Saturday, January 25, 2025
No menu items!
Homeস্বাস্থ্য পরামর্শএন্টাসিড প্লাস খাওয়ার 100% নতুন নিয়ম

এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার 100% নতুন নিয়ম

সাধারনত সবাই জানেন যে এন্টারসিড সিরাপ এবং ট্যাবলেট উভয়ই রয়েছে। আর এটি গ্যাসটিক বা আলসারের জন্য খুব ভালো কাজ করে। আজ বাংলা ভোরের এই পোস্টে এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার নিয়ম এবং এর বিশেষ সকল কার্যকরিতা সমন্ধে জেনে নিতে পারবেন।

এন্টাসিড প্লাস এর বিভিন্ন প্রকারভেদ

সাধারনত এন্টারসিট প্লাস এবং শুধু এন্টারসিট উভয় ই ভিন্ন ভিন্ন প্যাকে পাওয়া যায়। আর এই ওষুধটি কিনতেও পাওয়া যায় বিভিন্ন ফার্মেসিতে তার সাথে আবার সরকারি হসপিটাল বা স্বাস্থ কেন্দ্র গুলোতেও এই এন্টারসিট ফ্রিতে দেওয়া হয়ে থাকে।

এন্টাসিড ট্যাবলেট: এগুলো সাধারণত প্রতিটি ২৫০ মি.গ্রা. বা ৫০০ মি.গ্রা. ডোজে পাওয়া যায়।

এন্টাসিড সাসপেনশন: প্রতি ৫ মি.লিতে ১৭৫ মি.গ্রা. অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড এবং ২২৫ মি.গ্রা. ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রক্সাইড থাকে।

এই দুটি প্যাক সাধারনত পাওয়া যায়। এন্টাসিড প্লাস ট্যাবলেট এর দাম সাধারন ফার্মেসিতে ২.৫০ টাকা করে পড়ে। আর এন্টাসিড প্লাস সাসপেনশন (সিরাপ) বোতলের দাম প্রায় ৮০ থেকে ৯০ টাকা পড়ে।

এন্টাসিড প্লাস খাওয়ার নিয়ম

সাধারন ভাবেই এই গ্যাসটিকের ওষুধটি খাওয়া যায়। কারন বিভিন্ন খাদ্যের ফলে পেটে এসিডের সৃষ্টি হয় ফলে পেটে জ্বালা পোড়া করতে পারে এবং পেট ব্যাথা সহ পেট ফুলে থাকে। আর এন্টারসিটে ক্ষার থাকে, ফলে এটি পেটের গ্যাসের সাথে বিক্রিয়া করে পেটের গ্যাসকে পানি ও লবনে পরিনিত করে ফেলে এবং সাভাবিক অবস্থা তৈরি করে।

সাধারনত এন্টাসিড প্লাস দুই ধরনের প্যাকে পাওয়া যায়, তাই এর খাওয়ার নিয়ম ও ভিন্ন ভিন্ন হবে। আর এই ভিন্নতার মধ্যেও বয়সের বিভিন্ন প্রকারের পার্থক্য থাকবে।

এন্টাসিড প্লাস ট্যাবলেট এর ব্যবহার করার বিশেষ নিয়মগুলো হলোঃ

  • প্রতিবার ১-২টি ট্যাবলেট চিবিয়ে খেতে হবে।
  • খাবারের ১-৩ ঘণ্টা পর এবং ঘুমানোর আগে খাওয়া যেতে পারে।
  • এটি খাওয়ার আগেও খেতে পারেন।
  • চিবিয়ে খেতে সমস্যা হলে পানি দিয়ে গিলেও খেতে পারেন।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ পরিবর্তন করা যেতে পারে।

