মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের উৎপাত

0
155
শাজাহান খান
শাজাহান খান

মাদারীপুরে যেমন বি এন পির বিশেষ ঘাঁটি রয়েছে। তেমন ই বিশেষ ঘাঁটি আওয়ামী লীগেরও। তবে গত মাসে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সংক্ষিপ্ত ইতি টানে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের ক্ষমতা।

ঠিক পুরোনো নিয়মের মতোই শুরু হয় নতুন করে অপরাধীদের ধরপর। সেই সাথে বেশির ভাগ আওয়ামী লাগ নেতারা বিদেশে পালিয়ে গেলেও, অনেক নেতাকে বিদেশে যাওয়ার সময়ে বা দেশে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় তাদের গ্রেফতার করে ফেলে দেশের প্রশাসনের লোক।

তবে যা ই হোক। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বেশ বড় মাপের একজন নেতা শাজাহান খান। তিনি আওয়ামী লীগের দলে থেকে নির্বাচন করতেন। মাদারীপুর -২ এবং মাদারীপুর -৩ আসনের বিশেষ অংশে।

মাদারীপুর কোটা আন্দলোনের সময়ে কলেজ ছাত্র দিপ্ত দে এর হত্যা মামলা এবং একজন রাজমিস্ত্রি হত্যার দায়ে শাজাহান খান এবং তার সাথে আব্দুস সোবহহান ওরফে গোলাপ কে আজ রবিবার আদালাতে হাজির করা হয়েছি।

তাদের আদালতে আনার কথা জেনে সকাল থেকেই আদালতের সামনে বিপুল পরিমানে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মি ও সাধারন জনগনের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। পরে আজ সকাল ১১টার দিকে শাজাহান খান এবং আবদুস সোবহানকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়। তার পরে বিচারক সাজিদ-উল-হাসান দুজনকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

সরেজমিনের রিপোর্টে দেখা যায়, পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তার মাধ্যমে সকাল ১১.৩০মিনিটের দিকে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যান আদালত চত্বরে এলে ভ্যানটিকে ঘিরে ধরেন শাজাহান খান ও সোবহানের ভক্তরা। প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর পর শাজাহান খান ও সোবহানকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন তাঁরা।

শাজাহান খান ও সোবহানকে আদালতের তৃতীয় তলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নেওয়া হলে সেখানেও ভিড় করেন তাঁদের অনুসারীরা। আদালতের কাঠগড়ায় অন্য আসামিদের মতো আলোচিত এই দুই নেতাকে তোলা হয়নি। তাঁদের কাঠগড়ার পাশে দুটি কাঠের চেয়ারে বসতে দেওয়া হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here