আমাদের দেশের একটি বড় সমস্যা আমাদের ইন্টারনেট। বর্তমান পৃথিবীতে ইন্টারনেট ছাড়া অচল প্রায় মানুষের জীবন। আমার জানা নেই যে, ইন্টারনেটের বাইরে কেউ আছে নাকি, আর থাকলে ও তাদের জীবনের আনন্দটা কতটা বেশি, আর কি কি সমস্যায় তারা সম্মুক্ষিন হয়।
তবে যা ই হোক, সম্প্রতি মানুষের একটা কষ্ট হলো, আমাদের দেশের ক্ষমতাশীল সরকারের এক মন্ত্রি পলক, যিনি ইন্টারনেটের দ্বায়ীত্বে কর্মরত আছেন। তবে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে, দেশের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। বিশেষ করে যারা অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে, তাদের এই ক্ষতিটি বেশি হয়েছে। তার সাথে যারা প্রবাসে আছে, তারা ফ্যামেলির সাথে কথাও বলতে ব্যার্থ হয়েছে।
আমার দেখা, একজন সৌদি প্রবাসীর মা মারা গেছে, তবে ইন্টারনেটের এই করুন অবস্থার জন্য সেই লোকটাকে খবর পৌছাতে পারে নি। যা হয়তো সপ্তাহখানে যাওয়ার পরে সে জানতে পারছে।
তবে যা ই হোক, দেশের স্বাধীনতার রক্ষার দাবী, এবং শান্তি কামনা করে আমরা আমাদের মুল তথ্যে প্রবেশ করি। আশা রাখি এই পোস্ট টি সমন্ধে আপনারা কিছু নতুন বিষয়ে ধারনা লাভ করতে পারবেন। এই পোস্ট টি করার বিশেষ কারন, যারা ফাইভার, আপওয়ার্ক সহ ইত্যাদি প্লাটফর্মে কাজ করে, বা ফ্রিল্যান্সিং করে, তারা একটা দিন লাইনে না থাকলে তাদের অনেক ক্ষতির সাথে লড়াই করতে হয়।
আবার রিমোট জব, ট্রেডিং যারা করে তাদের ও অনেক ক্ষতি হয়েছে। ইভেন আমাদের ও বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে। আমরা ওয়াইফাই কন্ট্রোল রুমে থেকেও ইন্টারনেটের বাইরের জীবন পার করেছি।
মানুষের অনেক আগ্রহ যেগেছে, আদৌ কি কোন ভাবে ইন্টারনেটে থাকতে পারতাম। বা সময় টিভি কিভাবে চলেছে। দেশের নেতারা কিভাবে বাহিরের সাথে সম্পর্কিত ছিল। আরে নানান প্রশ্ন জাগে আমাদের মনে, তাই সহজ সমাধান দেওয়ার জন্য মুলত এই পোস্ট টা। তবে এর জন্য আমাদের আগে কিছু ধারনা থাকতে হবে।
ইন্টারনেট কি
ইন্টারনেট কি, এই বিষয়ে আমার থেকে হয়তো আপনারা অনেক ভালো জানেন। তবে যেহেতু বিষয়টা জানা অনেকটা দরকারী তাই নতুন ভাবে ছোট করে বলে দিচ্ছি। আসলে ইন্টারনেট তেমন আহামুড়ি কিছু না। ধরতে পারেন, তারের মাধ্যমে বিদ্যুত পারাপারের মতো ওয়াইফাই পার হয়।
ম্যাগনেট বা চুম্বুকের আকর্ষনে মোবাইল ডেটা, স্যাটালাইট ডেটা, বেতার বা রেডিও, কল নেটওয়ার্ক ইত্যাতি ছোট ছোট আকর্ষন বিকর্ষনের সংকেত থেকে পারাপার করা হয়। ইভেন বলা চলে, ইশারার মতো কাজ করে। আমি হাজ উপরে তুলে নাড়া দিলে আপনি সেই নাড়াটা দেখে সহজে বুঝতে পারেন যে কিবুঝাতে চাচ্ছি। ঠিক আপনি আবার আমাকে ইশারা করে বুঝাতে পারেন।
ঠিক এমন ভাবে কম্পিউটারে ও কিছু নির্দেশনা দেওয়া আছে, যা সে অন্য কম্পিউটারের ইশারা বা সংকেত পেতে তারা নির্দেশনার সাথে মিলাতে চেষ্টা করে, তখন যে নির্দেশনার সাথে মিলে যায় সেই নির্দেশনগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরে।
আশা করি সহজ কথায় জটিল উত্তর পেয়ে গেছেন।
কি কি উপায়ে ইন্টারনেটে কানেক্ট হওয়া যায়
আমরা জানি ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে, আমাদের কোন একটা মাধ্যম ব্যাবহার করতে হয়। আর কোন মাধ্যম কোন ভাবে কাজ করে তা অনেকটা বুঝিয়ে দিয়েছি উপরের এক কথায়।
ইন্টারনেট চালানোর জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। এখানে কিছু জনপ্রিয় উপায় তুলে ধরা হলো:
Wi-Fi: এটি অন্যতম জনপ্রিয় উপায়। আপনি যে কোনও ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ করতে পারেন, যেমন বাড়িতে, অফিসে বা পাবলিক জায়গায়।
