শবে বরাত ইসলামিক দৃষ্টিতে একটি বিশেষ ফজিলত পূর্ন রাতকে ধরা হয়। এই রাতকে কেন্দ্র করে ইসলাম ধর্মের মানুষেরা তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ন সময় পার করতে পারে, এই রাতেই মুসলমান ধর্মের অনুসারিরা তাদের ধর্মিয় কাজে পার করতে পারে, ধর্মিয় ভাবে তারা অনেক সওয়াব পেতে পারে। সেই সাথে ইসলামের ইতিহসে এই বিশেষ দিন শবে বরাত কে কেন্দ্র কর রয়েছে বিশেষ বিশেষ গুরুত্বপূর্ন কিছু ইতিহাস।
বাংলা ভোর অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে আমরা আজ শবে বরাতের সমন্ধে বিশেষ বিশেষ তথ্য ও শবে বরাতের রাতে করনীয় কাজ ও ইবাদাত সমন্ধে জানমাতে চলেছি। এই পোস্টের মাধ্যমে শবে বরাতের এই রাতের ফজিলত সমন্ধেও জানতে পারবেন।
শবে বরাত কি
শবে বরাতের প্রাথমিক আলোচোনায় সবর প্রথমে আপনি শবে বরাত সমন্ধে জানতে পারেন। শবে বরাত সাধারনত একটি দিন ও রাতের সমন্ধে গঠিত সময়কে বোঝায়। আর ইসলামে চাঁদের হিসেবে তারিখের গননা করা হয় এবং চাঁদের উপরে নির্ভর্শীল এই তারিখের অনুযায়ী ইসলামের সকল প্রকারের কার্যকরম পালিত হয়।
শবে বরাত সাবান মাসের মধ্যো দিন ও রাতের হিসেবে পালিত হয়। যেহেতু চাঁদের উপরে নির্ভর্শীল সময় সন্ধারাত থেকে গননা করা হয়, সেক্ষেত্রে শবে বরাত ও রাত থেকেই শুরু হবে। তাই যে দিন আরবি মাস সাবান এর ১৪ তম দিন শেষ হবে এবং সন্ধার পরে ১৫ তম তারিখ শুরু হবে, তখন থেকেই শবে বরাতের সকল কার্যক্রোম পালিত শুরু হবে।
শবে বরাত কবে
যেহেতু চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আরবি তারিখ গননা করা হয় বা চাঁদের উপরে নির্ভর করে আরবি তারিখের পরিবর্তন হয়, তাই এই শবে বরাত সহ ইসলামে প্রচলিত কোন তারিখের সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সরাসরি চাঁদের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে অথবা বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমে মোবাইল, কম্পিউটারের মাধ্যমে জানতে পারেন। সেক্ষেত্রে আমাদের ওয়েবসাইটেও আরবি লাইভ তারিখ জানতে পারেন।
শবে বরাতের ইতিহাস
শবে বরাতের প্রথম ইতিহাস এটি ইসলাম ধর্মের বিশেষ রাত্র হিসেবে পালিত হয়। এই রাতে রমজানের পূর্বাভাস দিয়ে থাকে, যা প্রায় ২ হাজার বছরের পুরোনো সভ্যতা ঘেসে এখনো পর্যন্ত সঠিক ভাবে পালিত হয়ে যাচ্ছে। এই রাতে ঘরে ঘরে, মাসজিদে মাসজিদে সয়ং স্রষ্টার স্বরন এবং স্রষ্টার কৃতজ্ঞতা জানানোর মাধ্যমে পালিত হয়। এবং ১৫ তারিখ সারা দিন সিয়ামের মাধ্যমে পালিত হয়।
"আল্লাহ তাআলা শাবান মাসের মধ্যবর্তী রাতে দুনিয়ার সবচেয়ে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন এবং বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন, তবে মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারীদের ক্ষমা করেন না।" (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
"এই রাতে বান্দাদের তাকদির লিপিবদ্ধ করা হয়, এবং কার কত আয়ু বাকি, কে কত রিজিক পাবে – তা নির্ধারণ করা হয়।"
শবে বরাত নিয়ে মতভেদ ও বিতর্ক
