পেঁপে একটি বিশেষ উপকারী ফল। এই ফলের রয়েছে হাজার গুনাগুন। এই গুনগুলো আমাদের দেহের জন্য অনেক অনেক উপকার করে থাকে, যা আমাদের দেহের জন্য উপকারী উৎপাদন তৈরি করে আর সেই সাথে দেহের ভিতরে বিশেষ অনেক রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়, রোগ থেকে আরোগ্যও পাওয়া যায়।
আজ আমরা এই বাংলা ভোর অনলাইন পত্রিকা থেকে পেঁপের রস পেঁপের উপকরীতা সমন্ধে জেনে নিব। আর একই সাথে পেঁপের পাতার রসের বা কষের বিশেষ কিছু উপকরীতা সমন্ধে জানিয়ে দিব। আর এটি আপনাদের ক্ষতিকর কোন প্রভাব করবে নাকি, সেটিও আমরা তুলে ধরবো।
পেঁপে পাতার উপাদান কি কি আছে
পেঁপের পাতার রসে বিশেষ কিছু উপকরীতা রয়েছে। তাই আমরা এর উপকরিতা সমন্ধে জেনে নিব। সাধারন অর্থে বিজ্ঞানের সাথে কিছু উপাদের সম্পর্কিত থাকে, আবার কখনো কখনো আমাদের আঞ্চলীক উপাদান থাকে, তাই আমরা নামের ভিন্নতার জন্য চিনতে পারি না, বা উপকারীতা সমন্ধে জানতে পরি না।
- ফাইবার: যা পরিপাকতন্ত্রের জন্য অত্যান্ত উপকারী।
- ভিটামিন সি: বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- ভিটামিন ই: ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, ত্বকের বিশেষ মশৃনতা বৃদ্ধি করে।
- ভিটামিন এ: চোখের জন্য উপকারী, তার সাথে এর আরো অনেক উপকারীতা রয়েছে।
- ক্যালসিয়াম: হাড়ের শক্তি বাড়ায়, ব্রেন বাড়াতে সাহায্য করে।
- ম্যাগনেসিয়াম: পেশি এবং নার্ভ কার্যক্রম উন্নত করে।
- পটাসিয়াম: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, প্রেশার ঠিক রাখে।
এই সাথে রাসায়নিক বিশেষ কিছু নামের বিশেষ কিছু উপাদান রয়েছে। তাই আমরা এই বিশেষ উপাদান সমুহের নাম জানিয়ে দিচ্ছি। রাসায়নিক উপাদান:
- প্যাপাইন এনজাইম
- কারপেইন
- ফ্ল্যাভোনয়েডস
- ট্যানিনস
- অ্যালকালয়েডস
এর সাথে কিভাবে অন্যান্য উপাদান কাজ করে, সেই সকল বিষয়ে আমরা বিস্তারিত সকল তথ্য শেয়ার করলাম। সেই সাথে এই পেঁপের মধ্যেও এই বিশেষ উপাদানগুলো বিদ্যমান থাকায়, পেঁপের পাতার রসের মতোই প্রায় পেঁপের রসে বা পেঁপের উপকরিতা করে।
ক্লোরোফিল উপাদানের উপকরিতা
ক্লোরোফিল একটি বিশেষ উপাদান, এটি সাধারনত আমাদের দেহের জন্য অত্যান্ত উপকারী হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এবং রক্তের ভেতরের ফাঙ্গাস ধংশ করে, ফলে আমরা ঘা, প্যাচড়া, চুলকানীর মতো কঠিন রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান
এই আমাদের দেহে বিভিন্ন কোষের দ্বারা গঠিত হয়েছে। দেহের মধ্যে অনেক অনেক কোষ রয়েছে। এই কোষগুলো বিভিন্ন কাজ করে। তবে এই কোষগুলো বিভিন্ন কারনে ক্ষয় হয়ে যায়, এটি দেহের শক্তি কমে যাওয়াসহ দেহের গঠন নষ্ট করে এবং দেহের সতেচতা কমিয়ে বৃদ্ধ করে ফেলে।
তাই এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের দেহকে দির্ঘ সময়ে শরির যুবকের মতো করে রাখে। কারন এই কোষ ভালো থাকার জন্য এই পেঁপের কষের মধ্যে আপনি এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান পাবেন।
