ভ্লগ চ্যানেল এবং পেজকে ব্লগ চ্যানেল এবং ব্লগ পেজ হিসেবে চিনে থাকেন, সেজন্য আমাকেও সেই নাম ব্যবহার করতে হইছে। তবে যা ই হোক, আমরা এই পোস্টে আপনাদের সাথে চ্যানেল এবং পেজের সুন্দর সুন্দর নামের সন্ধান দিব। তার আগে একটা গুড নিউস হলো আপনারা নিজেরাই চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে সুন্দর সন্দর নাম খুজে নিতে পারেন।

চ্যাট জিপিটি তে গিয়ে আপনার চ্যানেল সমন্ধে ২-৫ লাইন লিখে দিবেন, আপনার চ্যালেন এর ভাষা এবং কত জন সদস্য কোন কোন দেশের জন্য চ্যানেল করতেছেন তা বিস্তারিত বলে দিলেই হবে। উদাহরন সরুপ নিচের লেখা লাইনটি কপি করে এডিট করেও চ্যাট জিপিটিতে দিতে পারেন। আবার আমাদের থেকে জানতে চাইলে আমাদের হোয়াটঅ্যাপে জয়েন করতে পারেন। কারন একটা চ্যানের জীবন ই তার নাম। নাম ভালো না হলে তার মুল্য তেমন বেশি কখনোই হবে না।

আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শনিয় স্থানে ঘুরে ঘুরে ভিডিও বানাই, এবং সেখানকার সকল তথ্য শেয়ার করি। আমার চ্যানেলের মুল ভাষা বাংলা। আমার চ্যানেলে আমি একাই ভিডিওতে সামনে থাকি, আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন খাবারের ভিডিও করি, আমি বিভিন্ন গাড়ির ভিডিও করি না। আমার নাম বাংলা ভোর, এখন আমার চ্যানেলের জন্য বাংলা ভাষায় কি নাম রাখলে ভালো হবে।

উপরের লেখাটা কপি করে নিজের তথ্য গুলো লাল জায়গায় পরিবর্তন করে, চ্যাটজিপিটিতে দিয়ে দিলেই আপনার জন্য অনেকগুলো নাম পেয়ে জাবেন। তার সাথে আমরা ও অনেকগুলো নাম সাজেস্ট দিলাম।

  • নিজের নাম অন দ্যা গো
  • বাইকার গো
  • বিশ্বের পথে
  • নিজের নাম টি
  • নিজের নাম ভ্লগ
  • নিজের নাম শুরু
  • কামিং মি
  • কোথায় আছে
  • কেমনে কোথায়
  • বাংলা ভ্লগ
  • প্রিয় কন্টেন্ট

আরো অনেকগুলো পাবেন যখন আপনি চ্যাট জিপিটি থেকে নিতে যাবেন। তখন দেখবেন আপনার পছন্দের নামটি পেয়ে জাবেন। আর অবশ্যই ভালো নাম খুজে নিবেন। প্রয়োজনে আমাদের সাথে ও যোগাযোগ করতে পারেন।

fsi blog

এফ সি আই কোন ভ্লগ চ্যানেলের নাম নয়। এফ সি আই একটা ব্লগ ওয়েবসাইট, তবে খুবই ছোট একটা ওয়েবসাইট। তবে কেউ ভুল করে এটাকে গুগলে পেয়ে ভ্লগ ভেবে ভুল করবেন না। আর আমি আশা করি ব্লগ আর ভ্লগের পার্থক্য বুঝে গেছেন, আজ থেকে আর এই ভুল কথাটা ভুল হিসেবে চালিয়ে দিবেন না।

sss tips blog

এস এস এস টিপস ব্লগ ও একটা সিম্পল ব্লগ। তবে আমাদর দেশের মানুষ অনেক সময় এটাকে ভ্লগ বলে ভুল করে। ভিডিও করলে তাকে ভ্লগ বলে আর লিখে পোস্ট করাকে ব্লগ বলে। এই বিষয়ে ক্লিয়ার ধারনা দেওয়ার চেষ্ট করলাম।

vlog kivabe korbo

এই অপশনে আপনাদের শেখাবো কিভাবে ভ্লগিং শুরু করতে পারেন। তবে বলে রাখা ভালো, আপনি যদি অনলাইনের দক্ষতা অর্জন করতে চান, তাহলে আমাদের সাথে থাকতে পারেন। আমাদের সাথে থাকলে আমাদের গুগল নিউসে বা হোয়াটঅ্যাপে ফলো দিতে পারেন।

ভ্হগিং আর ব্লগিং এর পার্থক্য বলে দিয়েছি। তার সাথে বলে রাখা ভালো, ব্লগিং সহজ আর ভ্লগিং একটু কঠিন হয়ে পরে। তবে ব্লগিং করে তেমন পরিচিতি পাওয়া যায় না। কিন্তু ভ্লগিং করলে মানুষ চিনে থাকে বেশি। তার সাথে আবার ভ্লগিং করতে হলে একা অসম্ভব প্রায়। ভালো দক্ষতা সম্পুর্ন কয়েকজন প্রয়োজন। কারন এডিটিং এবং ভিডিও স্কিপ্ট লেখতে হয়।

