১০০০ মন্দির ভাঙবে বাংলাদেশে! ভয়াবাহ অবস্থা

0
420
মন্দির
মন্দির

সম্প্রতি বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের সরকারের পতন হয়েছে। তার সাথে দেখা গেছে নতুন উপদেষ্টা হিসেবে ডা.ইউনুস দায়ীত্ব গ্রহন করেন। সাথে সহকারী উপদেষ্টা হিসেবে কয়েকজন ছাত্রসহ আরো কয়েকজন দায়ীত্ব গ্রহন করেন।

তবে যতদিন শেখ হাসিনা দেশের সরকার ছিল, তখন দেশের হিন্দুরা কোন কথা বলেনি। কখনোই বলেনি তাদের নিরাপত্তার কোন অভাব আছে। যদিও ভারতের মসজিদ ভেঙে মন্দির করেছে, সেখানে শেখ হাসিনাকে দেখা যায় নি। তবে মদি বাংলাদেশে তাদের ধর্মের ঐতিহাসিক স্থান দেখান জন্য মদি ভ্রমন করেছে।

তার উপর যতদিন ছেলেরা তাদের মেধা অধীকারের জন্য় আন্দোলন করেছে। তখন হিন্দুদের নিরাপত্তার বিশেষ কোন সমস্যা ছিল না। তার সাথে আবার স্টুডেন্টের পক্ষেও কোন প্রকার কোন অংশগ্রহন করতেও তাদের দেখা মেলেনি। তবে সম্প্রতি দেশের কিছু হিন্দুরা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ দাবী জানিয়েছে।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরে, মুসলমানদের ধর্মিয় শিক্ষায় শিক্ষিত ছেলেদের মন্দির পাহারা দেওয়ার বিশেষ দৃশ্য দেখা গেছে। তবে তার পরেও বাংলাদেশের হিন্দুরা নিরাপদ নয়, এমন দাবীতে ছোট ছোট আন্দোলন করে গেছে।

তবে তখনো কোন মন্দির ভাঙার ঘটনা দেখা যায় নি। তবে কিছু হিন্দুরা দাবী তুললেও পরে তা BBC বা অন্যান্য মিডিয়ার মাধ্যমে এর মিথ্যাত্ব প্রকাশ পেয়েছে।

তবে তার পরেও থামে নি হিন্দু জনগোষ্ঠী। তার সাথে ইন্ডিয়ায় একটি মেয়ে ডাক্তার ধর্ষনের শিকার হয়ে মারা যাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে বিচারের জন্য সেখানকার মেয়েদের পক্ষ নিয়ে আন্দোলন করে।

তবে তার পরেও বাংলাদেশে বিশেষ সতর্কবার্তা ছাড়াই পানি ছেড়ে বন্যায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে ধারনা করা হয়, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করানোর জন্য ভারত বিশেষ ভাবে সমস্যা বোধ করে, বিশেষ করে ইলিশ, গ্যাস সহ ইত্যাদি পন্যের জন্য।

তবে যা ই হোক, মন্দির ভাঙার বিষয়টি নিয়ে কথা বলে দরকার।

বাংলাদেশে ভরতের সিমান্তে অনেক বেশি হিন্দু বসবাস করে, তার সাথে বন্যায় ডুবে যাওয়া এলাকায় বেশ হিন্দু বসবাস করতো। তার সাথে হিন্দুদের ঘরে ঘরে মন্দির থাকে। বাড়িতে বাড়িতে মন্দির থাকে। মুসলমান রা তাদের কোরআন হাদিস নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও, হিন্দুরা তাদের মুর্তি রেখে আসে মন্দিরে।

এবার হাজারের পর লক্ষ লক্ষ মন্দির ভেঙে যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। আমি জানি না এই দুর্গতির জন্যই কি দেশের হিন্দুরা বার বার আন্দোলন করেছিল না কি। তার সাথে এটাও প্রশ্ন জাগে, ভারতের দাদারা কি এখন কিছু দেখে না।

না কি পানিকে শিক্ষা দিয়ে পাঠিয়েছে। আর পনি তাদের শিক্ষা নিয়ে বাঙালিদের সকল ধর্মের মানুষের ক্ষতি করলেও হিন্দুদের ক্ষতি করবে না।

আমি আশা করি, এই বাংলাদেশের হিন্দুরাও এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিবে। তারাও বুঝবে, ধর্ম এক হলেও বাংলাদেশ পাকিস্তান তখনকার অবস্তার উপর ভিত্তি করে যুদ্ধ করেছিল। ঠিক তেমন ২০২৪ এ এসে ধর্ম এক হলেও দেশকে ভালোবেসে এবার ভারতের সাথে তাদের শত্রুতা তৈরি করা উচিৎ।

তবে সব কিছু যেমন ই হোক না কেন। বাংলাদেশের সকল ধর্মের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে সবাইকে দাড়ানোর অনুরোধ রইল। আমাদের আগের পোস্টে আমরা কিছু সংস্থার কথা বলেছি, যারা বন্যার জন্য বিশাল ফান্ড ডোনেট করতেছে।

আমাদের সকল খবগুলো সবার আগে পেতে হলে আমাদের হোয়াটঅ্যাপ চ্যানেলে ফলো করে রাখুন। আর আমাদের পোস্ট খুজে পেতে হলে, আমাদের এই সাইটের নটিফেকেশন চালু করে রাখুন।। আমাদের গুগল নিউস প্রফাইলেও ফলো করে রাখতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here