বিড়াল বিশ্বের জনপ্রিয় একটি পোষা প্রানী। যদিও এই প্রানী খাওয়ার যোগ্য নয়। বা এটি থেকে উল্লেখযোগ্য কোন আর্থিক বা অন্যান্য উপকার ও পাওয়া যায় না। তবুও কোটি কোটি বছর এই বিড়াল নামক প্রনীটি মানুষের সাথে একত্রে বসবাস করে যাচ্ছে।
অতিত কালেও বিড়ালের বিশেষ এই অবস্থান সমন্ধে জানা যায়। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের বিশাল একটি বস্থানের সৃতিতে এই বিড়ালের অবস্থান সমন্ধে নিশ্চিত করে।
যা-ই হোক, আজ আমরা এই বিশেষ পোষা বিড়ালের কামড় বা আঁচড়ের কারনে যে সকল সমস্যা হতে পারে এবং তার প্রতিকার সমুহ সমন্ধে জানিয়ে দিব। আর কখন কোন ধরনের ওষুধ ও ঘরোয়া চিকিৎসা প্রয়োজন সেটিও জানতে পারবেন।
বিড়াল কামড়ালে কি হয়
সময়ের সাথে বর্তমানে বিড়াল একটি জনপ্রিয় পোষা প্রানীতে পরিনিত হয়েছে। মানুষের সাথে বসবাস এবং মানুষের কাছে থাকা পোষ মানা এই প্রানীটির কামড়েও বিষাক্ত জীাবন নাষক অবস্তা তৈরি হতে পারে।
বিড়াল সহজে কাউকে কামড় দেয় না। কারন এটি একটি পোষ মানা বুদ্ধিমান প্রানী। তাই মানুষের কাছ থেকে তারা নিজেদের উপকরন খুজে নেয়। আর এই পোষমানা এবং ছোট, বুদ্ধিমান ও সুন্দর প্রানী হিসেবে তারা জন্য রয়েছে অনেকের মনেই অনেক ভালোবাসার স্থান।
তবেও দেখা যায় বিশেষ কিছু কারনে বিড়াল ক্ষতিকর অবস্থান তৈরি করতে পারে। তাই রেগে গিয়ে কামড় দিতে পারে।
বিড়ালের কামড়ে সাধারনত, বিড়ালের দাঁতের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া যেমন Pasteurella, Bartonella henselae সহ ইত্যাদি ক্ষতিকর জীবানু দেহের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। ফলে এটি জলাতঙ্ক করতে পারে।
বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয়
বিড়ালের কামড়ের মতো বিড়ালের আচঁড়েও ভয়াবাহতা থাকে। কারন বিড়ালের নখের মধ্যে সাধারনত Pasteurella, Bartonella henselae পদার্থগুলো পাওয়া যায়। যা দেহের মধ্যে ক্ষত হওয়ার মাধ্যমে প্রবেশ করে জলাতঙ্ক তৈরি করতে সক্ষম।
সেই সাথে বিড়াল তার নখের অনেক ব্যবহার করে, বিশেষ করে মৃতদেহ ছিড়ে খায়, ইদুর বা ইত্যাদি প্রানির উপরে আক্রমন করে, বিভিন্ন নোংড়া পরিবেশে অবস্থান করে। তাই তার নখের মধ্যে ক্যান্সার বা আরো বিভিন্ন ভয়াবাহ ক্ষতিকর জীবানু থাকতে পারে।
বিড়ালের নখের আঁচড় কি বিপজ্জনক
কোন কোন সময়ে বিড়ালের নখের আঁচড় বিড়ালের কামড়ের থেকেও বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। কারন তাদের নখের মধ্যে Pasteurella, Bartonella henselae ক্ষতিকর পদার্থের সাথে আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবানুর ভাইরাস পাওয়া যায়।
বিশেষ করে বিভিন্ন প্রানীর দেহে আঘাত হানার সময়ে, বিভিন্ন নোংড়া পরিবেশ থেকে খাবার খাওয়ার সময়ে। তাই এটি কামড়ের থেকেও বেশি ক্ষতির কারন হতে পারে, যখন আঁচড় দেওয়ার ফলে দেহের ত্বক ভেদ করে তা রক্তের সাথে মিশৃত হতে পারে।
বিড়ালের আঁচড়ে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়
বিড়ালের আঁচড়ের ফলে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাচতে হলে অবশ্যই ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে হবে। তবে নিজের মনের মতো কোন ভ্যাক্সিন দেওয়া থেকে সম্পুর্ন বিরত থাকুন। যথার্থ সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন, ডাক্তার অবস্থান বুঝে উপযুক্ত ওষুধ প্রয়োগ করবেন।
বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ
আপনারা জানেন যে বিড়ালের কামড়ে বা আঁচড়ের ফলে দেহের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস বা জীবানু প্রবেশ করে ফলো এক ধরনের রোগ তৈরি হতে পারে।
যে সকল লক্ষনে বুঝতে পারেন জলাতঙ্ক রোগঃ
- আচরণগত পরিবর্তন বা অতিরিক্ত ভীতির লক্ষণ।
- মুখ থেকে অতিরিক্ত লালা পড়া।
- খাওয়া-পানায় অসুবিধা
- অস্বাভাবিক কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন।
- টলমল করা বা দেহের বিভিন্ন অংশ প্যারালাইসিস।
- রোগটির অগ্রগতি দ্রুত এবং সাধারণত প্রাণীর মৃত্যু ঘটে।
কোন লক্ষন ছাড়াই আপনার প্রয়োজন বিড়ালের দ্বারা আক্রমিত হলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া। সঠিক সময়ে ভ্যক্সিন নেওয়া। ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রায় শেবন করা।
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়
বিড়ালে কামড় দিলে জলাতঙ্ক নামক রোগে আক্রমিত হতে পারেন। তাই সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে হবে। আর বিড়ালে কামড়ালে যে ভাইরাস হয়ে থাকে, তার জন্য বিশেষ ভাবে টিকা বা ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়ে থাকে।
বিড়ালে কামড়ালে সাধারনত ২৪ ঘন্টার মধ্যে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন (Rabies vaccine) নেওয়া উচিত। তবে যদি দেরি হয়ে যায়, তবুও উচিৎ তারাতারি বিলম্বহীন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। কারন ৭২ ঘন্টার মধ্যে এই ভাইরাসগুলো দেহের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, আর তাদের অবস্থান তৈরি করে নেয়।
আর এই ভ্যাকসিন বা টিকা বিড়ালে কামড়ালে বা আঁচড় দিলেই প্রয়োজন হয়। তাই অনতিবিলম্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ভ্যাক্সিন নেওয়া জরুরি। বিলম্বের ফলে জীবন নাশক অবস্থাও তৈরি হতে পরে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক সকল সতর্কতা ও উপকারি তথ্য পেতে আমাদের সাইটের নটিফেকেশন চালু করে রাখতে পারেন, এবং নিচের হোয়াটসঅ্যাপেও ফলো করে রাখতে পারেন।