প্রথম ধাপ

আপনি যদি ভ্লগিং করতে চান, তাহলে আপনাকে আমি আমার পক্ষ থেকে কয়েকটি ধাপ দিয়ে রাখবো। আপনি ধাপগুলো পার করতে পারলেই একজন ভ্লগার হতে পারবেন।

প্রথম ধাপে ই থাকবে, আপনি একটা ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজ খুলবেন। সেক্ষেত্রে এক ই নাম দিতে পারেন। তবে যদি কন্টেন্ট ভালো না হয়, তাহলে আপনি একটু ভিন্ন নাম দিতে পারেন। ইউটিউবে নাম কোনটি বেশি সার্স হয় এমন নাম দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি এই লিংকের টুলসটি দেখতে পারেন।

এর পরে আপনি সুন্দর করে সময় নিয়ে একটা লোগো বানিয়ে নিবেন। আমার মতে ১০ টা লোগো বানিয়ে রাখবেন, তার পরে সেখান থেকে একটা ব্যাবহার করবেন। তবে ১০ টা বানালে বুঝতে পারবেন যে কষ্ট করে একটা বানালে সেটাই ভালো লাগে নিজের কাছে, আর ১০ টা হলে সেখানে মানুষের ভালোলাগাটা বুঝতে পারবেন। লোগো বানাতে ক্যানভা ব্যবহার করতে পারেন।

ধাপ ২

যদি আপনি ভিডিও এডিটিং তেমন ভালো না পারেন, তাহলে আগেই নিজে ভিডিও করতে জাবেন না। আগে পরের ভিডিএ নিয়ে নিজে এডিট শিখবেন। তবে এই ভিডিও ভুলেও নিজের চ্যানেলে আপলোড করবেন না। এই ভিডিও শুধু টিকটকে আপলোড করতে পারেন। যে কোন কপিরাইট ভিডিও আপলোড করেও আয় করার উপায় আমরা আগামি পোস্টে দিব।

আর যদি আপনার সাথে টিম থাকে, তাহলে আপনি একেক জন মেম্বরকে একেকটি কাজ বুঝিয়ে দিবেন। ভিডিও এডিটিং এবং ইমেজ এডিটং এর উপর আগামিতে আমরা পোস্ট করবো। কেনটা ভালো আর কোনটা কি কাজে লাগে।

ধাপ ৩

এগুলো ঠিক করা হয়েগেলে আপনি রাস্তায় রাস্তায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মোবাইল এবং ক্যামেরা ব্যবহার করে ভিডিও করার চেষ্ট করবেন। লজ্জা লাগলে মাস্ক পরে নিতে পারেন। তবে ধীরে ধীরে ভালো হতে থাকবে। প্রয়োজনে ১ মাস নিয়মিত আসেপাসের বিভিন্ন বিষয়ের ভিডিও করবেন। তবে প্রথম ১ মাসে আপলোড করার প্রয়োজন নেই। ভিডিও যতই ভাল হোক, ১ মাস আপলোড করবেন না।

ধাপ ৪

ভালো ভিডিও করতে হবে, থাম্বেইল, টাইটেল ভালো দিতে হবে, ভিডিওতে এডিট ভালো হতে হবে। ভিডিওতে সুন্দর কালার ব্যবহার করতে হবে, সকল ইউটিউবার রা ই তাদের সাধারন করা ভিডিওতে কালার ব্যবহার করে।

এর পরে ট্যাগ সহ সবকিছু দিয়ে আপলোড করতে পারেন। এতোকিছু করতে শুরু থেকে ২ মাসের বেশি টাইম নিবেন। এর আগে যতই ভালো হোক ভিডিও আপলোড করবেন না।

প্রতি সপ্তাহে ১ টা করে ভিডিও আপলোড করবেন। সারা সপ্তাহ ধরে একটা ভিডিও তৈরি করে সপ্তাহ শেষে একদিন তা আপলোড করবেন। সারা সপ্তাহে ১টার বেশি আপলোড করবেন না। আর নিজে নিজে কারো কাছ থেকে ভুলেও সাবসক্রাইব নিবেন না। সপ্তাহ ভরে মাত্র ২ মিনিটের একটা করে ভিডিও বানাবেন। আর সেখানে পর্যাপ্ত তথ্য রাখবেন। যাতে সেই ভিডিও থেকে মানুষ ভালো কিছু শিখতে পারে।

আমি আশা করি এই স্টেপগুলো ফলো করতে পারলেই আপনি ভালো ফলাফল পেয়ে জাবেন। আর আমাদের সকল আপডেট পেতে চাইলে আমাদের গুগল নিউসে ফলো করে রাখুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here