ইসলাম ধর্মে ফরজ নিয়ে কোথাও কোন মতবেদ নেই। তবে অঞ্চলের ভেদে বিভিন্ন ইসলামিক স্কলার বা ইমামের মতে বিভিন্ন নফল ইবাদাতের বিষয়ে বিভিন্ন মতবাদ দেখা যায়। সেক্ষেত্রে এ বিষয়ে কোন বিতর্কের সুযোগ নেই। যার ইচ্ছে হবে সে পালন করে (নফল) সওয়াব পাবে, আর যাদের বা যার ইচ্ছে হবে না, সে পালন করবে না। কিন্তু এই সকল নফল ইবাদাত কে অনেকে ইসলামিক শিক্ষার অভাব থাকায় গুরুত্বপূর্ন মনে করতে পারেন, তাদের জন্যই দক্ষ ইসলামিক আলেমের থেকে বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
আর যারা ফরজ ইবাদাত করে না, তাদের জন্য নফল ইবাদাত করার কোন প্রশ্নই আসে না। তারা তো কোন বিতর্কে যেতেই পারে না। তবে এই বিশেষ বিশেষ উল্লেখ যোগ্য রাতকে কেন্দ্র করো ধর্মিয় ভাবে প্রায় সবাই মহান রবের কাছে অনুতপ্ত হয় সেই সাথে অপকর্মের ক্ষমা প্রাথনা করে ও অপকর্ম থেকে বিরত থাকার অঙ্গিকার করে। আর অতিতে বাদ পড়া ফরজ ইবদাত এই দিনে (কাজা) পালন করার সুযোগ পায়।
সালাফি ও আহলে হাদিস এর মতে শবে বরাত উদযাপনের সুনির্দিষ্ট কোনো ভিত্তি নেই, কারণ কোরআন বা সহিহ হাদিসে এ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। তাই তারা এই রাতে সাধার রাতের চেয়ে বেশি কোন কাজ করে না।
সুন্নি ও সুফিদের মতে এই রাত ইসামিক ভাবে বিশেষ উল্লেখযোগ্য, আর ইসলামে ইবাদাত ই একটি বিশেষ উদ্দেশ্য, তাই বিশেষ দিনে বিশেষ ইবাদাত করাই উত্তম। সেই সাথে হযরত ওসমান রাযি. এর শাসন আমল থেকে শবে বরাতের বিস্তার বেশি ঘটে, অবশ্য হযরত ওসমান রাযি. আমাদের তুলনায় ইসলাম সমন্ধে বেশি ঞ্জানী ছিলেন, তিনি সম্মতি দিয়েছেন মানে এটি অবশ্যই ভালোর দিকে যাচ্ছে। এবং তারা ও আগে এই রাতে বিশেষ ভাবে সবাই নফল ইবাদাত করতেন।
শবে বরাতের আমল
শবে বরাত উপলক্ষে কোর আন হাদিসে তেমন কোন আমলের কোন উল্লেখযোগ্য বিষয় লক্ষ্যনীয় নয়। তবে সাধারনত অনেকেই সারা বছরেও কখনো রোজা রাখেন না। তাই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে একটি নফল রোজা রাখেন। কেউ কেউ একাধীক রোজাও রাখতে পারে। আর ১৪ ই সাবান শেষ হওয়ার পরে সন্ধায় ১৫ সাবান শুরু হলে তখন থেকে নফল বিভিন্ন ইবাদাত পালন করা যেতে পারে। বিশেষ করে নফল যে ইবাদাত করা হয় তা হলোঃ
- নফল নামাজ
- নফল রোজা
- তাসবি পড়া
- তাহাজ্জুত নামাজ
- সালাতুত তাসবিহ
- কুরআন তিলাওয়াত
- মুনাজাত
- পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা
- রবের কাছে ভালো কিছু প্রাথনা করা
সেই সাথে দান সদকা এবং হাদিয়ার মতো আমল ও বেশ লক্ষ্যনীয়। তাই এই ধরনের সকল আমল পালন করতে পারেন।
শবে বরাতের ফজিলত
ইসলামে ইবাদাত মানেই ফজিলত। বিশেষ হাদিস কুরআন থেকে স্পস্ট যে প্রাথনা বা দোয়া করার মাধ্যমে মানুষের অপকর্মের অনুতপ্ততা প্রকাশ পায়, বিপদ থেকে মুক্তি, রোগ থেকে মুক্তি, ভালো কাজের আগ্রহ, বিভিন্ন জিনিস বা কাজে বরকত সহ ইত্যাদি ফজিলত লক্ষ্যনীয়। তার সাথে হাদিসে আছে,
"যখন শাবান মাসের মধ্যরাত (১৪ তারিখের রাত) আসে, তখন আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার সবচেয়ে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন এবং বান্দাদের ক্ষমা করে দেন, তবে মুশরিক (অবিশ্বাসী) ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া।"
