ঘি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি

0
115
ঘি
ঘি

ঘি একটি সুস্বাধু খাবার। এই খাবারটি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর একটি খাবার। তাই এই খাবারের সকল বিষয় আজ আমরা এক্সপ্রেমেন্ট করে দিব। এই ঘি যেহেতু দুধ থেকে তৈরি করা হয় তাই এর মধ্যে প্রচুর প্রটিন ও চর্বি থাকে, এজন্য এখানে ক্ষতিকর প্রভাব ও থাকে, তাই এজন্য় আমাদের আজকের এই তথ্যমুলক পোস্ট।

ঘি কি বা ঘি কাকে বলে

সহজেই বলা চলে ঘি হলো একটি জনপ্রিয় খাবার যা দুধ থেকে তৈরি করা হয়। তবে এটি বিশেষ ভাবে আরো বোঝার চেষ্টা করলে, ঘি থেকে নিদিষ্ট কিছু প্রক্রিয়ায় দুধ শোধন করে সেখানে থাকা একটি বিশেষ মৌল আলাদা করা হয় যা সংক্ষিপ্ত রূপে ঘি নামে পরিচিত।

ঘি কত প্রকাকেক ও কি কি

ঘি এক প্রকারের যেটি দুধ থেকে পরিষোধিত রূপে তৈরি করা হয়। তবে বিশেষ কিছু ধরন বলা চলে যেমন বিভিন্ন প্রানীর দুধ দিয়ে তৈরি ঘি এর মান বিভিন্ন হতে পারে। পরিষোধনের সময়ে এর প্রক্রিয়ার উপরে নির্ভর করেও এটি তফাৎ হতে পারে। সেই সাথে এই ঘি যা অঞ্চলের ভিত্তিতেও ভিন্নতা দেখা যায়।

ঘি এর ব্যবহার সমূহ কি কি

ঘি খাওয়ার জন্য এটা ঠিক, তবে কি কি ভাবে এটি খাওয়া যায় তা জেনে রাখা একজন ঘি প্রেমিকের জন্য গুরুত্বপূর্ন হবে এটাই সত্য। তাই ঘি এর নানান বিধি ব্যবহার সমন্ধে আমরা সংক্ষেপে জানিয়ে দিচ্ছি।

  • রান্নার কাজে
  • চিকিৎসায়
  • রূপচর্চায়
  • ধর্মীয় ও আচারিক কাজে
  • শিশুদের যত্নে

রান্নার জন্য ঘি

বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করার সময়ে ঘি এর ব্যবহার দেখা যায়। ঘি খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তোলে এবং পুষ্টির মান উন্নত করে। ঘি সাধারনত গড়ম ভাতে খাওয়া হয়। সেই সাথে আলু ভর্তায় ও এটি জনপ্রিয় ভাবে ব্যবহৃত হয়।

বিশেষ করে খিচুড়ি, ডাল, মাংশ, বিরিয়ানি, হালুয়া পায়েশে ঘি ব্যবহার করে স্বাদ ও পুষ্টির মাত্রা বাড়িয়ে তোলা যায়। তার সাথে আবার বিভিন্ন তরকারি ও ভাজির মধ্যে ঘি ব্যবহার করেও স্বাদ বাড়ানো যায়।

ঘি দ্বারা রুটি, পাম রুটি, এই জাতিয় বিভিন্ন খাবার ও খাওয়া হয়। এটি বিভিন্ন অঞ্চলে খুব জনপ্রিয়তার সাথে ঐতিহাসিক ভাবে ব্যবহার করে যাচ্ছে।

চিকিৎসায় ঘি এর ব্যবহার

আয়ুর্বেধিক ও কবিরাজি চিকিৎসায় ঘি এর ব্যাপক ব্যবহরা লক্ষ্য করা যায়। যদিও সব ধরনের চিকিৎসার ক্ষেত্রেই পুষ্টির মাত্রা ভালো রাখার জন্য ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে।

