বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলায় অংশ নিতে ইতালির উদিন শহরে গিয়েছিল ইসরায়েলের ফুটবল দল। কিন্তু মাঠে নামার আগেই ঝামেলায় পড়ে তারা। ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে হাজারো মানুষ, দাবি তোলে—ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
পুলিশ শুরুতে আটকানোর চেষ্টা করলেও বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এমনকি স্টেডিয়ামের ভেতরেও উত্তেজনার ছোঁয়া লাগে। ২৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে টিকিট বিক্রি হয় মাত্র ৯ হাজার।
মঙ্গলবার রাতের ম্যাচ ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনী আগেই স্টেডিয়ামের আশপাশে রেড জোন ঘোষণা করেছিল। ব্যারিকেড বসানো হলেও বিক্ষুব্ধ জনতা তা তুলে ফেলে। পুলিশ বাধা দিলে আন্দোলনকারীরা পাথর ছুঁড়ে প্রতিক্রিয়া জানায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ার গ্যাস, জলকামান আর সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পুলিশ।
সন্ধ্যা নামতেই উত্তেজনা আরও বাড়ে। বিক্ষোভকারীরা গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ‘ভুয়া’ বলে দাবি করে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানায়। তারা ত্রাণ পাঠানোর পথ খুলে দেওয়ারও দাবি তোলে।
ফিফা-উয়েফার দ্বিমুখী আচরণে ক্ষোভ
বিক্ষোভকারীরা বলেন, রাশিয়াকে যেমন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তেমনি ইসরায়েলকেও আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বাদ দেওয়া উচিত। কিন্তু তারা তা করছে না। মাঠে খেলা চলছে, আর বাইরে মানুষ মরছে—এ কেমন বিচার?
এভাবেই উদিনের রাস্তাঘাট থেকে স্টেডিয়ামের গ্যালারি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদের আগুন।
