ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ যেন থামছেই না। ২০২১ সালের মা দিবসে নিজের মায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে যেমন সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, চার বছর পর ঠিক তেমন পরিস্থিতির মুখে পড়লেন তরুণ অভিনেতা ইয়াশ রোহান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পূজামণ্ডপের সামনে তোলা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান ইয়াশ। আর তাতেই শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। শত শত অ্যাকাউন্ট থেকে ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ, বাজে মন্তব্য আর আক্রমণ— সবই নেমে আসে তার পোস্টের নিচে।
অনেকে ইয়াশের ধর্মীয় পরিচয় টেনে অপমানজনক মন্তব্য করেন। কেউ কেউ তো বলেন, “এখন আর ওর নাটক দেখব না।”
তবে এসব কথায় চুপ থাকেননি ইয়াশ। হালকা মজার ছলে তিনি ট্রলকারীদের জবাব দেন, নিজের মতো করে বুঝিয়ে দেন— ধর্ম নয়, মানুষই সবচেয়ে বড় পরিচয়।
অভিনেতার পাশে দাঁড়িয়েছেন সহকর্মীরাও। অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী লিখেছেন, ভুয়া প্রোফাইল দিয়ে বাজে মন্তব্য করা সাহস না, বরং নিজের নীচ মানসিকতার পরিচয়।
নির্মাতা ইমরাউল রাফাত বলেছেন, ধর্ম কাউকে বিভক্ত করতে শেখায় না। সব ধর্মই শেখায় মানবতা, ভালোবাসা আর সহমর্মিতা।
অন্যদিকে নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ বলেন, আমরা জাতি হিসেবে তেতো হয়ে যাচ্ছি। ফেসবুকে সুযোগ পেলেই মানুষকে হেয় করার প্রতিযোগিতা দেখি।
অভিনেতা মোস্তাফিজ নূর ইমরান নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, “ইয়াশ আমার ভাই। যারা এসব মন্তব্য করছে, তারা কোনোভাবেই মুসলিম হতে পারে না। শক্ত আইনি ব্যবস্থা নিলে হয়তো এই প্রবণতা কমবে।
এ ছাড়া অভিনেতা নাসির উদ্দীন খান, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল মণ্ডল, নির্মাতা শিহাব শাহীন, মিশুক মনি, তাসনুভা তিশাসহ অনেকেই ইয়াশ রোহানের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
সবমিলিয়ে বলা যায়, ধর্মীয় কটাক্ষের আগুন আবারও জ্বলে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় তবে এবার চুপ থাকেননি ইয়াশ, বরং তার সাহসী জবাবে মানুষ বুঝেছে, বিশ্বাস নয়, মানবতাই আসল শক্তি।