জ্বরের বিভিন্ন মাত্রা থাকে, তবে জ্বরের মাত্রা ১০০ ছাড়িয়ে গেলেই সেটি ক্ষতিকর অবস্থা তৈরি করতে থাকে। বিশেষ করে জ্বর যখন ১০৩ ডিগ্রি থেকে বাড়তে থাকে, তখন সেটি ভয়াবাহ রূপ ধারন করতে থাকে। তাই এমন অবস্থায় সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি। আবার ঘরোয়া বিশেষ কিছু চিকিৎসার ও অনেক প্রয়োজন, এই ঘরোয়া চিকিৎসার ফলে অনেক বেশি ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
১০৩ ডিগ্রি জ্বর এর লক্ষন কি কি
জ্বর যখন ১০০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে শুরু করে, তখন বেশ কিছু প্রভাব লক্ষ করা যায়। এর সাথে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুক্ষীন হতে হয়। যেহেতু এই পোস্টটি জ্বরের চুড়ান্ত বিপদ সংকেতের প্রথম ধাপ। তাই এই ১০৩ ডিগ্রি জ্বর এর লক্ষন গুলো সমন্ধে কি কি লক্ষ্য করা যেতে পারে তার মধ্যে রয়েছে।
- শরীরের তাপমাত্রা ১০৩°F
- প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগা বা কাঁপুনি
- অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
- পেশি এবং শরীরের ব্যথা
- দুর্বলতা ও ক্লান্তি
- খিদে কমে যাওয়া
- অস্বাভাবিক তন্দ্রাচ্ছন্নতা
- শরির গড়ম থাকা
- গাড়ের মধ্যে চাবানো
- অরুচিসহ ইত্যাদি
১০৩ ডিগ্রি জ্বর হলে করণীয়
বর্তমান সময়ে জ্বরের চিকিৎসা হাতের কাছে বাজারের ফার্মেসি থেকেও প্রাথমিক ভাবে করা যাচ্ছে। তাই ঘরোয়া উপায়ে ১০৩ ডিগ্রি জ্বরের চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করার চেয়ে ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন।
একই সাথে আরো যে সকল প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কিছু তুলে ধরা হলো।
- শরীরের শক্তি সঞ্চয় করুন
- বিশ্রাম গুরুত্বপূর্ণ
- পানি, স্যুপ, ফলের রস, অথবা ওরস্যালাইন খাওয়া
- শরীর ঠান্ডা রাখুন
- কপাল, গলা, বগল, ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ভেজা কাপড় দিয়ে ঠান্ডা সেঁক দিন
- ঘরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখুন
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিটামল খেতে পারেন
- হাত পায়ে রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে তেল মালিশ করা যেতে পারে
শিশুর জ্বর ১০৩ হলে করণীয়
বড়দেের মতো শিশুদের ক্ষেত্রেও ঘরোয়া চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। তার সাথে তাদের জন্য মাতৃদুধ খাওয়াটা অত্যান্ত জরুরি। আর ডাক্তারের সঠিক পরামর্শ অনুযায়ি ওশুধ শেবন করাতে হবে। বিশেষঞ্জ ডাক্তারের থেকে চিকিৎসা নেওয়া।
শিশু ও তারা মায়ের জন্য বিশেষ সতর্কতা ও ঘরোয়া যত্নের প্রয়োজন। একই সাথে শিশু ও শিশুর মায়ের জন্য বিশেষঞ্জ ডাক্তারের দেওয়া চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে। এবং জ্বরের সঠিক কারন খুজে বের করতে হবে।