২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপকে ইতিহাসের সবচেয়ে প্রযুক্তিনির্ভর ও উদ্ভাবনী আসর হিসেবে উপস্থাপন করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। দেশটির সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে এক অভাবনীয় উদ্যোগ—আকাশে নির্মিত একটি স্টেডিয়াম, যা পৃথিবীর অন্য যেকোনো স্থাপনার ধারণাকে ছাড়িয়ে যাবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এই স্টেডিয়ামটির অবস্থান হবে নেওম শহরের কেন্দ্রে—সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মরুভূমিতে নির্মাণাধীন স্মার্ট মেগাসিটি। ১১৫০ ফুট উঁচু এক আকাশচুম্বী ভবনের ওপর গড়ে উঠবে এই ‘স্কাই স্টেডিয়াম’।
পুরো স্টেডিয়ামটি চালিত হবে নবায়নযোগ্য শক্তি—সৌর ও বায়ু শক্তির মাধ্যমে। প্রায় ৪৬ হাজার দর্শক এখানে একসাথে খেলা উপভোগ করতে পারবেন।
এই বিশাল প্রকল্পের নির্মাণ শুরু হবে ২০২৭ সালে, এবং শেষ হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০৩২ সাল। সৌদি কর্মকর্তাদের মতে, এই স্টেডিয়াম শুধু একটি খেলার মঞ্চ নয়, বরং দেশের ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়নের এক প্রতীকী মাইলফলক হবে।
সরকার আরও জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১৫টি আধুনিক ও টেকসই স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে প্রতিটি নকশায় থাকবে ভবিষ্যতমুখী স্থাপত্য ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ছোঁয়া।
নেওম প্রকল্প নিজেই এখন বিশ্বের অন্যতম উচ্চাভিলাষী শহরায়ণ উদ্যোগ—একটি গাড়িমুক্ত, এআই-চালিত, মরুভূমি ও পর্বতের সংমিশ্রণে গড়া নগরী।
সেখানেই এই স্কাই স্টেডিয়াম তৈরি হবে পাহাড়ের কিনার ঘেঁষে, যা নৌকা বা ট্রেনের মাধ্যমে প্রবেশযোগ্য হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আকাশচুম্বী ভবনের ওপরে ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণের ধারণাটি বিশ্বকাপ আয়োজনের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে—যেন বাস্তবের মেঘের মাঝে গড়ে ওঠা এক ক্রীড়া রাজ্য।
