সময়ের সাথে সাথে মানুষ লম্বার দিকে ডাউন হয়ে যাচ্ছে। আগের দিনের মানুষের উচ্চতার তুলনায় বর্তমানে আমাদের উচ্চতা অনেক কমে গেছে। আগে মানুষ যে পরিমানে লম্বা হতো, বর্তমান সময়ে তার অর্ধেক হই আমরা।
মানুষের এই কম লম্বা হওয়ার পেছনে বিশেষ কিছু কারন রয়েছে। তবে তার মধ্যে অন্যতম কিছু কারন নিচে দেওয়া হলো। তবে যদি আপনি কোন ধর্মকে বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে আপনি সেই ধর্মিয় গ্রন্থে দেখতে পারেন।
- আমাদের খাবারের সমস্যা
- চারোদিকের আবহাওয়ায়
- আমাদের কাজ কর্ম
- আমাদের জীবনের বিভিন্ন প্রকারের চাপ
- আমাদের মেলা মেশা বা বন্ধুত্ব
- আমাদের বাজে খাবার বা নেশা ও মাদগ সেবন
- আমাদের যৌন অপকর্ম সহ ইত্যাদি
আজ যেহেতু লম্বা হওয়ার ব্যাপারে কথা বলবো, সেখানে আমরা লম্বা না হওয়ার কিছু কারন উপরে তুলে ধরলাম। নিচের দিকে আমরা লম্বা হওয়ার জন্য প্রয়োজনিয় সকল তথ্য তুলে ধরবো। আর আশা করি আপনারা প্রয়োজনীয় সকল তথ্য এখান থেকে পেয়ে জাবেন।
লম্বা হওয়ার উপায়
লম্বা আমাদের কাছে একটি আবেগের নাম। প্রায় সবার মাঝেই লম্বা হওয়ার শখটা বিদ্যমান আছে, হোক না সেটা মেয়ে বা ছেলে।
তবে উপরের কারনগুলোর জন্য ই আমরা লম্বা হতে পারি না। তবেও আমাদের চেষ্টা করা উচিৎ উপরের সকল বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন হয়ে নিচের বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া।
লম্বা হওয়ার জন্য আমাদের বিশেষ কিছু বিষয়ে বিশেষ ভাবে লক্ষ রাখা উচিৎ, তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ
- পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
- সকালে ঘুম থেকে উঠে পরা
- রাত জাগা থেকে বিরত থাকা
- সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া
- নিয়মিত গোসল করা
- অল্প সময়ে লম্বা হওয়ার জন্য শরির ফিট রাখা, সাথে বিশেষ কিছু বেয়াম করা
- বেশি করে ফলমুল খাওয়া
- উপুর হয়ে না বসা, এবং ভালো ভাবে বসা
- কুজো হয়ে শোয়া থেকে বিরত থাকা
- শরির থেকে ঘাম বের করা
- অতিরিক্ত মোটা না হওয়া।
- চর্বি যুক্ত খাবার থেকে দুরে থাকা
আমাদের এই বিষয়ে নিচের অংশগুলো লেখা হবে। তার সাথে বিশেষ ভাবে ৭ দিনে লম্বা হওয়ার উপায় ও শেয়ার করা হবে।
লম্বা হওয়ার খাবার তালিকা
খাবারের সাথে আমাদের জীবনের বা শরীরের বিশেষ কিছু অংশ জড়িয়ে আছে। বিশেষ ভাবে বর্তমানের সমকামিতা ও খাবারের কিছু প্রভাবের কারন বলে মনে করা হয়। আমরা খাবর সমন্ধে জানাবো,যে সকল খাবার খেলে আপনি অল্প সময়ে লম্বা হতে পারবেন। আর আপনার শরিরের সঠিক পুষ্টি চাহিদা পুরন করবে।
লম্বা হওয়ার জন্য পুষ্টিকর খাদ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে বাড়ন্ত বা উড়তি বয়সে। হাড়ের বৃদ্ধি ও সঠিক পুষ্টির জন্য প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলসের সমন্বয় থাকা দরকার। এখানে কিছু খাদ্যের তালিকা দেওয়া হলো, যা লম্বা হওয়ার জন্য সহায়তা করবেঃ
১. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
- ডিম: যেখানে রয়েছে বিশেষ প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি সমৃদ্ধ।
