কালের অবার্তমানে পার্সপোর্ট একটি বিশাল প্রয়োজনীয় জিনিস হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। সেই সাথে যারা একটু স্মার্ট বা বেশি সাহসের সাথে উদ্যগে নিজেকে জড়িয়ে রাখে, তাদের কাজের জন্য দেশের বাইরে যাতায়াত করা আর ইনপুট – আউটপুট করার জন্য বাহিরের সম্পর্কের জন্য পাসপোর্ট করা অত্যান্ত প্রয়োজন হয়।
এছাড়াও পাসপোর্টের রয়েছে অনেক অনেক গুন। অনেক অনেক কাজের জন্য পাসপোর্টে প্রয়োজন হয় বর্তমান সময়ে। বড় কোন ব্যবসা করার জন্য, অনলাইনেে লেনদেন করার জন্য সহ ইত্যাদি কাজেই পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়।
বিশেষ করে যারা গুগল প্লে কনসোলের জন্য ক্রেডিট কার্ড ওঠানো বা হজ্জে যাওয়া, প্রবাসে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টের কোন বিকল্প নেই। তাই আমরা রিতিমতোই আপনাদের জন্য আমরা সেবা মুলক তথ্য শেয়ার করি, সেই সূত্রেই আমরা আজ প্রয়োজনীয় এই পাসপোর্টের জন্য আমরা এই জরুরি তথ্যগুলো শেয়ার করি।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট করতে বিশেষ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্যের ও কাগজের প্রয়োজন হয়ে থাকে। সেই সাথে আরো বিশেষ যে কিছু ফি ও লোকের প্রয়োজন হয়, সেগুলো আমরা জানিয়ে দিব।
ই পাসপোর্ট
যদি খুব সহজে আপনি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে চান, তাহলে আগে পাসপোর্টের অফেশিয়্যাল ওয়েবসাইটে যেতে হবে, তার পরে সঠিক তথ্য দিয়ে ফরমটি পুরন করে নিন। তার পরে আবেদন করে দিবেন।
এর পরে আপনার নির্ধারিত সময়ের পরে আপনাকে কলের মাধ্যমে বা মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে। তার পরে আপনাকে সকল ডোকোমেন্টস সহ আপনাকে পরবর্তি ধাপের দিকে যেতে হবে।
আবেদনের লিংকটি https://www.epassport.gov.bd/
এই অনলাইনের মাধ্যমে নিজে আবেদন করতে পারলে তো ভালোই। আর নিজে না পারলে আশেপাশের কাউকে দিয়ে করিয়ে নিবেন। তাহলে অনেক ক্ষানি কষ্ট কমে যাবে।
পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজ লাগে
পাসপোর্ট করতে হলে বিশেষ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজের প্রয়োজন হয়। আর সেই কাগজগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় হলোঃ
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
- জন্মনিবন্ধন সনদ (যাদের NID নেই, তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন।)
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি (অফিস থেকেই তুলে দিবে)
- পিতামাতা বা অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য)
- সরকারি ফি জমার রসিদ (যা পাসপোর্টের ফি হিসেবে জমা দিবেন)
- পূর্বের পাসপোর্ট (যদি আগের করা থাকে)
- পেশার প্রমাণপত্র (শিক্ষার্থী হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র, চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরির সনদ ইত্যাদি।)
যদি ১৮ বছরের নিচে হয়, তাহলে এর সাথে আরো কিছুটা তথ্যের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তার মধ্যে যা যা রয়েছে সেগুলোর তালিকা হলোঃ
