Saturday, January 18, 2025
No menu items!
HomeBanglaDesh News -বাংলাদেশের খবরকোটা আন্দোলোন ডাক এলো কেন? এপিট ওপিট দেখুন

কোটা আন্দোলোন ডাক এলো কেন? এপিট ওপিট দেখুন

কোটা বিরোধী আন্দোলন নামে আমরা যে আন্দোলোনকে চিনি, এই আন্দোলোন কোন কোটা বীরোধী ছিল না। ২০১৮ সালে বা তার ও আগের কিছু সুত্রপাত থেকে এই ২০২৪ সালে এই বর্তমান সময়ে পৌছেছে। তবে আমি এই আন্দোলোনকে কোটা বিরোধী হিসেবে টাইটেল দিলেও এটি আসলে কোটার সম্পুর্ন বিরোদ্ধে ছিল না। শুধু মাত্র মেধাবীদের জন্য সাধারন জনগনের দাবী ছিল, মেধা কাজে লাগিয়ে যেন ভালো অবস্থানে পৌছাতে পারে। কোটা যেন আংশিক সংকলন করা হয়।

তবে সেই কোটা সংকলোনের আন্দোলোন আজ জাতিকে কোটা বিরোধী, দেশ বিরোধী, সরকার বিরোধী নামে খাওয়ানো হচ্ছে। এই বিষয়ের পরিপুর্ন বিষয়ে আজ আমাদের বাংলা ভোর পত্রিকার লেখা। আমরা এপিট ওপিট তুলে ধরার চেষ্টা করবো। আর আপনারা জানেন, আমরা কোন দলের পক্ষবাদী কোন সংবাদ প্রকাশ করি না।

সরকারের পতন হলে কি হবে?

অনেকের ই দাবী, কি হবে আবার, সরকারের পতন হলে ই দেশের মানুষ শান্তি পাবে। তবে আবার কিছু মানুষ এমন ও বলে, কোন সরকার দেশ শাস্বন করবে? যে সরকার শাস্বন করবে, সে কি আদৌ শান্তির নগর উপহার দিবে? না দিবে না, তবে এই সরকার কেন নয়।

আবার পক্ষান্তরে উত্তর আসে, এই সরকার ঘুরে দাড়াতে পারলে কি হবে জানেন? যারা এই আন্দোলোন করেছে তাদের একটা একটা করে ছিড়ে খাবে। তবে এই কথা ই সত্য।

আবার বলে, সরকারের পতন হলে কি আর কোন লাশ হবে না? সরকারের শক্তি ঘুরে দাড়াবে, আবার এই অবস্থা দেখবে জাতি, তবে পরিবর্তন হবে লাশের। নতুন কোন দলের লাশ দেখা যাবে।

এই তর্কের যেন শেষ ই হবে না। সারা বছর ধরেই এই তর্ক আসতে থাকবে। তবে আমরাও এটা মানি যে, দেশের সরকার থাকা আর না থাকা, কোন ভাবেই দেশের রক্তপাত বন্ধ করা যাবে না। হ্যা কোন একটা সমাধান তো আছে না? আমাদের চোখে একজন আদর্শ সেনাবাহিনির নেতা পাওয়া গেলে, তার ভয়ে হলেও দেশটা কিছুটা শান্ত থাকবে বলে আশা করা যায়।

এদিকে এই সরকার বর্তমান সময়ের সাথে টিকে গেলেই, প্রতিটি ছেলের জীবন শেষ। যারাই আন্দোলোন করেছে তারা কেউ ই বাচবে না। অতিতে এমনটাই রয়েছে অতিতের ইতিহাসে। আমরা ফিরে যেতে পারি ৭ সালে, ৮সালে, ৯সালে, ১৩সালে, ১৮ সাল সহ অতিতের আরো অনেক ইতিহাসে। তবে সেগুলো দেখে আর লাভ কি বলেন। ভুল তো দেশের মানুষের ই। ভবিশ্যতে সাবধান হতে হবে জনগনের।

আন্দোলোনের শুরু থেকে এখন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তখনকার সময়ে মেধাবীদের জন্য কোটার বীরোধী আন্দোলোন করেছে। এর পরেও ছোট করে, বা অবুঝ মনের জগতে সব মেধাবীরাই এর জন্য আন্দোলোন করেছে, কখনো কখনো নিজের জীবনের সাথে করেছে আন্দোলোন।

তবে ২০১৮ সালের ঘটনা হয়তো সবাই কম বেশি জানেন। তাই আমি আর অতিতে যাচ্ছি না। তবে বর্তমানের কথায় আসি। শুরুর দিকে কোন ক্ষয় ক্ষতি ছাড়াই নিজেদের দাবী জানিয়েছিল ছাত্র সমাজ। তবে দিন যাওয়ার সাথে সাথে সরকারের কঠোরতা আর উশকানি মুলক কথা ক্ষতির দিকে নিয়ে গেছে।

বার বার উশকানি দেওয়ার পরেও ছাত্র সমাজ সাভাবিক দাবি জানিয়েছেন। ছাত্রদের সাথেই সময় কাটানো ছাত্রলীগ তখন কাছের বন্ধুদের উপর অবৈধ হামলা করতে থাকেষ আইন হাতে নিয়ে আইনের লোকের সাথে মিলে অসাভাবিক ভাবে সাধারন ছাত্রদের উপর হামলা করতে থাকে। ধীরে ধীরে এই ভয়হ্কর রুপ ধারন করে। ইন্টার নেট বন্ধ করে একটা মেধাবী গন হত্যা চালানো হয়। আর জাতি কয়েক যুগ পিছিয়ে পড়ে।