লোকাল সার্ভার আমরা বিগত একটি পোস্টে ftp সার্ভার নিয়ে কথা বলেছি। সেখানে এই লোকাল সার্ভারের ব্যাবহার করা হয়। এটি কোন তার ব্যাবহার করে এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডেটা পাঠানো হয়। তাই মাইক্রোটিকের ব্যাবহার হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে সাধারন ইন্টারনেটের তুলনায় খরচ কম এবং স্পিড ভালো হলেও কোন সার্ভারের এক্সেস করা যায় না। লেকাল সার্ভার বিভিন্ন কারনে স্পিড কমেও যেতে পারে, তার বিশেষ কারন হলো বেশি ইউজার, বেশি দুরত্ব, স্লো ড্রাইভ, স্লো কম্পিউটার সহ ইত্যাদি।
স্বাধীন Wifi বা বিশেষ সেবা এটি সাধারনত বিশেষ রাউটারের মাধ্যমে এলাকা ভিত্তিক ব্যাবসা করা হয়। একটা রাউটারের মাধ্যমে পুরো এলাকায় ইন্টারনেট সেবা পৌছানো যায়, তবে এটি স্যাটালাইট বা WIFI ইন্টানেটের আয়ত্বাধীন পরিচালিত। এই ব্যাবসা যে কোউ করতে পারে, আর অনেক লাভবান হওয়া যায়, তাই এটি নিয়ে আগামিতে পাস্ট আসবে।
মোবাইল ডাটা: স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের মাধ্যমে মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে ইন্টারনেট সংযোগ করা যায়। এটি 3G, 4G, বা 5G নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হতে পারে।
ডেটা কার্ড বা USB মডেম: একটি ডেটা কার্ড বা USB মডেম কম্পিউটারের USB পোর্টে সংযুক্ত করে মোবাইল ডাটা ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্টারনেট চালানো যায়।
বROADব্যান্ড কানেকশন: ল্যান্ডলাইন ফোনের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যায়। এটি সাধারণত একটি DSL বা ফাইবার অপটিক সংযোগ হতে পারে।
স্যাটেলাইট ইন্টারনেট: স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যায়। এটি সাধারণত গ্রাম্য বা বিচ্ছিন্ন এলাকায় ব্যবহার হয়। সাধারনত গনমাধ্যমগুলো এবং বিশেষ কম্পানি ,গবেষনা কাজে, সরকারি বিশেষ কাজে, ইভেন ধারনা করা হয় আমাদের সময় টিভি ও এটি ব্যাবহার করেছে।
কিন্তু এই নেটওয়ার্ক ব্যাবহারের জন্য অনেক বেশি টাকা পেমেন্ট করতে হয়, আর তুলনা মুলক আপলোড-ডাউনলোড স্পিড ও কম থাকে, তাই তেমন সাধারন ব্যাবহারকারীরা এটি ব্যাবহার করতে পারে না। এর জন্য সাধারন নেটওয়ার্কের ১০গুন বেশি পে করতে হয়।
মোবাইল হটস্পট: একটি মোবাইল হটস্পট ডিভাইস বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে একটি ইন্টারনেট সংযোগ তৈরি করে অন্যান্য ডিভাইসে ইন্টারনেট শেয়ার করা যায়।
বেতার ইন্টারনেট: কিছু এলাকায় ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদান করা হয়, যা বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে। এটি বিটিভি,রেডিও, ওকিটকি ইত্যাদিতে ব্যাবহার করা হয় তবে মোবাইল ভিডিও বা সোস্যাল নেটওয়ার্ক চলায় না কারন এখানে খরচ বেশি বা তুলনা মুলক সমাজের জন্য অচল হয়ে পড়েছে। তাই কোন কম্পানি ই এই পুরান মাধমে তাদের সোস্যাল বা সার্ভারের তথ্য আদান প্রদান করে না।
পাওয়ারলাইন নেটওয়ার্ক: বিদ্যুৎ লাইন ব্যবহার করে ইন্টারনেট সিগন্যাল প্রেরণ করার প্রযুক্তি। এটি বাড়ির বিভিন্ন অংশে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সহায়তা করে।
সাইবার ক্যাফের মাধ্যমে
যদি আপনার কাছে ফোন বা কম্পিউটার নাও থেকে থাকে তাহলেও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা দেয়ার জন্য বিভিন্ন সাইবার ক্যাফে আছে।
এসব ক্যাফেতে ঘণ্টা হিসেবে কম্পিউটার ভাড়া দেয়। এই কম্পিউটারের মাধ্যমেও আপনি ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে কাজ করতে পারবেন।
সবার হাতে হাতে যখন ফোন , ল্যাপটপ এতটা সহজলভ্য ছিলো না সেই সময় সাইবার ক্যাফের ধারণাটা বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় ছিলো।
তবে সাইবার ক্যাফেতে ব্যবহারের বেলায় অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার দিকে বেশি নজর দিতে হবে। যেহেতু এ ধরনের কম্পিউটার অনেক মানুষ ব্যবহার
করে সেক্ষেত্রে সতর্ক না থাকলে আপনার বিভিন্ন তথ্য অন্য মানুষের কাছে চলে যেতে পারে। তবে এটা কিন্তু উন্নত কোন ইন্টারনেট চালানোর মাধ্যম নয়।