ঘুম আমাদের শরিরের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন একটি চাহিদা। ঘুম বিহিন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় আমাদের জীবনকে। তাাই ঘুমের অনেক অনেক প্রয়োজন। আর যদি শরির ভালো না থাকে, তাহলে ঘুমাতে সমস্যা হয়।
কিন্তু এরকম সমস্যার জন্য ক্ষনস্থায়ী ঘুমের ওষুধ না খেয়ে বরং দির্ঘ মেয়াদী সুরক্ষার জন্য ভালো ডাক্তারের সাথে আলোচনায় যাওয়া ভালো।
ঘুমের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম কি
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ:
- ঘুমের ওষুধ নিজে নিজে কেনা বা খাওয়া উচিত নয়। কারন বিভিন্ন ধরনের মাত্রা রয়েছে, যা আপনার শরিরের তুলনায় বেশি হলে শারেরিক ক্ষতি করবে।
- চিকিৎসক আপনার ঘুমের সমস্যার ধরন বুঝে, প্রয়োজন হলে, সঠিক মাত্রা ও প্রকার নির্ধারণ করবেন। বা দির্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা দিবে।
ওষুধের ধরন ও ডোজ মেনে চলুন:
- চিকিৎসক যেভাবে ও যে পরিমাণে খেতে বলেছেন, সেটাই অনুসরণ করুন।
- বেশিরভাগ ঘুমের ওষুধ ঘুমানোর আগে ১৫-৩০ মিনিটের মধ্যে খেতে হয়।
ওষুধ খাওয়ার আগে খাদ্য ও পানীয়র প্রতি সতর্কতা:
- ঘুমের ওষুধ খাওয়ার আগে অ্যালকোহল বা নেশাজাত দ্রব্য এড়িয়ে চলুন।
- ভারী খাবার খেয়ে ওষুধ খেলে তা ধীর গতিতে কাজ করতে পারে। বিশেষ করে পেট ভরে খাবার পরে।
ধীরে ধীরে বন্ধ করুন:
- ঘুমের ওষুধ হঠাৎ করে বন্ধ করা উচিত নয়, কারণ এতে উইথড্রয়াল সিনড্রোম দেখা দিতে পারে।
- চিকিৎসকের নির্দেশে ধীরে ধীরে ওষুধের ডোজ কমিয়ে আনুন।
নিয়মিত পর্যবেক্ষণ:
- ঘুমের ওষুধ ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে (যেমন: মাথা ঘোরা, স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া, বিভ্রান্তি) চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
লং-টার্ম ব্যবহারে সতর্কতা:
- ঘুমের ওষুধ দীর্ঘদিনের জন্য ব্যবহার করা ঠিক নয়, কারণ এটি আসক্তি তৈরি করতে পারে।
- দীর্ঘমেয়াদী ঘুমের সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসা ও থেরাপি (যেমন CBT-ইন্সোমনিয়া) ভালো বিকল্প।
ঘুমের ওষুধ খাওয়ার সতর্কতা
ওষুধ বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রবনের মিশ্রনে তৈরি করা হয়। যা বিশেষ সকল রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। আবার কখনো কখনো শরিরকে বিভিন্ন অবস্থা তৈরি করে ফলে ঘুম হয় বা শরিরে আরো বিভিন্ন ধরনের প্রকৃয়া উৎপন্ন হয়।
তাই এর বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া শেবন না করাই উচিৎ। এবং এর সাথে আরো কিছু কিছু সতর্কতা ও রয়েছে। তাই নিচে দেওয়া হলোঃ
- গর্ভবতী নারী, বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য ঘুমের ওষুধের প্রভাব বেশি হতে পারে, তাই চিকিৎসকের সাথে আলোচনা ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।
- ঘুমের ওষুধ খেয়ে গাড়ি চালানো বা ভারী মেশিন পরিচালনা করা বিপজ্জনক হতে পারে।
- ঘুমের ওষুধের সাথে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, এন্টি-অ্যাংজাইটি ওষুধ বা অ্যালকোহল মেশালে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
ঘুমের ওষুধের নাম ও দাম
ঘুমের ওষুধ বিভিন্ন প্রকারের হয়, কোম্পানি ভিত্তিক আবার সাইজ বা পরিমাপ তো আছেই। এবং সেগুলোর কাজের ও কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। তার দামও ভিন্ন হয়ে থাকে, বাংলা দেশের ফার্মেসিতে সহজে পাওয়া যায় এমন কিছু ঘুমের ওষুধের দামের তালিকা।
ইনসোমন (Insomn)
- এন্টিঅক্সিডেন্ট: মেলাটোনিন
- ব্র্যান্ড: Eskayef Pharmaceuticals
- দাম: প্রায় ৭-১০ টাকা (প্রতি পিস)
রেস্ট (Rest)
- এন্টিঅক্সিডেন্ট: ডায়জিপাম (Diazepam)
- ব্র্যান্ড: Eskayef Pharmaceuticals
- দাম: প্রায় ১৫-২০ টাকা (প্রতি পিস)
স্লিপপিল (Sleeppill)
- এন্টিঅক্সিডেন্ট: লরাজিপাম (Lorazepam)
- ব্র্যান্ড: Sandoz Bangladesh
- দাম: প্রায় ২০-২৫ টাকা (প্রতি পিস)
নাইটজিপ (Nightzip)
- এন্টিঅক্সিডেন্ট: মেলাটোনিন + ভ্যালেরিয়ান (Melatonin + Valerian)
- ব্র্যান্ড: Beximco Pharmaceuticals
- দাম: প্রায় ১৫-২০ টাকা (প্রতি পিস)
স্লিপওয়েল (Sleepwell)
- এন্টিঅক্সিডেন্ট: ডিপেনহাইড্রামাইন (Diphenhydramine)
- ব্র্যান্ড: Eskayef Pharmaceuticals
- দাম: প্রায় ১৫-২০ টাকা (প্রতি পিস)
এজিপ্রাম (Agipram)
- এন্টিঅক্সিডেন্ট: অ্যাজেপাম (Alprazolam)
- ব্র্যান্ড: Eskayef Pharmaceuticals
- দাম: প্রায় ২৫-৩০ টাকা (প্রতি পিস)
জোলা (Zola)
- এন্টিঅক্সিডেন্ট: জোলিপিডেম (Zolpidem)
- ব্র্যান্ড: Eskayef Pharmaceuticals
- দাম: প্রায় ৩০-৪০ টাকা (প্রতি পিস)
ডিপস্লিপ (Dipsleep)
- এন্টিঅক্সিডেন্ট: ডিপেনহাইড্রামাইন (Diphenhydramine)
- ব্র্যান্ড: Incepta Pharmaceuticals
- দাম: প্রায় ৮-১২ টাকা (প্রতি পিস)
এখানে দেওয়া তালিকার সকল ওষুধগুলো প্রায় সকল ফার্মেসিতেই পাওয়া যায়। সেই সাথে এগুলো অত্যান্ত কার্যকরী। আর এই ধরনের সাস্থ সম্পর্কিত সকল খবর পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করে রাখুন, এবং নটিফেকেশন চালু করে রাখতে পারেন।