শেয়ার বাজারে পাহাড় দেখা যাচ্ছে ২০২৪ সালে। কিন্তু পাহাড় দিয়ে কি বোঝা যায় তা জানেন কি? আজ আমরা বাংলা ভোর অনলাইন পত্রিকার পক্ষ থেকে আপনাদের সাথে শেয়ার বাজারের পাহাড় গ্রাফ নিয়ে আলোচনা করবো। এবং তার সাথে ভয়াবাহ শেয়ার বাজারের বর্তমান অবস্থা ২০২৪ সমন্ধে জানিয়ে দিব।
আশা করি আপনারা আমাদের পোস্ট থেকে ভালো কিছু তথ্য জাননতে পারবেন। আর বিনিয়োগ করবেন না কি, সেটি নিয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
শেয়ার বাজার কিসের ভিত্তিতে চলে
যদি কেউ আপনাকে পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, রাশিয়া, আফগানিস্থান, বাংলাদেশ ও ভারত এর মধ্য থেকে কোন একটি দেশে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করতে বলে, তাহলে আপনি কোথায় বিনিয়োগ করবেন ভেবে বলুন তো?
হ্যা শেয়ার মার্কেট যুদ্ধ, রাজনিতি, সাধীনতা সব কিছুর উপর নির্ভর করে। তবে তা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন দিকে ফোকাস করতে পারে।
ঠিক তেমন ই বাংলাদেশে ও ভারতে এবং পাকিস্তানে রাজনিতির জন্য কেউ শেয়ার কিনতে তেমন আগ্রহী নয়। তার প্রধান করন, এই দেশগুলো থেকে যে , কোন সময়ে তারা নিজেদের পুজি পর্যন্ত হাড়াতে পারে। আবার রাশিয়ায় কিনতে তেমন ভয় পায় না, কারন সেখানকার যদিও আংশিক ঝুকিপুর্ন তবে তারা ঘুরে দাড়াতে পার যে কোন মুহুর্তে ই।
তার মানে, শেয়ার মার্কেট চিনতে হলে গোপন কোন একটি শুত্র শিখে নিতে হবে। যদি আপনিও একজন বিনিয়োগকারী হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষা করুন। আমরা পরবর্তী পোস্টে আপনাদের বুঝিয়ে দিব শেয়ার মার্কেটের গোপন সকল ধারনা।
শেয়ার বাজারের বর্তমান অবস্থা ২০২৪
বাংলাদেশে একটা অতীত আছে, যখন বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো দেওলীয়ার পথে ছিল। তখন দেশের সম্পদ প্রচুর পরিমানে বিদেশে পাচার হচ্ছিল। পাচার বলতে অবৈধ পথে। যা আর ফিরবে না। এবং বিনা সার্থে।
তবে সেই সরকারের পতন হয়েছে। সাথে আবার দেশের অন্তরবর্তি সরকার গঠন করা হয়েছে। তার পর থেকে হুট হুট করে শেয়ার বাজার বাংলাদেশে উপরে উঠে যাচ্ছিল। কিন্তু রাজনিতির প্রভাব কেটে না উঠতে পারায়, সেটি মাঝে মাঝে পাহাড়ের মতো ক্ষাত পড়তে থাকে।
আংশিক মানুষ বন্ধ রাখে, আবার কেউ কেউ সরে যায় শেয়ার থেকে। আবার নতুন করে সে বা অন্য কেউ ঢুকে পরে। এভাবে থমকে থমকে ভালোই চলছিল দেশের শেয়ার মার্কেট।
কিন্তু তার মধ্যে দেশের আরেক খারাপ অবস্থার দেখা। দেশে ভয়াবাহ বন্যা। আমরা প্রায় মাসের শুরুতে একটা পোস্টে এই বন্যার বিশেষ আভাস দিয়েছিলাম। আমরা বিদেশি মাধ্যম ব্য়বহার করে এই নিউস সংরক্ষন করেছিলাম।
তবে যতক্ষানি ভাবছিলাম, তার থকেও বেশি বন্যার দেখা মিলেছে। আসলে এতো বেশি পানি হওয়ার কথা ছিল না। এখানে ভারত সরকার অনৈতিক কর্মকান্ড করেছে।
তবে যা ই হোক, দেশের খবর না রাখলে, আপনি কখনোই সার্থক ইনভেস্টর হতে পারবেন না। তাই আমাদের সাথে থেকে সকল খবর জেনে নিতে পারেন।
দেশের শেয়ার বাজারের গ্রাফটা পাড়ারের মতো উচু আর ছোট ছোট ঢেউ খেলায় ব্যস্ত ছিল। তবে তখন ই দেশের ভয়াবাহ বন্যায় পাহাড়ের শেষ প্রান্তের দেখা দিল। এখন ২ পাশে নিচু আর মধ্যে খানে পাড়ারের মতো উচু, সাথে ছোট ছোট ঢেউ খেলা রয়েছে।
কিন্তু এই খেলাটার শেষ টা কেমন হবে, সে বিষয়ে তো জানা দরকার। আমরা সুধু ধারনা করে ভবিশ্যত সমন্ধে আলোচনা করতেই সক্ষম। আমরা কখনোই ভবিশ্যত বলে দিতে পারি না। কবে আপনি আমাদের সকল খবর পড়তে থাকলে, ভবিশ্যত সমন্ধে কিছুটা ধারনে পাবেন। আর বেশ বড় ক্ষতির হাত থেকে বাচতে পারবেন।
বাংলাদেশের শেয়ার কেনা ঠিক হবে কি
জীবনে রিস্ক না নিলে কখনোই উপরে ওঠা যায় না। এই ছোট উপদেশটা আপনার জীবনে বাস্তবায়ন করে রাখুন। তবে যদি মুল ধন অল্প হয়, তাহলে আমি এই সময়ে আপনাকে না কেনার অনুরোধ করি। আপনি কিনলেও অল্প লাভে ই হাতে ফিরিয়ে নিন।
কিন্তু যদি আপনার পুজি বড় শড় হয়। তাহলে এই সময়ে বেশ খানি কিনে রাখতে পারেন। কারন সারা জীবন দেশে বন্যা থাকবে না। তার উপরে আবার বন্য গেলেও সাথে সাথে শেয়ারের দাম বাড়বে না। তবে এখনকার দামের তুলনায় বন্যা যাওয়ার পরে কিছু সময় থম মেরে থাকলেও খুব অল্প সময়ে আবার পাহারের মতো উঠতে শুরু করবে।
তবে তখন কিন্তু সবাই এই বন্যার লস সামাল দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়বে, তাই বিশেষ সতর্কতা নিয়ে আগাতে হবে আর ছোট বড় সকল নিউসের দিকে চোখ রাখতে হবে।
কেননা দুর্যোগ আর বিপদ কখনোই বলে আসে না, তাই ই গুলো আসলে আবার হুট হুট করে কমে যাবে দেশের শেয়ার।
তবে দয়া করে শেয়ার বাজার সমন্ধে না বুঝে, কেউ শেয়ার কিনতে জাবেন না। বরং চাইলে ক্রিপ্টো মার্কেটে যেতে পারেন। আর না হয় ভালো করে শিখে নিতে পারেন। আমার সাথে থাকলে বেশ কিছুটা ধারনে পাবেন আশা করি।