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান
পেঁপে পাতার মধ্যে রয়েছে বিশেষ এই অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। এই উপাদানটি আমাদের দেহের বিশেষ যে সকল উপকার করে থাকে, তার মধ্যে বিশেষ হলোঃ
- জয়েন্টের ব্যথা সমস্যা কমানো।
- ত্বকের ব্রণের লালচে ভাব দূর করে।
- হজমজনিত জনিত সকল সমস্যার সমাধান ঘটায়।
পেঁপে পাতা লিভার ও জন্ডিসের জন্য উপকারী
পেঁপে পাতায় উপস্থিত প্রাকৃতিক এনজাইম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লিভারের জন্য অত্যান্ত উপকারী। এটি লিভারের থেকে ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে এবং সেই সাথে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। তাই প্রাচিন স্বাস্থ বিজ্ঞানে এই পেঁপের পাতার রসের দ্বারা এই রোগটি আরোগ্য করা হতো।
জন্ডিসের সমস্যায় সাধারণত লিভারের ক্ষমতা কমে যায় এর সাথে রক্তে বিলিরুবিনের পরিমা বেড়ে যায়। পেঁপে পাতায় রক্তের ফাঙ্গাস দূর করে।
পেঁপে পাতার রসের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
যেহেতু এই পেঁপে একটি বিশেষ প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় আসে বিশেষ পদার্থে। তাই এই উপাদানসমুহ বিভিন্ন ভাবেই ক্ষতিকর উপাদান মিশে থাকতে পারে। সেই একই সাথে বিভিন্ন জনের দেহে এটি বিভিন্ন ধরনের প্রকৃয়া ফেলতে পারে।
বিশেষ করে যেহেতু এই পেঁপে গাছ বিভিন্ন স্থানে জন্মায়, তাই সেখানে যদি কোন প্রকারের ক্ষতিকর পদার্থ থাকে, সেটি সেই গাছের মাধ্যে আপনার দেহে আসতে পারে, তাই এই দিকে লক্ষ রাখতে হবে।
- পেঁপে পাতার রস অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে বমি,পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, মুখের মধ্যে পুড়ে যাওয়া সহ ইত্যাদি সমস্যা তৈরি হতে পারে।
- অনেকের ক্ষেত্রে পেঁপে বা পেঁপে পাতার রসের ফলে অ্যালার্জি হতে পারে, ত্বকের র্যাশ, চুলকানি,শ্বাসকষ্টের হতে পারে।
- রক্ত পাতলা করার ওষুধ চলছে তাদের জন্য অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
- পেঁপে পাতায় উপস্থিত কিছু যৌগ গর্ভবতী নারীদের জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে তাই গর্ভাবস্থায় এটি এড়িয়ে চলা যেতে পারে।
- যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে, তাদের জন্য পেঁপে পাতার রস জ্বালাপোড়ার কারন হতে পারে।
- রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বা অ্যান্টি-কোয়াগুল্যান্ট সহ বড় ধরনের রোগের ওষুধ খেতে হলে এই পেঁপের সর এড়িয়ে চলা উচিৎ, এটি ওষুধের কার্যক্ষমতা কমিয়ে বা বাড়িয়ে দিতে পারে।
এই ধরনের সকল সাস্থ বিষয়ক তথ্য পেতে আপনারা আমাদের সাইটের নটিফেকেশন চালু করে রাখতে পারেন। এবং সেই সাথে নিচের হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করে রাখতে পারেন।