রাজনৈতিক প্রাঙ্গণে ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ ইঙ্গিত সাধারণত গণভোট (Referendum) বা সংবিধান সংস্কার নিয়ে আলোচনার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, বিশেষ করে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে।
বর্তমানে বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (Interim Government) এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন মহলের মধ্যে মতবিরোধ এবং সংস্কারের দাবি চলমান রয়েছে।
এই ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ ইঙ্গিতগুলো নিম্নলিখিত বিষয়গুলির সাথে সম্পর্কিত হতে পারে:
- সংবিধান সংস্কার:ঐকমত্য কমিশন (Consensus Commission) গঠন করা হয়েছে, যেখানে সংবিধানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চাওয়া হচ্ছে। এই কমিশন ৪টি বিষয়ে ৪৮টি সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে জনগণের সম্মতি আছে কি না, তা জানতে হ্যাঁ-না ভোটের সুপারিশ করেছে।
- ‘হ্যাঁ’ ইঙ্গিতটি সাধারণত সংস্কারের পক্ষে বা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপের সমর্থনে ব্যবহৃত হতে পারে।
- ‘না’ ইঙ্গিতটি ঐসব সংস্কারের বিপক্ষে বা সরকারের কোনো নির্দিষ্ট পদক্ষেপের বিরোধিতায় ব্যবহৃত হতে পারে।
- নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং অংশগ্রহণ: জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, কোন পদ্ধতিতে হবে, এবং কোনো দল সেই নির্বাচনে অংশ নেবে বা নেবে না—এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘হ্যাঁ’ (অংশগ্রহণ/সম্মতি) এবং ‘না’ (অংশ না নেওয়া/বিরোধিতা) এর ইঙ্গিত থাকে।
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা: কিছু রাজনৈতিক দল, যেমন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছে। ‘হ্যাঁ’ (নিষিদ্ধ করার পক্ষে) এবং ‘না’ (নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে) – এই ধরনের দ্বিমতও এখানে কাজ করছে।
সংক্ষেপে, এই ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ ইঙ্গিতগুলি দেশের রাজনৈতিক পথ, সংবিধানের ভবিষ্যৎ, এবং নির্বাচনকালীন সরকারের পদক্ষেপের প্রতি সম্মতি বা অসম্মতি—এই বিষয়গুলো নির্দেশ করে।