এন্টাসিড প্লাস সাসপেনশন (সিরাপ) এর বিশেষ ব্যবহারের নিয়ম হলোঃ

  • ১-২ চা চামচ (৫-১০ মি.ল.) সাসপেনশন গ্রহণ করতে হবে।
  • খাবারের ১-৩ ঘণ্টা পর এবং ঘুমানোর আগে খাওয়া ভালো।
  • খাবারের আগেও খেতে পারেন।
  • এন্টারসিড সিরাপটি খাওয়ার পরে পানি খেলেও সমস্যা নেই।
  • ব্যবহারের আগে বোতলটি ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে।
  • ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডোস ব্যবহার করতে পারেন।

বিশেষ ভাবে সতর্কতা

এন্টারসিড খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ কিছু সতর্কতা রয়েছে। তার সাথে কোন প্রকারের ক্ষতিকর বিষয় লক্ষ করলে বা কোন উপকার অনুভব করতে না পারলে ডাক্তারের নিকটে পরামর্শ নিতে পারেন।

  • ন্টাসিড দীর্ঘমেয়াদে (বেশি সময় ধরে) ব্যবহার করা উচিত নয়, বিশেষ ভাবে, যদি কোনও শারীরিক সমস্যা যেমন কিডনি রোগ থাকে। বা ইত্যাদি রোগ থাকে।
  • গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে এটি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। তাই তখন অবশ্যই কোন সেফ গ্যসটিকের ওষুধ সেবন করুন।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এটি গ্রহণ করুন, বিশেষ করে যখন আপনি অন্য ওষুধ ব্যবহার করেন। কারণ এন্টাসিড কিছু কিছু ওষুধের কার্যকারিতা প্রভাবিত করতে পারে বা ভ্যানিশ করতে পারে।

এন্টাসিড প্লাস বাচ্চাদের জন্য খাওয়ার নিয়ম

এন্টাসিড প্লাস বাচ্চাদের জন্য খুবই সতর্কতার সাথে শেবন করাতে হয়। তাই এটি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

সাধারনত বাচ্চাদের সিরাপ খাওয়ানোর ব্যাপারে ডাক্তারদের দওয়া ডোসগুলো হলোঃ

  • ২-১২ বছরের শিশুদের জন্য, সাধারণত ১ চা চামচ (৫ মি.ল.)।
  • এটি প্রতিবার খাবারের ১-৩ ঘণ্টা পর এবং ঘুমানোর আগে দেওয়া যেতে পারে।
  • ব্যবহারের আগে সাসপেনশন বোতলটি ভালোভাবে ঝাঁকাতে হবে।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতাঃ

  1. শিশুদের ক্ষেত্রে ডোজ নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  2. দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার এড়ানো উচিত, কারণ এটি শিশুদের হজম প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
  3. ওষুধের প্রভাব বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

এই তথ্যের ভিত্তিতে আরও বিস্তারিত জানতে বা শিশুর জন্য নির্দিষ্ট ডোজ নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে শিশুদের খাওয়াবেন না। তবে যদি ডাক্তার এই তথ্যের সাথে মত প্রকাশ করেন তাহলেই এটি বাচ্চাদের জন্য গ্রহন যোগ্য। আর সকল বাচ্চাদের এক হবে না।

শেষ কথা

যদি আপনি একজন স্বাস্থ সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার সব সময়েই স্বাস্থ সমন্ধে ভালো করে জেনে নেওয়া উচিৎ। সেই সাথে স্বাস্থের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখাও কর্তব্য।

আপনি একজন অভিভাবক হিসেবেও, বা আপনি স্বাস্থ সচেতন হতে চাইলে সকল আপডেট আপনার জন্য। তাই আমাদের স্বাস্থ বিষয়ক সকল আপডেট পেতে এবং বিশেষ কিছু ওষুধ ও রোগ সমন্ধে জানতে এই সাইটের নটিফেককেশন চালু করে রাখতে পারেন, বা আমাদের নিচের দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপেও ফলো করে রাখতে পারেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

WhatsApp Group Join Now
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সম্প্রতি খবর

- Advertisment -