"এই রাতে আল্লাহ তাআলা বান্দাদের ওপর বিশেষ দয়া ও করুণা বর্ষণ করেন এবং তাদের গুনাহ মাফ করেন।"
"শাবান মাসের মধ্যরাতে এক বছরের রিজিক ও আয়ু নির্ধারণ করা হয়।"
আরো অনেক অনেক ফজিলত রয়েছে এই শবে বরাতের। কেউ কেউ সারা রাত আমলে মশগুল থাকে আর দিনে সিয়াম পালন করেন।
শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত
নির্ধারিত কোন নামাজ শবে বরাতের জন্য বলা নেই। অনেকে অনেক ধরনের প্রথা পালন করেন, কিন্তু এগুলো অতিরিক্ত অবস্থা ধারন করে, যা ইসলাম কখনোই সম্মতি দেয় না। তাই সকল ভ্রান্ত প্রথা ত্যাগ করে যার দেহের অবস্থা যেমন সেই অনুযায়ী শবে বরাতের নামাজ পালন করতে পারেন। এক্ষেত্রে নফলের কোন হিসেব নেই, ২ রাকাত করে যে যতটুকু পড়তে পারেন।
সাথে সালাতুত তাসবিহ নামাজ, যা বিশেষ নিয়ম মেনে পড়া হয়। সেই নিয়ম জেনে নিয়ে সালাতুত তাসবিহ নামাজ আদায় করতে পারেন। এবং প্রতিদিনের ন্যায়ে তাহাজ্জুত নামাজ আদায় করতে পারেন। তার সাথে ইচ্ছে হলে আরো কোন ইবাদাত করতে পারেন।
যাদের নামজ বাকি আছে বা কাজা হয়েছে, বাদ পড়েছে, তাদের জন্য সেই নামাজর পূর্নতা খুবই গূরুত্বপূর্ন, সেক্ষেত্রে সেই সকল নামাজের পূর্নতার নিয়্যাত করে সেই নামাজ গুলো আদায় করে নেওয়া উত্তম কাজ হবে। সেক্ষেত্রে নফল নামাজ না পড়লেও ভালো হবে বাদ পড়া নামাজ পড়ে নেওয়া।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত
শবে বরাতের যেহেতু বিশেষ কোন নামাজ নেই, তাই তার বিশেষ কোন নিয়্যাত ও নেই। তবে সাধারন নফল নামাজের জন্য নিয়ত করা হয়
আমি কেবলা মুখি দাড়াইয়া ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করতেছি
তাহাজ্জুতের ক্ষেত্রে
আমি ২ রাকাত তাহাজ্জুত নামাজ আদায় করতেছি
সালাতুত তাসবিহ এর নামাজের ক্ষেত্রে
আমি সালাতুত তাসবিহ এর ২ রাকাত নামজ আদায় করতেছি
কাজা বা বাদ পড়া ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে এই নিয়ত করতে হবে। আর যেহেতু আমরা ভূলে গেছি যে কবে কখন কত রাকাত বাদ দিয়েছি, তাই সেই সকল হিসেব ছেড়ে সরাসরি আমাদের ১২ বছর বয়সের পর থেকে প্রতিদিন ৫ ওয়াক্তের ফরজ নামাজের হিসেব করে যে রাকাতের পরিমাণ দাড়াবে সেটি ২ রাকাত করে করে আদায় করে শেষ করা উচিৎ। আর স্পেশাল যদি নিয়মিত নামাজের মধ্যে কোন ওয়াক্তে নামাজ বাকি পড়ে, তাহলে সেই ওয়াক্তের ফরজ নামাজের ন্যায়ে আদায় করতে হবে। সাধারন ভাবে গড়ে কাজা আদায়ের নিয়ত হলো
আমি ২ রাকাত কাজা নামাজ আদায় করতেছি
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ
যেহেতু মহান রবের কাছে ভাষার কোন অস্পস্টতা নেই। সেক্ষেত্রে বাংলায় আরবি উচ্চারন না শিখে হয়তো সরাসরি বাংলা ভাষায় নিয়ত করতে শিখুন, না হয় সঠিক আরবির পাঠ করা শিখে আরবিতে নিয়ত করুন।
শবে বরাতের নামাজ পড়ার নিয়ম
শবে বরাতের নামাজের জন্য বিশেষ কোন নিয়ম নেই। সাধারন ফরজ ও প্রতিদিনের সুন্নত শেষ করে ইচ্ছে মতো নফল আদায় করতে পারেন। আর যখন নফল শেষ করবেন তখন বিতের ওয়াজিব নামাজ পড়ে নিবেন। কেননা কেউ কেউ বলে বিতের ওয়াজিব নামাজের পরে নফল জাতিয় নামাজ না পড়াই উত্তম। তবে অনেকের মতে ভিন্নতা রয়েছে। তাই আগে নফল পরে শেষে বিতের ওয়াজিব পড়লে সর্বচ্চটা পালন করা হয়ে যায়।
