জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) চলমান চার দিনের ম্যাচে আবারও ব্যাট হাতে নিজের অভিজ্ঞতার ঝলক দেখালেন রংপুর বিভাগের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার নাঈম ইসলাম। প্রায় দুই দশকের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি তুলে নিয়েছেন এক দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, যা তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৪তম শতক।
এ সেঞ্চুরির মাধ্যমে নাঈম পা রাখলেন এক অনন্য মাইলফলকে — প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১ হাজার রান। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই কীর্তি গড়লেন মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে, তুষার ইমরানের পরেই।
এই ম্যাচের আগে তাঁর সংগ্রহ ছিল ১০,৯৫৩ রান। সেঞ্চুরি সম্পূর্ণ করার সঙ্গে সঙ্গে যোগ হলো আরও এক মাইলফলক — লাল বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিকতার প্রতীক হয়ে উঠলেন ৩৯ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
রংপুর বিভাগের হয়ে সিলেট অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে ব্যাট হাতে ২২১ বল মোকাবিলা করে ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন নাঈম। তাঁর ইনিংসে ছিল ১৬টি বাউন্ডারি। দিনের খেলা শেষে রংপুর তোলে ৮ উইকেটে ৩০৮ রান, ফলে প্রথম ইনিংসে ঢাকা বিভাগের ২২১ রানের বিপরীতে তারা এগিয়ে যায় ৮৭ রানে।
দিনের শেষে নাঈমের সঙ্গে ৪ রানে অপরাজিত থেকে কাল আবারও মাঠে নামবেন রবিউল হক। এ ছাড়া তানবীর হায়দার যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ ৪৫ রান। ঢাকার হয়ে রিপন মণ্ডল নেন ৪ উইকেট, তাইবুর রহমানের ঝুলিতে যায় ২টি।
অন্যদিকে খুলনায় চলছে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ম্যাজিক। তাঁর দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক ও ৬ উইকেটের কল্যাণে ফলোঅনে পড়েছে বরিশাল বিভাগ। খুলনা প্রথম ইনিংসে করে ৩১৩ রান, আর বরিশাল আফিফের ঘূর্ণি-বিষে ১২৬ রানে অলআউট হয়। দ্বিতীয় ইনিংসেও বিপদে পড়ে তারা, দিন শেষে ৪ উইকেটে ১১৯ রান করে এখনো পিছিয়ে ৬৮ রানে।
রাজশাহীতে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন চট্টগ্রামের দুই তরুণ ব্যাটার — মাহমুদুল হাসান জয় (১২৭) ও ইয়াসির আলী রাব্বি (১২৯)। তাঁদের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪০১ রান তোলে চট্টগ্রাম বিভাগ। জবাবে রাজশাহী ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায় হাসান মুরাদের স্পিনে, যিনি নিয়েছেন ৬ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রাম ৪ উইকেটে ১৩৩ রান করে লিড বাড়িয়েছে ৩৩৮ রানে।|
অন্য ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দারুণ পারফরম্যান্স করেছে ময়মনসিংহ বিভাগ। আগের দিন ১০১ রান করেছিলেন আরিফুল ইসলাম, আর আজ নিজের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন আবু হায়দার রনি — ১০৫ বলে অপরাজিত ১০৭ রান, যাতে ছিল ৬ ছক্কা ও ১০ চার। দিন শেষে সিলেট বিভাগ ৫ উইকেটে ১৯৮ রানে পৌঁছে এখনো পিছিয়ে ২০৩ রানে।
