দুর্গা পূজা সনাতনী বা হিন্দু ধর্ম অবলম্বীদের একটি ধর্মিয় বড় উৎসব। তবে বেশ পুরন কাল থেকেই আমরা দেখে এসেছি এই ধর্মিয় অনুষ্ঠান ঘিরে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন মতবাদ বা বৈশর্মের সৃষ্টি হয়েছে।
অধিকাংশ সময়ে ই ভারতের থেকে বাংলাদেশের মুসলমানদের উপর বিভিন্ন প্রকারের দোষ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সবসময় ই দেখা যাচ্ছে মুসলিম ধর্মগুরুরা মন্দিরে ভাঙচুড় ঠেকাতে পাহাড়া দিয়েছে সাথে অনেক সময় আবার দেখা গেছে অনেক প্রকারের সাহায্য করেছে।
কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো মাধে মধ্যেই ধর্মের প্রভাব নিয়ে ক্ষমতা চালানোর চেষ্টা করে। বিশেষ করে যখন নির্বাচনের সময় আসে, তখন দেশের সকল নেতারা ধর্মিয় কাজের দিকে অটল হয়ে নিজেদের প্রকাশ করতে শুরু করে, সেখানে সাধারন মানুষকে এক ধরনের ধোকায় ফেলে পরবর্তি সময়ে তারা আবার ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করে।
সম্প্রতি সনাতনীদের দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই সুত্রে আমাদের বাংলা ভোর অনলাইন পত্রিকা থেকে এই খবটা প্রকাশ করতেছে। আশা করি এখান থেকে আপনারা আপনাদের সকল প্রকারের ভ্রান্ত মতবাদ ভুলে সঠিক বিষয়ের উপরে অটল হবেন।
ইসলাম ধর্মে অন্য ধর্মের প্রভাব
ইসলাম বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি মানুষের পালিত ধর্ম। তবে আমি এখানে বিশ্ব নিয়ে কথা বলছি না। তবে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের প্রিয় ধর্ম ইসলাম হওয়ায় এখানে ইসলামের নিতি অনুযায়ী পরিচালনা করা হবে এমনটাই সাভাবিক। এটার বিরোধীতা করলে আপনি সঠিক স্থান থেকে সরে অবস্থান করেছে।
কেননা বিশ্বের সকল দেশ ই তারা ধর্মের উপরে পরিচালনা করা হয়। আবার পার্শবর্তি দেশে ভারতেও তাই। সেখানে আমরা বাবরি মসজিদের কথা সবাই জানি। সেখানে আমরা কোরবানীর ঈদের কথাও সবাই জানি। এমনকি তারা ইসরাঈল এবং ফিলিস্তেনের যুদ্ধেও আমাদের বিপক্ষে অবস্থান করেছে। এখানে ইসলামের বিরুদ্ধে থাকার একটা অন্যতম উদাহরন দেখা যায়।
সম্প্রতি লন্ডনে ইসলাম ধর্মের প্রচার বেশি হওয়ায় সেখানেও আমরা ইন্ডিয়ার বিশেষ হিংসা উপলব্ধি করেছি। তবে আমাদের ইসলাম ধর্মের মত অনুযায়ী অন্য ধর্মের উপরে কোন কারন ছাড়া কোন প্রকারের নির্জাতন করা সম্পুর্ন নিষেধ। সেখানে যদি কোউ করে তাকে সর্বোচ্চ সাস্তির আয়ত্বে আনতে হবে।
কিন্তু যদিও মুসলমানরা হিন্দুদের ধর্মের উপরো কোন নির্যাতন করেন না। তবুও ভারতের কিছু মানুষের ইসলামের বিষয়ে হিংসা থাকায় তারা বার বার ইসলাম ধর্মের মানুষের উপরে অপবাদ দিয়ে ই যাচ্ছে।
বাংলাদেশে কোথাও অনৈতিক ভাবে অন্য ধর্মের স্থাপনা ভেঙে ইসলাম ধর্মের স্থাপনা তৈরি করার দৃশ্য দেখা যায়নি। তবে ভারতে এমন ঘটনা হাজারটা হয়েছে। তবুও বার বার অপবাদ ইসলাম ধর্মের উপরে চাপানো হয়ে থাকে।
ধর্ম যার যার উৎসবে কোন এমন বাহার
কবির কবিতা থেকে ধর্ম যার যার উৎসব সবার বলে সবাই পালন করে। তবে ইসলামের সর্বোচ্চ গ্রহন্থে লেখা রয়েছে বার বার, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। ধর্মের মুল বিভেদটা ই উৎসব পালনের মধ্যে লক্ষ করা যায়। সেখানে আরো বলা আছে, কারো ধর্মের উপরে অন্যায় ভাবে কোন প্রকারের নির্যাতন করা যাবে না। যার যার ধর্ম তাকে পলন করার সুযোগ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সহ ভারতের সবাইকে আমরা লক্ষ করি, সেখানে সনাতনীরা মুসলমানদের কোন প্রকারের উৎসবে অংশগ্রহন করেন না। তারা কুবানীর ঈদ, রোজার ঈদ, ওয়াজ, মিলাদ, জুম্মা সহ কোথাও উপস্থিত নয়।
তবে মুসলমানদের কিছু লোকদের পুজার সময়ে মন্দিরে লক্ষ করা যায়। এখানে যে সকল মন্দিরে যায় তাদের ব্যাপারে ইসলাম ধর্মের গ্রহন্থে কিছু তো লেখা আছেই। তার সাথে আমাদের ও প্রশ্ন রয়েছে।
যদি তোমার মসজিদে সে না আসে,
তবে কেন তার মন্দিরে তুমি যাও?
এমন প্রশ্ন হয়তো আল্লাহ শেষ বিচারের দিনেও করবেন। তখন তারা কি জবাব দিবে তা জানি না। যাই হোক। এই দুর্গা পূজা হলো হিন্দুদের ধর্মিয় উৎসব। তাই এটি তাদের পালন করার সর্বোচ্চো সুযোগ, সহযোগিতা, নিরাপত্তা দেওয়া দেশ ও জনগনর দ্বায়িত্ব।
তার সাথে অন্য ধর্মকে নিয়ে উশকানি মুল কথা বলা থেকেও দুরে থাকা উচিৎ আর যারা বলে, তাদের শাস্তির আয়োত্বাধীন করা দরকার। আবার ভারতেও আমরা ইসলাম ধর্মের সঠিক পালন করার মতো পরিবেশ কামনা করি, সেখানেও যেন বৈশর্ম তৈরি করা না হয়। সাথে সাথে ফিলিস্তেনের উপরে যে নির্যাতন করা হচ্ছে, সেখানেও সনাতনিরা যদি না বুঝে, তারা যেন তবুও বোকার মতো ইসরায়েলকে সাপোর্ট না করে।