শেষ রাতে সেহরি খেতে পারেন, আর তখন তাহাজ্জুতের নামাজ আদায় করতে পারেন। যা প্রতিদিনের নিয়মে পালন করা হবে।
শবে বরাতের দোয়া
শবে বরাতে বিশেষ কিছু দোয়া প্রচলিত আছে। বিশেষ করে হাদিসে শবে বরাতের রাতের উপলক্ষ্যে বিশেষ দোয়া বর্নিত আছে। এখানেও শবে বরাতের বিশেষ আমল করার গুরুত্ব দেখা যায়।
শবে বরাতে সকল দোয়া, হাদিস, কুরআন ও আমলের একটাই উদ্দেশ্য, আমরা যেন পাপ থেকে মুক্তি পাই, নিজেদের প্রয়োজন রবের কাছে কামনা করে নিতে পারি। সর্বপরি সকল মনের বেদনা ও চাওয়া যেন রবের কাছে হয়। তাই নিজের মতো করে লম্বা মোনাজাত করতে পারেন। শুধু হাত তুলেই নয় বরং ঘুমানোর সময় বা অন্যান্য সময়ে নিজের মতো করে আল্লাহর কাছে চাইতে পারেন।
শবে বরাতের বিশেষ দোয়া সমূহ হলোঃ
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণ:
“আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।”
অর্থ:
“হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করাকে ভালোবাসো, তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও।”
রিজিক বাড়ানোর জন্য দোয়া
اللَّهُمَّ ارْزُقْنِيْ رِزْقًا حَلَالًا طَيِّبًا وَوَسِّعْ عَلَيَّ وَبَارِكْ لِيْ فِيْمَا رَزَقْتَنِيْ وَاجْعَلْنِيْ مِنَ الشَّاكِرِيْنَ
উচ্চারণ:
“আল্লাহুম্মা র্জুক্নি রিজকান হালালান ত্বাইয়্যিবান, ওয়া ওয়াস্সি আলাইয়া, ওয়া বারিকলি ফীমা রজাকতানি, ওয়াজ’আলনি মিনাশ শাকিরিন।”
অর্থ:
“হে আল্লাহ! আমাকে হালাল, পবিত্র ও বরকতময় রিজিক দান করুন, আমার রিজিক প্রশস্ত করুন এবং আমাকে কৃতজ্ঞ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।”
দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ:
“রব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাহ, ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাহ, ওয়া ক্বিনা আযাবান নার।”
অর্থ:
“হে আমাদের রব! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং আখিরাতেও কল্যাণ দাও, আর আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা কর।”
কবরবাসীদের জন্য দোয়া
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَكَبِيرِنَا وَصَغِيرِنَا
উচ্চারণ:
“আল্লাহুম্মাগফির লিহাইয়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গাইবিনা ওয়া কবিরিনা ওয়া সগিরিনা।”
অর্থ:
“হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত ও মৃত সকলকে ক্ষমা করুন, আমাদের উপস্থিত ও অনুপস্থিত সকলকে ক্ষমা করুন, আমাদের বৃদ্ধ ও শিশুদের ক্ষমা করুন।” (তিরমিজি, ১০২৩)
ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ رَبِّي مِنْ كُلِّ ذَنْبٍ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ:
“আস্তাগফিরুল্লাহা রব্বি মিন কুল্লি দান্বিন ওয়াতুবু ইলাইহি।”
অর্থ:
“আমি আল্লাহর কাছে সব গুনাহের জন্য ক্ষমা চাই এবং তাঁর দিকে তওবা করি।”
এই সকল দোয়া যে পড়তেই হবে তেমন নয়। পারলে পড়া ভালো। আর এখান থেকে দেখে দেখেও বার বার পড়ে নিতে পারেন। দোয়া পড়ার ক্ষেত্রে দেখে পড়লেও সমস্যা নেই। সেই সাথে এখানে থাকা প্রথম দোয়াটি শবে বরাতের জন্যোই বিশেষ ভাবে গুরত্ব পেয়েছে।