- মাছ:থেকে পাওয়া যায় সালমন, সার্ডিনসহ ইত্যাদি উচ্চ প্রোটিন ও ওমেগা-৩।
- মুরগির মাংস:আমাদের হাড়ের বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক প্রোটিন সরবরাহ করে এবং ভিটামিন ডি বৃদ্ধি করে।
লম্বা হওয়ার জন্য পুষ্টিকর খাদ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে বাড়ন্ত বয়সে। হাড়ের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলসের সমন্বয় থাকা দরকার। এখানে কিছু খাদ্যের তালিকা দেওয়া হলো, যা লম্বা হওয়াতে সহায়তা করতে পারে:
১. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
- ডিম: প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ।
- মাছ: সালমন, সার্ডিন ইত্যাদি উচ্চ প্রোটিন ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ।
- মুরগির মাংস: হাড়ের বৃদ্ধিতে সহায়ক প্রোটিন সরবরাহ করে।
২. ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার:এর বিশেষ উপকরন থেকে আমাদের হাড় মজবুত করে, এবং দই ও পনির ভালো উৎস।
- পালং শাক: এতে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে যা হারের বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
- ব্রকলি: ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে এর জন্য পরিচিত, যা হাড়ের স্বাস্থ্যে সহায়ক এবং ভিটামিন ডি এর সহায়ক।
৩. ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার
- সামুদ্রিক মাছ: টুনা ও সার্ডিন ভিটামিন ডি সরবরাহ করে, এর সাথে ইলিশ সহ আরো অনেক প্রকারের মাছ রয়েছে।
- ডিমের কুসুম: প্রাকৃতিক ভিটামিন ডি সরবারহ করে, তার সাথে আবার শরিরের পুষ্টি সরবারহ করে।
৪. ফসফরাস এবং জিঙ্ক
- ফসফরাস: মাংস, মাছ, ডিম থেকে পাওয়া একটি বিশেষ উপাদান, যা হাড়ের বৃদ্ধিতে সহায়ক।
- জিঙ্ক: হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে কার্যকর। মাংস, চিংড়ি, বীজ ও বাদামে বিপুল পরিমানে এটি পাওয়া যায়।
৫. শাকসবজি ও ফল
- গাজর ও মিষ্টি আলু: ভিটামিন এ এর জন্য উপকারী, যা হাড়ের বৃদ্ধি করতে পারে তা ছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন রয়েছে।
- কমলালেবু, আপেল, আম: ভিটামিন সি এর বিশেষ উৎস, যা কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে ফলে সহজে হারের বৃদ্ধি পায়।
- খেজুরঃ এর জন্য আমাদের ভিটামিন ডি এর অভাপ পুরন হয়।
- পানি পান: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান হাড়ের সঠিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
এই খাবার সকল কিছু যে আপনার প্রতিদিন খেতে হবেে তেমন নয়। তবে চেষ্টা করবেন, কম বেশি প্রতিদিনের তালিকায় কিছু খাবার রাখার জন্য। অল্প করে প্রতিদিন খাবার গ্রহন করাই উত্তম। এক দিনে বেশি খাবার গ্রহন করা থেকে বিরত থাকুন, এটি শরিরের বিশেষ ক্ষতির কারন হতে পারে।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা
সকালে ঘুম থেকে ওঠার হাজার রকমের উপকরিতা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো দ্রুত লম্বা হওয়া সম্ভব। আপনি যদি ভোরে ঘুম থেকে না উঠেন, দেরি করে ঘুম থেকে উঠেন, তাহলে আপনি বেটে থেকে যেতে পারেন।
