আমরা সম্প্রতি সময়ের দিকে সবাই নজর পয়েন্ট করে রেখেছি। আমরা সবাই ই এখনকার পরিচ্ছিতি সমন্ধে জানি। সম্প্রতি একটা ভয়াবাহ আওয়াজ উঠে এসেছে, আমরা শুনতে পাচ্ছি শেখ হাসিনার পদত্যেগের দাবী উঠেছে। আর আজ এই বিষয়ে নিয়ে ই আমরা আমাদের এই নিউজটা করতে শুরু করেছি। সল্প সময়ে অনেক বেশি তথ্য তুলে ধরা সম্ভব না হলেও চেষ্টা করবো মুল পয়েন্টে হিট করার।
বিশেষ বিজপ্তি, আমদের এই নিউজ পেপারে লেখক নিয়োগ চলছে, আপনারা যে কেউ আবেদন করতে পারেন।
শেখ হাসিনা বেশ কিছু বছর দেশের সরকার নিয়ে টিকে আছে। তার আগে এবং মাঝেও কিছু সরকার এসেছে গেছে। তবে যারা মাঝে বা আগে দেশ সাশন করেছে, তাারা এখন নিঃশচিহ্ন প্রায়। তাদের এই থেমে যাওয়ার অন্যতম কারন বর্তমান এই শেখ হাসিনা সরকার।
তুলনা মুলক ভাবে দেখা যায়, অন্যান্য সরকারের থেকে এই সরকারের সময়ে বেশি উন্নতি করা হয়েছে। তবে এটাও বলতে বাধা রাখে না, এই সরকারের মতো এতোটা লম্বা সময় আগে কেউ পায়নি। কোন একটা জিনিসের ভালো পরিনতি দেখতে হলে, সেখানে অনেক বেশি সময় দিতে হয়। তার সাথে দেশের প্রতি কিছুটা হলেও এই সরকারের কিছু নেতার টান দেখা যায়।
তার আগের যারা দেশের সরকার ছিল, তারা এতো সময় রাজত্ব করতেও পারে নাই, আবার এতো উন্নতিও করতে পারে নাই। যদিও কিছু টা করেছিল, তাদের অল্প সময়ের মধ্যে। তবে সেই কিছুটা করা উন্নয়নকেও এই সরকারের নেতারা তাদের করা বলে দাবি করে। তার সাথে এটাও বলতে বাদ রাখে না যে, কোন সরকার ই দেশের সম্পদের অপব্যবহার থেকে দুরে নেই। দেশের সম্পদ পাচার, নেতাদের পকেট গড়ম, বিদেশে বাড়ি গাড়ি ইত্যাদি ইত্যাদি।
তবে বর্তমান সরকার অনেক বেশি সময় শাসন করেছে, তাই এই সরকারের অধিনে চাকুরি জিবিরাও বেশি আয় করতে পারছে। আবার এটাও বলতে হবে, যেখানে সরকারের নেতারাই চুরি করতে দ্বিধা করে না, সেখানে তার কর্মচারী বা চাকুরিজীবিরা কিছের দ্বিধা করবে। আর এটা সব সরকারের সময়ে ই দেখা গেছে। তবেএই সরকারের বেশি সময় থাকায় তার চাকুরীজিবিদের বেশি হয়ছে এটা।
আবার অন্যদিকে কথা বলতে গেলে, এই সরকারের বেশি সময় অবস্থানের কারনে, দেশের এই সরকারের সকল নেতারা বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তাদের সামনে সেই অঞ্চলের মানুষ বার বার ভোগাম্তির শিকার হচ্ছে। কোন পাত্তাই পাচ্ছে না সাধারন কিছু মানুষ। এমন কি চাকরি বা অন্যান্য সুযোগেও এটি খুব লক্ষনিয়।
এই সরকারের সময়ে, নিরপেক্ষ সাধারন জনগন যারা গরিব বা মধ্যবিত্ত- তারা ঘরের দরজা বন্ধ করে হাহা করা করতেছে। আবার যারা নেতার সাথে চলে বা সামান্য ভাবে হলেও রাজনিতির সাথে জড়িত তারা সম্পদের পাহাড় গড়েছে। তবে আবার অন্যান্য সরকারের সময়ে সাধারন মানুষ চোর ডাকাত বা অন্যান্য বিষয়ে অত্যাচারের সম্মুক্ষীন ছিল।