ঘি খাওয়ার ফলে সাধারনত হজম শক্তি বাড়ে, হাড় শক্ত হয়, পুষ্টির অভাব পুরন হয়, শরিরে সতেজতা থাকে, চোখ ও ত্বকের যত্নের সাথে সাথে এটি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে।

রূপচর্চায়

রূপচর্চার ক্ষেত্রে রয়েছে ঘি এর ব্যপক প্রসার। ঘি দ্বারা যেমন উপকার তেমন যদি এটি চুলে লাগে, তাহলে অসময়েই চুল পাকতে থাকে, পড়ে যায়। তাই রূপচর্চায় এই বিষয়টি লক্ষ্য করতে হবে।

ঘি খাওয়ার ফলে দেহের সতেজতা ঠিক থাকে, যা ঠোট, পা , হাত বা শরিরের বিভিন্ন স্থানে শুস্ক হয়ে ফেটে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। তাছাড়াও হাত পা ও মুখের শুস্কতা কমিয়ে রাখে এবং উজ্জলতা বৃদ্ধি করে। যদিও এটি খাওয়ার ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয় তবে চুলে বাহিক্য ভাবে লেগে গেলে সেটি সাথে সাথে ভালো ভাবে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

ধর্মীয় ও আচারিক কাজে

হিন্দুদের বিভিন্ন পূজোতে এটি ব্যবহার করতে লক্ষ্য করা যায়। তার সাথে অন্যান্য বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন খাবারে এর ব্যবহার করা হতে পারে।

শিশুদের যত্নে ঘি

শিশুদের যত্নে ঘি একটি অন্যতম উপাদান। ৩ বছরের পরে শিশুদের বেড়ে ওঠার বয়সে তাদের পরিমাণ মতো ঘি খাওয়ালে তাদের বুদ্ধির বিকাশ লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়াও দেহের গঠন, উজ্জলতা, এবং পুষ্টির মান ঠিক থাকে আর সাথে সাথে সু স্বাস্থ ও পর্যাপ্ত শক্তির প্রভাব থাকে। তবে যদি এটি অতিরিক্ত মাত্রায় দেওয়া হয় বা মোটা শিশুদের ক্ষেত্রে এটি কিছুটা সমস্যার কারন হতে পারে।

ঘি খাওয়ার সঠিক পরিমাণ কত টুকু

সব ধরনের খাবার পরিমাণ করে খাওয়া সম্ভব নয়। তবে অতিরিক্ত খাবার সর্বদাই ক্ষতির কারন হয়। তাই আমাদের আন্দাস করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এক সাথে অতিরিক্ত খাওয়ার চেয়ে অল্প অল্প করে প্রতিনিয়ত খাওয়া ভালো।

ঘি বিভিন্ন বয়সের শ্রেনীর উপরে বিভিন্ন মাত্রায় শেবন করার প্রয়োজন হয়, এবং যদি মোটা এবং বেশি ওজন (যা বয়স হিসেবে বেশি) এমন হলে খাবার মাত্রা আরো কমিয়ে দিতে হবে। অতিরিক্ত ওজন এবং মোটা হলে তার জন্য ঘি এড়িয়ে চলাই ভালো।

১৮ বছরের বেশি হলে ঘি খাওয়ার পরিমাণ– ১-২ চা চামচ, যা ৫-১০ গ্রাম সর্বোচ্চ। তবে এর থেকে কম খাওয়াই ভালো। আর এটি সারা দিনের হিসেব।

২-১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য ঘি খাওয়ার পরিমাণঃ হাফ-১ চা চামচ সর্বোচ্চ প্রতিদিন। এবং এর থেকে কম শেবন করা উচিৎ। যদি নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে কম করে খেতে হবে।

৫০ বছরের উর্ধে হলে ঘি খাওয়ার পরিমাণঃ ১ চা চামচ বা তার কম খাওয়া উচিৎ। বেশি খাওয়ার ফলে পেট খারাপ বা অন্যান্য সমস্যা দেখা যেতে পারে।

