ভারতের হিন্দুরা সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের উপর হামলা করেছে বার বার

1
502
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা

আসামে খ্রিষ্টানদের উপর “ধারাবাহিক আক্রমণের” ঘটনায় উদ্বেগ।

গত বৃহস্পতিবার ভারতের আসামে খ্রিস্টানদের সংগঠন “আসাম ক্রিস্টিয়ান ফোরাম (এসিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছেন, কয়েক বছর ধরে সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর ‘ধারাবাহিক আক্রমণের’ ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন।

এসিএফের তরফ থেকে আরো বলা হয়েছে, পুলিশ গির্জা ও ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে আসামের একাধিক জেলায় তদন্ত চালাচ্ছে। এর মধ্যে আসামের মধ্য-দক্ষিণ জেলা কার্বিং আংলং ও ডিম হাসাও এবং পশ্চিম আসামের গোয়ালপাড়া ছাড়াও অন্যান্য জেলা রয়েছে।

এসিএফ মুখপাত্র অ্যালেন ব্রুকস জানান, কিছু লোক খ্রিস্টানদের প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ করছেন। ধর্মাবলম্বীরা যে মূর্তি ও ছবিতে বিশ্বাসী,তা সরানোর দাবি তুলছেন। একেবারে খোলাখুলিভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ভিন্নমতকে জায়গা দেওয়ার মতো বিষয়কে খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

এসিএফ বলেছে , এর ফলে একটা ‘ভয় ও হুমকির’ বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এই ‘ভয় ও হুমকির’ বাতাবরণের পিছনে রয়েছে ২০২৪ সালে পাস হওয়া একটি আইন।এই আইনের নাম ‘আসাম হিলিং (প্রিভেনশন অফ ইভিল) প্র্যাকটিসেস অ্যাক্ট’।

গত ফেব্রুয়ারিতে আইনটি আসামের বিধানসভায় পাস করা হয়। আইনটিতে বলা হয়েছে, আইন লঙ্গন করলে আসামির এক থেকে তিন বছর জেল, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা দুটিই হতে পারে।

মধ্য আসামের গোলাঘাট জেলায় প্রাঞ্জল ভূঁইয়া নামে এক খ্রিস্টান গ্রামবাসীকে সম্প্রতি এই আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল,’তিনি জাদুর সাহায্যে রোগ নিরাময় করছিলেন।’তাঁর গ্রেপ্তারকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে এসিএফ সাম্প্রতিক বিবৃতিটি দেয়।

ধর্মবিশ্বাসী খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা অসহায় ও প্রান্তিক মানুষের জন্য যে প্রার্থনা করতেন, সেই প্রার্থনা ঐতিহ্যকে আঘাত করার লক্ষ্যে বিজেপিশাসিত রাজ্যে এই আইন পাস করা হয়েছে বলে মনে করছে খ্রিষ্টান সংগঠনটি। তারা বলেছে, এটি সরাসরি তাদের সংবিধানগত অধিকারের ওপর একটি আঘাত।

এসিএফ আরো জানিয়েছে, বর্তমানে আসাম খ্রিস্টানদের উপর বড় ধরনের আক্রমণ নেমে আসছে। ভারতের ‘ডেকান হেরাল্ড’পত্রিকা জানিয়েছে, সম্প্রতি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা ডিম হাসাও এর হাফলং এ চার্চের বিরুদ্ধে আদিবাসী-অধ্যুষিত অঞ্চলে মাদক, চোরা চালানো ব্যবসার অভিযোগ এনেছে।

এসিএফ বলেছে, এই ঘৃণিত ও মিথ্যা অভিযোগ খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে ব্যথিত করেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।

বাংলাভোরের প্রতিদিনের সকল খবর পেতে আমাদের সাইটের নটিফেকেশন চালু করে রাখতে পারেন আর সেই সাথে আমাদের নিচে দেওয়া সোস্যাল মিডিয়ায় ফলো করে রাখতে পারেন।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here