লস হয় দেশের সেই সকল কম্পানির কোটি কোটি টাকা ,যারা অনলাইনের সাথে বিভিন্ন ভাবে জড়িয়ে আছে তাদের ক্যারিয়ারকে। এবং তার সাথে বিশ্ব থেকে বেশ কিছু দিন বিচ্ছিন্ন থাকে দেশের মানুষ। আবার প্রবাসিরা তাদের সজনদের খবর নিতে পারে না।

এর পরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় দেশের সকল মানুষের, শুরু হয় গৃহ যুদ্ধের মতো, কখনো ৫২, আবার কখনো ৬৯ আবার কখনো ৭১ এর ভয়াবাহ রুপ ধারন করে। দেশের ছাত্র সমাজ রুখে দাড়ায়। তবে মৃত্য তাদের ছাড়ে না। একটা একটা করে তাজা প্রান ঝড়তে থাকে।

প্রবাসিরাও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়, বন্ধ করে রেমিটেন্স। বিক্ষোপ করতে দেখা যায় বিদেশে বসেই। ছা্ত্র আন্দোলোনের থেকে ধীরে ধীরে দেশের সাধারন জনগন থেকে, ইউটিউবার, ব্যাবসায়ী, শিক্ষক এইনজীবী সহ সবাই রুখে দাড়ায়।

চাপে পড়ে যদিও সরকার আবেদন মেনে নেয়। তবুও বন্ধ হয় না আন্দোলোন, কেননা সবাই জানে, এখন থেকে গেলে সবার মরতে হবে। আর চালিয়ে গেলে কারো কারো মরতে হবে। তাই ঠিক রাখে ধারা। যদিও পুলিশ, প্রশাসন এবং সরকারের বিভিন্ন ধারায় বিভিন্ন মিথ্যা নাটক দেখা যায়। বিশ্বের সকল দেশ এর নিন্দা জানালেও চুপ করে থাকে ভারত।

সরকার আংশিক হত্যা বা হতাহত বন্ধ করলেও, চালু করে নতুন এক অভিযান। শুরু করে গন গ্রেফতার। অপরাধ নেই কারো, তবে আদালত বলে এরা বিরোধী দলের লোক, এরা দেশের ক্ষতি করেছে।

এদিকে দেশের সাইবার যোদ্ধারাও তাদের অবস্থান থেকে কাজ করে দেশের জন্য, ছাত্রজদের পক্ষ নিয়ে। তবে এই আন্দোলোন সেনাবাহিনিকে মানুষের স্বপ্নের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করতে দেখা যায়।

শেষ কোথায়?

আমরা পুরো ঘটনাকে ছোট করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তবে এখানে শেষটা জানা খুবই দরকার। এই আন্দোলোনের পরে দেশের নতুন প্রজন্ম চিন্তায় পড়ে যাবে মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাসের সত্য মিথ্য সহ আরো কিছু বিষয় নিয়ে। হতে পারে সরকার পতন, বা থাকতেও পারে।

জাতিসংঘ থেকে বার বার বিভিন্ন ভাবে সেনাবাহিনি এবং সরকারকে হুসিয়ারি দিয়েছে। নিন্দা জানিয়েছে অর্ধশত দেশেরও বেশি। এতে হতে পারে এই দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের ব্যাঘাত। ক্ষতি হয়েছে দেশের বিদেশি মুদ্রা থেকে আসা লাভ থেক।

মারা গেছে বিশ্ব সেরা হওয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়া কিছু মেধাবী শিক্ষার্থী। কিছু নেতা আর প্রশাসন তাদের সাদা মুখুশ খুলে কালো চেহারা বের করেছে। ক্ষতি হয়েছে বন্ধুত্বতুল্য একই সাথে থাকা, একই সাথে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে। হাজার বাবা মাায়ের বুক খালি হয়েছে।

দেশের মানুষের কাছে সরকার তার অনেকটা সম্মান হারাইছে। পুলিশ প্রশাসনের প্রায় সকল ক্ষেত্রের প্রতি একটা বাজে ধারনা হয়ে গেছে। আরো ইত্যাদি ইত্যাদি ক্ষতির মুখে বাংলাদেশ। তার সাথে এই ক্ষতি উঠাতে অনেক সময় লাগবে আমাদের এই বাংলাদেশের। তবে এই ক্ষতি থেকে বেচে যেত জাতি, যদি সরকার তখন এই দাবী মেনে নিত। বা শান্তনা যনক কোন কথা অভিবাবকের মতো বলে বোঝাতো।

বা আদালত থেকেও কোন সঠিক রায় আসতো,বা পুলিশ- প্রশাসন এবং ছাত্রলীগ নেতারা এই আন্দোলোনের সাধারন মানুষের উপর হামলা না করতো। যা ই হোক, দেশের শান্তি কামনা করি। আর সবার সাথে মিলে মিশে থাকার জন্য আল্লার কাছে অশেষ অনুরোধ করি সর্বদা। আমাদের সাথে থাকর জন্য আমাদের সাইটের সকল সোস্যাল মিডিয়ায় ফলো করতে পারেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

WhatsApp Group Join Now
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সম্প্রতি খবর

- Advertisment -