২ বছরের কম বয়সীদের জন্যঃ ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ঘি না খাওয়ানোই উত্তম। যদি খাবারের মধ্যে ঘি ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা সেই বাচ্চা খাবে, তাহলে ও খাবারে ঘি মেশানোর পরিমান একেবারে কমিয়ে রাখতে হবে যেন তা প্রতিদিন ০.৫০ গ্রাম বা তার চেয়েও কম শেবন করা হয়।

ঘি খাওয়ার সতর্কতা ও ঘি খাওয়ার ক্ষতিকর বিষয়গুলো

উপকারের সাথে ক্ষতিরও কিছু মাত্রা পাওয়া যায়। ঘি যেমন নানান বিধি উপকার করে, তেমন ক্ষতিও করতে পারে। ঘি এর ক্ষতিকর বিষয়ের প্রধান কিছু উল্লেখযোগ্য কারন তুলে ধরা হলোঃ

  • যাদের গ্যাস, এসিডিটি সমস্যা থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এটি সমস্যার কারন হতে পারে।
  • মোটা হওয়ার প্রবনতা থাকে
  • ওজন বাড়তে পারে
  • চর্বি বেড়ে যেতে পারে
  • লিভার এর সমস্যা থাকলে অল্প শেবন করুন, এটি ক্ষতি করতে পারে
  • ডায়াবেটিস বা হার্ডের সমস্যায় এটি প্রভাব ফেলতে পারে
  • অ্যালার্জি বা পেট খারাপ হতে পারে
  • মুখে ব্রন দেখা যেতে পারে

এছাড়াও ঘি খাওয়ার ফলে বিশেষ কিছু সতর্কতা থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ

ঘি চুলে বা দাড়ি, গোফে লাগলে আর বেশি সময় ধরে লেগে থাকার ফলে অকালে পেকে যেতে পারে, উঠে যেতে পারে। তাই সামান্য পরিমান ঘি থাকলেও কখনো চুল যাতিয় কোন স্থানে হাত লাগাবে না। তাছাড়াও অল্প দামে খারাপ ঘি খাওয়া বাদ দিতে হবে। ভালো মানের ঘি খেতে হবে।

ভালো ঘি কিভাবে চিনবেন

ঘি হলো একটি খাবার। তবে খাবার খাওয়ার জন্য ভালোটা খাওয়া অনেক জরুরি, এটি আপনার জীবনের উপরে প্রভাব ফেলে। তাই ঘি কেনার আগে আমাদের ভালো ঘি সমন্ধে জেনে নিতে হবে।

ঘি সাধারনত দুই ধরনের দুধ থেকে তৈরি করা হয়
১. গরুর দুধ
২. মহিষের দুধ

সাধারন মানুষের জন্য গরুর দুধের ঘি সব থেকে ভালো হয়। তবে যারা বেশি পরিশ্রম করলে তার জন্য ঘি ভালো ফলাফল দিতে পারে।

ঘি কেনার আগে আপনাকে দেখতে হবে যে সেখানে কোন রাসায়নির দ্রব্য ব্যবহার করা হয় কিনা। যদি ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেটি আপনি এড়িয়ে যান। আর যদি দুধ ভালো হয়, তাহলে ঘি ভালো হওয়ার সম্ভবনা বেশি। সেই সাথে ঘি প্রস্তুত কারীর ও দক্ষতা এখানে কাজ করে। তাই এগুলো দেখে নিতে হবে।

ঘি সম্পর্কিত আরো ভালো কোন তথ্যের প্রয়োজন হলে আপনারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। বিশেষ করে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য আপনাকে দিবো।

আর ১০০ ভাগ ভালো ঘি পেতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন শপ রয়েছে, সেখান থেকে কিনে নিতে পারেন। যদি আপনি যদি ভালো সোর্স না পান, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যমে আমরা আপনাদের ভালো অনলাইন শপের সন্ধান দিবো। আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে নক করতে পারেন। আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার 01964109512

এই ধরনের সকল তথ্য পেতে আমাদের ফলো করে সাথে থাকুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here