ইউরোপিয়ান ফুটবলে চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন ঘটালেন ইংলিশ কোচ গ্রাহাম পটার। চেলসি ও ওয়েস্ট হ্যামের সাবেক এই ম্যানেজারকে এবার সুইডেন জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সুইডিশ ফুটবল ফেডারেশন (SVFF)।
৫০ বছর বয়সী পটার এর আগে দীর্ঘ সাত বছর কাটিয়েছেন সুইডেনেই, ওস্টারসুন্ড ক্লাবের কোচ হিসেবে। তাঁর হাতে দলটি উঠেছিল দেশের চতুর্থ বিভাগ থেকে একেবারে শীর্ষ লিগ এবং এমনকি ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা পর্যন্ত। এবার জাতীয় দলকে দায়িত্ব দিয়ে তাঁর ওপর ফের আস্থা রাখল সুইডিশ ফেডারেশন।
পটার সর্বশেষ কাজ করেছেন লন্ডনের ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডে। নতুন দায়িত্ব পেয়ে তিনি জানান, “আমি এই সুযোগে ভীষণ গর্বিত ও অনুপ্রাণিত। সুইডেনের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে যারা বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলোতে খেলে। আমার লক্ষ্য হলো এমন একটি দল গড়া, যারা ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিতে পারে।”
পটারের আগে দায়িত্বে ছিলেন ডেনিশ কোচ জোন ডাল টমাসন, যিনি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্যর্থতার কারণে বরখাস্ত হন। এটি ছিল সুইডেনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পুরুষ দলের প্রধান কোচকে মাঝপথে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা।
সুইডিশ ফুটবল ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সাইমন অ্যাস্ট্রোম বলেন, আমাদের লক্ষ্য অপরিবর্তিত—বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন। মার্চে প্লে-অফের আগে কোচ পরিবর্তনের সিদ্ধান্তটি ছিল প্রয়োজনীয়। আমরা বিশ্বাস করি, পটার তাঁর অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব দিয়ে দলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।
আগামী নভেম্বরে সুইজারল্যান্ড ও স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে সুইডেন। পটারের চুক্তি আপাতত বিশ্বকাপ প্লে-অফ পর্যন্ত, তবে দল যোগ্যতা অর্জন করলে চুক্তি বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে ‘বি’ গ্রুপে সুইডেনের অবস্থান তলানিতে—চার ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে। কসোভোর বিপক্ষে টানা দুটি হার ও সাম্প্রতিক ১–০ গোলের পরাজয়ে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার আশা কার্যত শেষ।তবে ফেডারেশন ও দল দুপক্ষই এখন নতুন কোচের হাতে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায়।
ফুটবল পরিচালক কিম ক্যালস্ট্রোম বলেন, গ্রাহামের নেতৃত্বে দল নতুনভাবে জেগে উঠবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তিনি কৌশলগতভাবে দক্ষ এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে পারদর্শী।
