আপনারা হয়তো অনেকে জানেন যে এশার নামাজ ৯ রাকাত। তবে এর সাথে আরো কিছু নামাজ রয়েছে। তাই আমরা আজ এশার বাকি নামাজগুলোর সমন্ধে জানতে চলেছি। আশা করি বরাবরের মতো আপনারা আজও আমাদের বাংলা ভোর অনলাইন পত্রিকার এই পোস্ট থেকে ভালো তথ্য জানতে চলেছি।
সাধারনত এশার নামাজের গুরুত্বপুর্ন নামাজের তালিকায় ৯ রাকাত থাকায় এটি প্রচালিত রয়েছে। বাকি নামাজগুলো নফল ইবাদাত, তাই এই ইবাদাত করতে গিয়ে আবার ক্লান্ত হয়ে গুরুত্বপুর্ন ৯ রাকাত ছেড়ে দিলে সমস্যা আছে। যদি আপনি ৯ রাকাত পরার পরে সময় পান বা ইবাদাত করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে এই বিশেষ নামাজগুলো আদায় করতে পারেন।
তবে যদি প্রতিদিন ২ রাকাত নামাজ পড়ে, আর বিপরিতে কেউ যদি ১০ দিন পরে একত্রে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করে, তাহলে হাদিস অনুযায়ী এই ২ রাকাত নামাজ আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। কারন আল্লাহ প্রতিদিন করা অল্প ইবাদাত কে একত্রে একবার করা বেশি ইবাদাতের চেয়ে বেশি পছন্দ করে থাকেন।
এশার নামাজ কয় রাকাত
এশার নামাজ সর্বমোট ১৭ রাকাত, যা ফরজ, সুন্নত, এবং নফল একত্রে। এই নামাজের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১৫ রাকাত ও অনেকে বলে থাকে। তবে যেহেতু এই নামাজ ৯ রাকাতের পরেরগুলো নফল ইবাদাতের মধ্যে হওয়ায় এখানে কোন বিতর্কের অর্থই আসে না। আপনি চাইলে নফল আকারে আরো বেশিও পড়তে পারেন। আর চাইলে আপনি কমও পড়তে পারেন। তবে জরুরি নামাজ ৯ রাকাত পর্যন্ত পরা জরুরি।
এশার ১৭ রাকাত নামাজের হিসেব তালিকা দেওয়া হলোঃ
- ৪ রাকাত ফরজ (বাধ্যতামুলক এশার নামাজ)
- ৩ রাকাত বিতর ওয়াজিব (বাধ্যতামুলক এশার নামাজ)
- ২ রাকাত সুন্নতে মুআক্কাদা (বাধ্যতা মুলক এশার নামাজ)
- ৪ রাকাত সুন্নতে গায়রে মুআক্কাদা (এশার নফল নামাজ)
- ২ রাকাত নফল (নফল এশারের নামাজ)
- ২ রাকাত নফল (নফল এশারের নামাজ)
তবে এই তালিকা আমরা বাধ্য়তামুলক সকল নামাজের তালিকা উপর থেকে শুরু করেছি। যদিও রিতি চালু রয়েছে এশার ওয়াজিব (বাধ্যতামুলক) ৩ রাকাত নামাজ আদায়ের পরে আর কোন নফল নামাজ আদায় করা থেকে বিরত থাকা। এজন্যই ১৫ রাকাত হিসেব করার পরে আর বাকি ২ রাকাত নামাজ হিসেব করা হয় না।
তবে যদি আপনি সাধারন ভাবে ৯ রাকাত নামাজ আদায় করেন তাহলে প্রথমে ফরজ ৪ রাকাত, তার পরে ২ রাকাত সুন্নত এবং সবশেষে ৩ রাকাত ওয়াজিব বা বেতরের নামাজ আদায় করা হয়।
তবে যদি এই ১৫ রাকাত নামাজ হিসেবে এশার নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে। তাহলে সেক্ষেত্রে ফরজ নামাজের পরে, সুন্নত ও বাকি নফল নামাজ পরা হয়ে থাকে। আর এভাবে ১২ রাকাত নামাজ শেষ করে তার পরে বিতের বা ওয়াজিব ৩ রাকাত নামাজ আদায় করে ১৫ রাকাত পুরন করা হয়।
সব শেষে যদি ১৭ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, তাহলে আপনি উপরের নিয়মে ১৫ রাকাত শেষ করা হলে, তার পরে শেষ ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে। কিন্তু সেই সাথে আপনি বিতের বা ওয়াজিব নামাজের আগেও এই ২ রাকাত নামাজ শেষ করে ১৪ রাকাত পুরন করে শেষে ৩ রাকাত ওয়াজিব বা বিতের নামাজ পড়া হয়ে থাকে।
তবে এখানে বলে রাখা ভালো, আপনি চাইলে কিন্তু ইচ্ছে মতো নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। সেক্ষেত্রে নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। এবং সব শেষে বিতের ৩ রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করতে পারেন। কিন্তু এই ওয়াজিব বা ৩ রাকাত নামাজ না পড়লে এশার নামাজ পুরন হবে না। তাই এই বাধ্যতামুলক নামাজ আদায় করতে হবে।
আশা করি আপনি এই পোস্ট থেকে যথেষ্ট পরিমানে তথ্য পেয়ে গেছেন। আর এই ধরনের সকল তথ্য পেতে আমাদের এই সাইটে নটিফেকেশন চালু করে রাখতে পারেন। আর এই নিচের হোয়াটস্যাপে ফলো করে রাখতে পারেন, তাহলে আমাদের এই ইসলামিক পত্রিকাটি চালিয়ে যেতে পারবো। আসা করি আমাদের পাঠক হয়ে, লেখক হয়ে আবার বিজ্ঞাপন দাতা হয়ে আমাদের সাথেই থাকবেন।