কিন্তু দিন শেষে বলতেই হয়। জন্ম থেকেই বন্দি আমি (বাংলাদেশে) শোশনের কারাগারে।
দেশের মানুষ কোন সরকারের সময়ে ই শান্তি পায় নাই। তবে হয়তো, দেশের শ্রদ্ধীয় নেতা যারা দেশ শাধীন করেছে, তাদের সময়ে মানুষ সাধীনতা ভোগ করতে পেরেছিল। তবে তখন তো আমি ছিলাম না, তাই ওদিকের ব্যাপারে কথা বলছি না।
এবার আমাদের মুল পয়েন্টে আসছি। আপনারা এই সরকারের সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন হতে দেখেছেন। তবে কোন আন্দোলন ই এতোটা কঠিন রুপ নিতে দেয় নাই এই সরকার। যা এই আন্দোলনেও চেষ্টা করেছিল। প্রশাসন, দলীয় ক্ষমতা, ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ সহ বিভিন্ন ভাবে মানুষকে ভোগায় যাতে আন্দোলন বন্ধ করতে বাধ্য হয়। ঠিক এবার ও তা দেখেছে মানুষ।
তবে ছাত্র আন্দোলন সব আন্দোলন থেকে ভিন্ন। এর প্রমান ৫২, ৭১ সহ বিভিন্ন সময়ে দেখেছেন। তার সাথে বলে রাখা ভালো বর্তমানের এই ভয়াবাহ সরকার পতনের ডাক আসার কারন হয়েছে ছোট ঘটনাকে ঘিড়ে। এই বিষয়ে আমরা আগেও বলেছি। এটা ২০১৮ সালেও হয়েছিল। তবে এবার সরকার বেশি সময়ের ক্ষমতার প্রভাবে অ্যাকশন নিতে চেয়েছিল। তাই এর ফলাফল ভয়াবাহ কিছু ইঙ্গিত করতেছে।
কিন্তু যখন কিছু মানুষ মারা যাওয়ার পরে হলেও সমাধান করতে চাইছিল, তখন মানুষ এই সরকারের অতিতে তাকিয়েছে। কেননা যারা আন্দোলন করবে, তারা কোন না কোন ভাবে সরকারের কাছ থেকে কঠিন শাস্তির সম্মুক্ষিন হবেই। বিশেষ করে পিলখানা ,২০১৩, ২০৭-৮ এর সময়ের দিকে তাকালে দেখা যায়। আবার বিরোধী সরকার দলগুলোর দিকে তাকালেও দেখা যায়।
তাই তারা জানে যে, সরকার যদিও সময়ীক ভাবে ক্ষমা চাচ্ছে তাই আন্দোলন থেমে গেলে যাদের জন্য ক্ষমা চাইছে সরকার তাদের খেল খতম করে দিবে। তাই তারা এর একটা স্থায়ী সমাধান চাচ্ছে। তাই তারা এর একমাত্র সমাধান হিসেবে সরকারের পদত্যাগ দাবী করেছে।
এবার ইসলামী দলগুলোর হেরে যাওয়ার কথায় আশি। সারা বিশ্ব ই ছাত্র আন্দোলনের পাশে কথা বলেছে, সকল ধর্মের মানুষ ই আছে এই আন্দোলনে। আবার ভারত থেকে সরকার কোন কথা না বললেও , সেখানকার ছাত্ররা এই আন্দোলনের পক্ষে। যা ইসলামি দলগুলোর জন্য কখনোই কেউ করে নি। সবাই তখন ইসলামি দলগুলোর বিরুদ্ধে ছিল। তাই তারা কখনোই ভালো কিছু উপহার দিতে পারে না।
তবে এখানে সরকারের পদত্যাগে কিছু বিরোধী দলের সরকারের নেতারাও আছে, তারা তাদের দলের সার্থে এলেও এখন বিপদের বন্ধু করে নিয়েছে। কিন্তু তারা হয়তো থাকবে না। শেষ পর্যন্ত অন্য কোন ক্ষমতা দেশের দ্বায়ীত্ব নিবে। আমরা সামনে আরো বিষয়ে আলোচনা করবো। আমাদের সকল খবর পেতে আমাদের গুগল নিয়োজে ফলো দিন এবং আমাদের অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়ায় ফলো দিয়ে রাখুন।