সকালের আবহাওয়া টা আমাদের শরিরের জন্য পর্যাপ্ত সাস্থকর। এটি আমাদের সবার উপভোগ করা উচিৎ। আর লম্বা হওয়ার জন্য বিশেষ কিছু পুষ্টিকর খাবার রয়েছে, সেখানে সেই খাবারগুলো খেতে খুব ভোরে উঠতে হয়।
ঝুলে ঝুলে বেয়াম করার জন্য ও আপনার উচিৎ খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে পরা। আর তখন ঝুলে ঝুলে বেয়াম করতে পারলে খুব তারাতারি লম্বা হতে পারবেন।
লম্বা হওয়ার ঔষধ
শরীরের বৃদ্ধি একটি জেনেটিক এবং প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। সাধারণত মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধি শিশুকাল থেকে শুরু করে কৈশোরের শেষে, প্রায় ১৮-২০ বছর বয়স পর্যন্ত চলতে থাকে। উচ্চতা বৃদ্ধি করার জন্য কোনো প্রাকৃতিক ঔষধ নেই যা বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রমাণিত। বাজারে অনেক ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যায় যা উচ্চতা বৃদ্ধির দাবি করে, কিন্তু এগুলোর অধিকাংশই কার্যকর প্রমাণিত হয়নি এবং এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকার ঝুঁকি থাকে।
বিজ্ঞানের প্রমানিত কোন ওযুধ ই আমাদের দেহকে লম্বা করতে পারে না। কিন্তু ওষুধ কম্পানিগুলো দাবি করে যে, এই ওষুধগুলো আমাদের লম্বা করতে পারে। তার মধ্যে আবার দুটি ভাগ রয়েছে।
- খাদ্যের সাথে পুষ্টির সরবারহ
- বিশেষ ক্যামিক্যালে শরিরের বৃদ্ধি
খাদ্যের সাথে পুষ্টির অভাব পুরন করে
আমাদের দেশে ঙরলিকস, কম্পেইন সহ ইত্যাদি পাওয়া যায়। এগুলো মুলত বিশেষ কিছু পুষ্টি উপাদান দিয়ে থৈরি করা। সেখানে আমরা এই গুলো খেলে আমাদের সাধানর খাবারে যে পুষ্টি জোগান দেয়। তার সাথে এই পুষ্টিগুলো ও একসাথে যুক্ত হয়। আর এটি আমাদের শরিরকে বৃদ্ধি করতে সহায়ক হয়।
লম্বা হওয়ার ঔষধ নাম কি
- Anseng-500mg প্রতিদিন সকালে ও রাতে খাবার পরে
- Greenox-2 axtaxanthin 2mg সকালে ও রাতে
- Edysta 2.5 mg রাতে
- Zince 20mg সকালে
- Recita mg সকালে ঔষুধ ভরা পেটে খাবে
তবে এগুলো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শেবন করা প্রয়োজন। তাই দয়া করে কেউ ই এই ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া শেবন করবেন না। এতে বিশেষ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকার ঝুঁকি রয়েছে, সেক্ষেত্রে ওষুধের কম্পানির গাইডলাইন দেখুন।
লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম
লম্বা হওয়ার জন্য বিশেষ একটি মাধ্যম হলো ব্যায়াম করা। তবে সকল ব্যায়ামে কিন্তু লম্বা হওয়া যায় না। কিছু কিছু ব্যায়াম আপনাকে খাটো করেও রাখতে পারে।
যদি আপনি বিভিন্ন ভারী জিনিস জাগিয়ে জাগিয়ে ব্যায়ম করতে থাকেন, তাহলে কিন্তু আপনি বেশি লম্বা হতে পারবেন না। তার উপরে আবার খাটো থাকার সম্ভবনা রয়েছে।
তাই লম্বা হওয়ার জন্য সবচেয়ে কার্যকারী ব্যায়াম হলো ঝুলে ঝুলে ব্যায়াম করা। এর জন্য আপনাকে খুব সকালে ব্যাম করতে হবে, তাহলেই আপনি ৭ দিনের মধ্যে কিছুটা উন্নতি দেখতে পারবেন।