রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf

0
35
রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf
রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf

রোজা ইসলামের একটি বিশেষ আবশ্যক ইবাদাত। এটি করা প্রতিটি প্রাপ্ত বয়ষ্কাদের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত একটি আদেশ যা ইসলামিক শরিয়াহ অনুযায়ী ফরজ বলা হয়। ফরজ হলো সয়ং আল্লাহ প্রদত্ত একটি আদেশ যা প্রাপ্ত বয়স্ক বা বালেগ হওয়ার পর থেকে করতেই হবে। না করার ফল ভয়াবাহ শাস্তি হতে পারে।

তবে অনেক সময় কিছু কিছু কারনে রোজা ভেঙে যেতে পারে বা রোজা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যা নিতান্তই দুখ যনক। কেননা সারাদিন কষ্ট করে না খেয়ে থাকার পরে যদি কোন কারনে সেটি সফল না হয় তাহলে তো কষ্টকর হবেই। তবে আগে জানতে হবে কি কি কারনে রোজা ভাঙতে পারে।

রোজা ভঙ্গের কারণ

দেখুন রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ ১৯ টি একটি ধারা অনুযায়ী। তবে এটি সময়ের এবং কাজের উপরে নির্ভরশীল হয়ে কমতে বা বাড়তে পারে। মানে কোন কোন সময় কোন কোন মাসআলা বেশি কম প্রয়োগ হতে পারে।

তবে এটি মনে রাখতে হবে যে, রোজা কোন অনিচ্ছাকৃত কাজের ফলে ভাঙবে না। আর যদি আপনি ভুলে গিয়ে বা নিজের অজান্তে কোন কিছু খেয়ে ফেলেন তবেও রোজা ভাঙবে না।

রোজা ভঙ্গের ১৯ টি বিশেষ কারণগুলো হলোঃ

  • ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু খাওয়া বা পান করা
  • সহবাস করা
  • ধূমপান করা
  • নাক বা কানে পানি প্রবেশ করানো এবং তা গলায় পৌঁছানো
  • ইচ্ছাকৃতভাবে এক মুখ বা তার বেশি বমি করা
  • নাক বা মুখ দিয়ে ওষুধ গ্রহণ করা (যেমন: নাকের স্প্রে, ইনহেলার)
  • কোনো বস্তু গলাধঃকরণ করা (যেমন: কাগজ, পাথর, মাটি)
  • মুখের বাইরে আসা থুতু গিলে ফেলা
  • স্ত্রীর সঙ্গে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা করা এবং বীর্যপাত হওয়া
  • ইচ্ছাকৃতভাবে নাকের ভেতরে কোনো বস্তু প্রবেশ করানো যা পাকস্থলীতে পৌঁছে যায়
  • ইনজেকশনের মাধ্যমে পুষ্টিকর কিছু গ্রহণ করা
  • শিরায় স্যালাইন বা গ্লুকোজ নেওয়া
  • কুলি করার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে পানি গিলে ফেলা
  • অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি হওয়ার পর সেটি আবার গিলে ফেলা
  • দাঁতের ফাঁকে থাকা খাদ্যদ্রব্য ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেলা
  • কিসু বা চিবানোর কারণে মুখে রস সৃষ্টি হলে তা গিলে ফেলা
  • মাসেহ বা চুম্বনের ফলে বীর্যপাত হওয়া
  • ভুলবশত খাবার খাওয়ার পর মনে পড়লেও ইচ্ছাকৃতভাবে খেতে থাকা
  • নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা

তবে যদি অনিচ্ছার সাথে বা ভুলে গিয়ে এগুলো করে ফেলেন তাহলে মনে পড়ার সাথে সাথে এটি থেকে বিড়ত হতে পারলে রোজা ভাঙবে না। আর মনে পরার পরে যা থাকবে সেটি সম্পুর্ন রূপেই বর্জন করতে হবে বা ফেলে দিতে হবে। কিন্তু মনে পরার পরে যদি সামান্য পরিমাণে ও কাজটি করে থাকেন তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।

রমজানের রোজা ভাঙার ক্ষেত্রে পরবর্তি সময়ে ৬০ দিনের বিশেষ কাফ্ফারা দিতে হবে।

রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf

অনেকে পরবর্তি সময়ের জন্য বা শেখার জন্য রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ নিয়ে বিশেষ pdf ফাইল পেতে চায়। তাদের জন্য আমরা রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ নিয়ে একটি বিশেষ pdf তৈরি করেছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here