কাজু বাদাম একটি বিশেষ ফল। এই ফলে রয়েছে হাজার গুন। আর একই সাথে এটি বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। আবরা অনেক ধরনের ওষুধেও এই কাজু বাদাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কাজু বাদাম ব্যবহারের অন্যতম একটি স্থানে রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের চকলেট ও বিস্কুটের জন্য এবং জুস সহ বিভিন্ন খাবারের ঘ্রান ও স্বাদ বাড়াতে ব্য়বহার করা হয়।
কাজু বাদাম এর উপাদান কি
কাজু বাদাম এর বিশেষ যে সকল উপাদান বিদ্যমান থাকে, তার মধ্যে অন্যতম কিছু উপাদানের তালিকা দেওয়া হলো।
- কার্বোহাইড্রেট
- প্রোটিন
- ফ্যাট
- ভিটামিন
- ভিটামিন E
- ভিটামিন K
- ভিটামিন B6
- কপার
- ম্যাগনেসিয়াম
- জিঙ্ক
- সেলেনিয়াম
- আয়রন
- পটাসিয়াম
- অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস
- ফাইবার
- ক্যালরি
এই উপাদান সমন্ধে হয়তো সবার তেমন শুক্ষ ধারনা নেই। এজন্য আমরা এর বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের এই উপাদাানের উপকরিতা এবংং ক্ষতিকরিতা সমন্ধে জানিয়ে দিব।
কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
বাদাম খাওয়ার বিশেষ কোন নিয়ম নেই। বাদাম একটি শখের খাবার বলা চলে, সেই সাথে বাদামের যেহেতু বিশেষ পুষ্টি বিদ্যমান থাকে। তাই এই পুষ্টি শরিরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। তাই তো এই বিশেষ খাবারের নিয়ম নেই।
কিন্তু যদি নিত্য দিন খাওয়ার অভ্যাস করতে হয়, তাহলে তো নিয়ম মেনে নিয়েই খেতে হবে। তা নাহলে তো দেহের উপরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতেই পারে।
প্রথমেই লক্ষনিয় যে সকল বিষয়ে আছে, তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ
- পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ রাখুন (পরিমান সমন্ধে নিচে দেখুন)
- কাঁচা বা ভেজে খাওয়া
- ভিজিয়ে খাওয়া
- খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া
নির্ধারিত পরিমাণ সমন্ধে জেনে নিতে নিচের দিকে আরো বিস্তারিত তথ্য পাচ্ছেন। সাধারন ভাবে কাঁচা কাজু বাদাম খেতে পারেন। এজন্য তেমন কোন নিয়ম নেই। শুধু পরিমাণ ঠিক রাখতে হবে। সেই সাথে বেশি খেলে পেটের সমস্যা লক্ষ করা যেতে পারে। বিশেষ করে পেটের সমস্যা উপলব্ধ হলে কাঁচা খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। কাঁচার বিপরিতে সদ্ধ করে খেতে পারেন।
ভিজিয়ে খাাওয়ার জন্য কাজু বাদাম ১০-১২ ঘন্টার মতো পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এর পরে তাা খেতে পারেন। আর শেষ অপশন হিসেবে চকলেট, শেমাই, জুস সহ ইত্যাদি খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
কাজু বাদামের উপকারিতা
কাজু বাদামের বিশেষ উপাদান সমন্ধে উপরে তালিকা দিয়েছি। আর এদিকে আমরা এই কাজু বাদামে আমাদের দেহে কিভাবে উপকার করে, তার বর্ননা দেওয়া হবে।
- গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যার জন্য কাজু বাদাম ভিজিয়ে খেতে পারেন
- হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে বিশেষ সাহায্য করে
- হাড় মজবুত করতে এবং শক্ত রাখতে সাহায্য করে
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ফলে প্রেশার ঠিক রাখা যায়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে,রোগের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রোমন থেকে বাচায়
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে,ফর্সা করে ত্বকের রঙ
- চুলের গোড়া শক্ত, চুল কালো,গাড় করে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
- কোলেস্টেরল ঠিক রাখে
- ওজন নিয়ন্ত্রণে করে
- মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, ব্রেনের ক্ষমতা বাড়ায়
- হজমশক্তি উন্নত করে, পেটের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি থেকে বাঁচায়
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- শারেরিক শক্তি বৃদ্ধি করে,শক্তি সংক্রিয় রাখে
- চোখের দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে ও বৃদ্ধি করে
- ক্যানসার প্রতিরোধে শক্তি যোগায়
কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক
শক্তি বেশি হলেও ক্ষতি করে। আর একই সাথে খেয়াল করে রাখতে হবে এই বাদামের যদি কোন ক্ষতিকর দিক লক্ষ্য করা যায়, তাহলে করনিয় পদক্ষেপ নিতে হবে, বা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
- অতিরিক্ত কাজু বাদাম খেলে ওজন বাড়তে পারে, তাই যদি অতিরিক্ত ওজন থাকে তাহলে এটি এড়িয়ে চলুন।
- বেশি ক্যালোরি ও ফ্যাটে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে , তাই অতিরিক্ত খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন।
- লবণাক্ত বা মসলাযুক্ত কাজু উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করতে পারে, এটি প্রেশারের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, আবার এই কাজু বাদাম ডাায়াবেটিসের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অতিরিক্ত গ্রহণ ক্ষতিকর হবে, তাই এটি এড়িয়ে চলুন।
- বেশি বেশি কাজু বাদাম খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা (যেমন গ্যাস বা পাতলা পায়খানা) হতে পারে।
- অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত কাজু কিডনির সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- কাঁচা কাজু বাদামে থাকা ইউরুশিওল (Urushiol) রাসায়নিক কিছু মানুষের জন্য বিষাক্ত হতে পারে, তাই এটি কম খেলে তেমন সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।
- বেশি খেলে লিভারে সমস্যা দেখা যেতে পারে।
সাধারন ভাবে দেখা যায়, কাজু বাদাম কম খেলে তেমন সমস্যা হয় না। তাই নিয়ন্ত্রন করে খাওয়া উচিৎ। আর বেশি খেলে উপরের সমস্যাগুলো লক্ষ করা যেতে পারে। তাই লক্ষনীয় ক্ষতিকর বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ করে নিন।
সকালে খালি পেটে কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটেও উপরের উপকরিতা পাবেন। সেই সাথে বাদাম খালি পেটে খেলে কিছুটা মোটা হওয়া শক্তি বেশি হওয়ার বিশেষ উপকার লক্ষ করা যায়। সকালে খালি পেটে প্রথমদিকে সিদ্ধ করে খেতে পারেন। এবং ধীরে ধীরে ৮-১০ ঘন্টা ভিজিয়ে খেতে পারেন।
এই ধরনের সকল তথ্য পেতে আমাদের সাইটের নটিফেকেশন চালু করে রাখতে পারেন। এবং একই সাথে নিচের গ্রুপে জয়েন করে রাখতে পারেন।