ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিনিধি: দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস দীর্ঘদিন ধরে মাদকের আগ্রাসনের শিকার। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ফুটপাত এবং কিছু আবাসিক হলের আশেপাশে মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগ ওঠে বহিরাগত ও কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিলের মতো মাদকের অবাধ প্রচলনে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে এবং নির্দিষ্ট সময়কালে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
ক্যাম্পাসে মাদকের প্রচলন:
দীর্ঘদিন ধরে ঢাবি ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ও আশেপাশে মাদক সেবন একটি গুরুতর সমস্যা। ২০১৭-২০১৮ সালের বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার, চারুকলা অনুষদ, আইন অনুষদের সামনে এবং জহুরুল হক হল ও মুহসিন হলের মতো হলগুলোর কক্ষগুলোতেও মাদক সেবনের অভিযোগ উঠেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইয়াবা আসক্তের সংখ্যাও উদ্বেগজনক।
মাদক নিয়ন্ত্রণে ঢাবি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ও সময়কাল:
মাদকাসক্তি রোধে এবং ক্যাম্পাসের পরিবেশ সুরক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। সময়কালসহ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অভ্যন্তরে মাদকের প্রচলন রোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। নিচে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ও সময়কাল উল্লেখ করা হলো:
- **২৭ অক্টোবর, ২০২৫:** শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল থেকে **মাদক সেবন/সংরক্ষণের** প্রমাণ মিললে শিক্ষার্থীকে হল থেকে **বহিষ্কারের** ঘোষণা।
- **২৩ আগস্ট, ২০২৫:** অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে **’মাদকবিরোধী তারুণ্যের সমাবেশ’** ও বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি।
- **৫ জুলাই** (সাম্প্রতিক বছর): উপাচার্য কর্তৃক ক্যাম্পাসে **’জিরো টলারেন্স’** নীতি ঘোষণা এবং বহিরাগত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার।
- **অব্যাহত:** বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর **নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান**।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও উপসংহার:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বারবারই ক্যাম্পাসে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। তিনি বহিরাগত মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেন। বিশ্ববিদ্যালয় মাদকমুক্ত রাখার জন্য ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান দপ্তরকে শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং করার জন্য আরও বিস্তৃত কার্যক্রম হাতে নিতে উৎসাহিত করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের পরিবেশকে মাদকমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, প্রায় সবক্ষেত্রেই মাদকাসক্ত হলে তাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিবে হল কর্তৃপক্ষ।