- বাংলাদেশী জন্মসনদের ফটোকপি। (জন্মস্থানের জায়গায়র নাম অবশ্যই উল্লেখ্য থাকতে হবে।)
- শিশুর বাবা মায়ের পাসপোর্টের ফটোকপি।
- শিশুর A4 সাইজের সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙিন ছবি।
- ই-পাসপোর্ট ফি
আর এই কাগজের সাথে মাঝে মাঝে এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান বা মান্যগন্য কোন লোকের দ্বারা পরিচয় নিশ্চিত করন। এবং পুলিশের দ্বারা ক্রাইম বিষয়ক সকল তথ্য।
পাসপোর্ট ফি
পালপোর্টের জন্য নির্ধাকিত একটা ফি দিতে হয়। যা সরকারী ফান্ডে জমা হয়। আর এই টাকা দিয়ে একটি রিসিট নিয়ে সেটি সাথে রাখতে হবে।
পাসপোর্ট ফি বাবদ সাধারনত কয়েকটি ভাগে বিভক্ত রয়েছে। এটি সময়ের উপরে নির্ভর করে, যা অতি দ্রুত পেতে চাইলে ফি বেশি দিতে হবে। আর সেই সাথে আবার পেজের উপরেও ফি এর টাকার পরিমান বেড়ে যায়। নিচে সেই তালিকা দেওয়া হলোঃ
পাতা | নরমাল (১৫ দিনের মধ্যে) | জরুরি (৭ দিনের মধ্যে) | অতি জরুরি (২ দিনের মধ্যে) |
---|---|---|---|
৪৮ পেজের | ৩,৪৫০ টাকা | ৫,৭৫০ টাকা | ৬,৯০০ টাকা |
৬৪ পেজের | ৪,৬০০ টাকা | ৬,৯০০ টাকা | ৮,০৫০ টাকা |
এই ফি কোন দালাল বা অবৈধ ঘুষ নয়। এটি সরাসরি সরকারি নির্ধারন করা ফি। আর এই ফি সরাসরি রিসিট করে দেওয়া হয়। তাই এই রিসিট অবশ্যই নিজের কাছে রাখবেন। আর এই টাকা সরকারি ক্ষাতে জমা হয়।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক
পৃথিবীর সকল উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও এই ডিজিটাল সেবাটি চালু হয়েছে। এই ডিজিটাল সেবাটি আপনারা খুব সহজেই ভোগ করতে পারেন। আর ডিজিটাল সেবাগুলো যদি উপভোগ করতে না পারি, তাহলে এই সুযোগ সুবিধা থাকলেই লাভ কি বলুন।
তাই আমাদের এই সেবাগুলো ব্যবহার করা শিখতে হবে। আর এই সেবাটি খুব সহজে উপভোগ করতে পারলেই আপনাকে আর বার বার ফোন দিয়ে , টাকা খরচ করে দালাল দিয়ে জানার প্রয়োজন হবে না। তাই এই সুবিধাটি উপভোগ করুন।
ই পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক
পাসপোর্ট চেক করার জন্য কয়েকটি ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। তার ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে দেওয়া হলোঃ
প্রথমে আপনি https://www.epassport.gov.bd/landing এই লিংকি ব্রাউজারে খুলে নিন। তার পরে আপনি Track Passport অপশনে ক্লিক করে দেখুন।
আপনার পাসপোর্ট আবেদন নম্বর বা রসিদের নম্বর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিন। এর পরেই আপনি তথ্য সঠিকভাবে দিলে আপনার পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন। তবে সেজন্য পর্যাপ্ত তথ্য প্রদান করতে হবে। আর বলে রাখা ভালো, এই ওয়েবসাইট টি সরাসরি সরকারের দ্বারা পরিচালিত, আর এটি সম্পুর্ন নিরাপদ।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
পাসপোর্টের বিভিন্ন ধরন হয়ে থাকে। তার মধ্যে সময়ের ও পরিমান হয়ে থাকে, এর মধ্যে ৫ বছর ও ১০ বছর হয়ে থাকে। তার জন্য কাগজের যদিও কোন পরিবর্তন নেই, কিন্তু সেখানে টাকার ফি এর কিছুটা পরিবর্তন হবে। যা আমরা উপরে দিয়ে রেখেছি।