মানবদেহের জন্য ভিটামিন-ডি একটি অপরিহার্য উপাদান। ভিটামিন-ডি দেহের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন-ডি এ পাওয়া যায় এমন সব খাবারের সংখ্যা খুবই কম। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলো অটোইমিউন ডিসঅর্ডারের ঝুঁকি বাড়ে।
এমনকি ভিটামিন ডি এর অভাবে মাংস বেশি উপহার দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সুস্থ থাকতে ভিটামিন ডি করার বিকল্প নেই।ভিটামিন ডি শরীরের হাড় মজবুত রাখতে এবং ক্যালসিয়াম শোষণে গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা উৎস:
প্রাকৃতিক উৎস:
১. সূর্যের আলো,
২. চর্বি যুক্ত মাছ:
• স্যামন (Salmon)
•ম্যাকারেল(Mackerel)
•সারডিন(Sardines )
•টুনা মাছ(Tuna)
•কড মাছের যকৃতের তেল।
৩.ডিম
৪.লিভার: গরু বা মুরগির লিভার।
মজবুত উৎস/ফর্টিফাইড ফুডস:
১. দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য:
•ফর্টিফাইড দুধ ,দই, পনির।
২.ফর্টিফাইড সিরিয়াল ও ওটস।
৩. কমলালেবুর জুস।
অন্যান্য উৎস:
১. মাশরুম।
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের বিবরণ:
১. সূর্যের আলোর উপকরিতা: সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট সরাসরি রোদে থাকলে ৭০% ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ হয়।শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি পেতে পারে।
২. চর্বিযুক্ত মাছ খাওয়ার উপকরিতা: চর্বিযুক্ত মাছ স্যামন, ম্যাকারাল, টুনা মাছ ভিটামিন ডি এর অন্যতম উৎস।এবং কর্ড মাছের যকৃতের তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।
৩.ডিম খাওয়ার উপকরিতা: ডিমের কুসুমে রয়েছে ৩৭ আইইউ ভিটামিন ডি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি করে ডিম রাখলে ভিটামিন ডির ঘাটতি মিটবে অনেকটাই।
৪: দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের উপকরিতা: দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। খাবারের ছয়টি উপাদানের পাশাপাশি গরুর দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৫.মাশরুম খাওয়ার উপকরিতা: মাশরুম একমাত্র অপ্রানীজ খাদ্য যা থেকে যথেষ্ট ভিটামিন ডি মেলে। মাশরুমে থাকা ভিটামিন ডি২ রক্তে ভিটামিন ডির উৎপাদন বাড়ায়।
মানবদেহের সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি জরুরী। হারকে মজবুত রাখতে বেশি প্রয়োজন পড়ে এই ভিটামিনের।তার সাথে এটি আমাদের লম্বা হওয়ার জন্য বিশেষ কার্যকারি একটি উপায়। আপনি চাইলে আমাদের লম্বা হওয়ার বিষয়ে লেখা পোস্টটিও পড়ে নিতে পারেন।
এই ধরনের সাস্থকর সকল বিষয়ে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের নটিফেকেশন চালু করে রাখতে পারেন। আর নিচে দেওয়া আমাদের হোয়াটসঅ্যাপেও জয়েন করে রাখতে পারেন।