সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছে। কেন করেছে সে লম্বা আলোচনায় এখন নয়। তবে এখনের আলোচনা হলো শেখ হাসিনা কি আসলে হিন্দু নি কি মুসলমান।
বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার কারনে বাংলাদেশের সকল হিন্দুরা নাকি কোন ভাবেই আর স্বাধীন হয়। কোন ভাবেই না কি শেষ হাসিনাকে ছাড়া তারা এখন আর নিরাপদ নয়। তাদের নাকি ধর্ম নিয়ে বিপদে পড়েছে।
অন্যদিকে ডা. ইউনুস তার বেশি সময় খ্রিস্টান -ইহুদি সহ অন্যান্য ধর্মের লোকেদের সাথে রয়েছে। তাদের মতো ই ডা. ইউনুসের সভাব হতে পারে। কিন্তু তবুও মুসলমান রা ভয় না পেলেও হিন্দুরা কেন যেন বার বার ভয় পাওয়ার অভিনয় করে না কি সত্যি ই ভয় পাচ্ছে।
তবে যা ই হোক, বাংলাদেশের কোন মন্দিরে আঘাত করে নি কেউ। বরং মুসলমানরা বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত ছিল। তার সাথে দেখা গেছে মুসলমানদের ধর্মের নেতাদের জীবন পার করতে হয়েছে আয়না ঘর বা জেল খানায় তাও আবার বিনা দোষে।
ইসলাম ধর্ম গ্রহন্থ অনুযায়ী – যদি কোন মুসলমান অন্য ধর্মের উপর অযথা আঘাত করে, তাহলে সে সবচেয়ে বড় অপরাধের মধ্যে একটা করলো। তার উপযুক্ত সাস্তি না দিলে যারা তাদের উপরের পর্যায়ে থাকবে, তারাও সবাই সমান অপরাধের মধ্যে গন্য হবে।
কিন্তু বাংলাদেশের মাটিতে বার বার ইসলাম ধর্মকে অপমান করে ও কোন সাজার দেখা মেলেনি। সেই সুত্র ধরে ইসলাম ধর্মের নেতাদের কঠিন সময় কাটানোর বিষয়কে সামনে রেখে, মুসলমান ধর্মের শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া ছেলে মেয়েদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখার কারন উল্লেখ করে আবার বর্তমানের উপদেষ্টা শান্তি জয়ী নোবেল ধারী তার আবার সব ধর্মের কাছে থাকা বিশেষ অভিঞ্জতা থাকার সর্তেও দেশের হিন্দু মানুষগুলো বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা অপবাদে নিজেদের পরাধীনতার দাবী জানানো থেকে মনে হতে পারে শেখ হাসিনা আসলে কি ইসলাম ধর্ম মানতেন না কি অন্য ধর্ম।
তার উপর তিনি ইসলামি দেশগুলো ছেড়ে ইন্ডিয়ায় কেন অবস্থান করলেন। আবার বিশেষ ভাবে দেখা মিলেছে অন্য ইসলামি দেশগুলো থেকে ভারতের দিকে তার বেশি দরদ ছিল।
আফগানিস্থানকেও তিনি সমর্থন করেনি। আরো কোন ইসলামি দেশেও তার কোন ভালো পর্যায়ের সম্পর্কের দেখা মেলেনি। সে সব বিষয়গুলো লক্ষনিয় হয়ে থাকে।
তাছাড়াও ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন কঠিন তম বিধি বিধীন তিনি জেনে বুঝেই অমান্য করতেন বা মানতেন না। সে সকল সুত্র সামনে রেখে সবার বিশেষ প্রশ্ন জাগতেই পারে।
বিভিন্ন হিন্দু স্থাপনায় তার পিতার নাম ও তিনি ব্যবহার করেছেন। আমি তার ব্যপারে অভিযোগ করি না। তবে নিজের ধর্ম মানাটা তার খুবই দরকার ছিল।
বাংলাদেশে এলে মোদি সরকার তাদের ধর্মের ঐতিহ্য ভোলেনি। তিনি তাদের বিশেষ মন্দিরে গেলেও ইন্ডিয়ায় গিয়ে কখনোই বাবরি মাসজিদে বা অন্য কোন ধর্মিয় উৎসে দেখা যায় নি তাকে। তবে আমি শেখ হাসিনার ব্যপারে এর সঠিক কোন প্রমান ছাড়া ধর্মের ব্যপারে কথা বলতে পারি না।
তবে দেশের বর্তমান সরকারের বিষয়টা খুটিয়ে দেখা উচিৎ। তার সাথে হিন্দুদের বিশেষ এই দাবীতে কি শেখ হাসিনাকে চাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে না কি অন্য কিছু সেটাও দেখা দরকার। আমাদের সকল পোস্টগুলো পেতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করুন। এবং গুগল নিউসেও ফলো করুন।