সম্প্রতি বাংলাদেশে আরো দুটো বিভাগ যুক্ত করার বিশেষ আলোচনা দেখা যাচ্ছে, সেই সাথে সেগুলোর বিষয়ে কারো কারো পক্ষ্য বা বিপক্ষ্য মতবাদ রয়েছে। আমরা ইন্টারনেট ও বিভিন্ন গনমাধ্যমের সর্বাধীক তথ্যাদি সংগ্রহ করে, আপনাদের এই বিভাগের উপকারিতা ও ক্ষতির বিষয়ে জনানোর চেষ্টা করবো।
যেহেতু দুটো বিভাগের একটি ধারনা করা হচ্ছে ফরিদপুর বিভাগ করা হবে, যা বাংলাদেশের দক্ষিন অঞ্চলের একটি বিশাল অংশ, এটি এখনো পর্যন্ত ঢাকার সাথেই বেশ কয়েকটি জেলার মাধ্যমে যুক্ত রয়েছে। আর দ্বিতিয় বিভাগ হবে উত্তর বঙ্গের নোয়াখালী বা কুমিল্লা অঞ্চলের সাথে পাশের কয়েকটি অঞ্চল যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে।
নোয়াখালী অথবা কুমিল্লা বিভাগ হলে কি ধরনের প্রভাব পরতে পারে
নোয়াখালী, কুমিল্লা বর্তমানে চট্রগ্রাম বিভাগের একটি অংশ। এই অঞ্চলের সাথে একটি বিশাল অংশ জুড়ে এখনো বাংলাদেশের বৃহৎ চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি এই নোয়াখালী জেলাকে বিভাগ করার প্রস্তাব উঠেছে। যেখানে চট্টগ্রাম বিভাগের ই অন্যতম কিছু জেলা যুক্ত হওয়ার ব্য়াপারে কথা চলছে। সেই জেলাগুলোর তালিকাও দেওয়া হলোঃ
- নোয়াখালী
- লক্ষ্মীপুর
- ফেনী
- চাঁদপুর
- কুমিল্লা
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
কিন্তু ধারনা করা হচ্ছে এখানে বিভাগ করা হলে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিভাগ চট্টগ্রাম বিভক্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম বিভাগ আগের তুলনায় বিভিন্ন দিকে নিম্মমূখী হতে পারে। এবং সেই সাথে সেখানকার অর্থনীতির উপরে প্রভাব দেখা যেতে পারে। এবং নতুন তৈরি হওয়া নোয়াখালী বিভাগটিও নতুন হিসেবে অন্যান্য বিভাগ থেকে নিচের দিকেই থাকবে।
নোয়াখালী ও কুমিল্লার বিতর্কীয় বিভাগ
সম্প্রতি বিভক্তের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগের বিশাল অংশ ভেঙে তৈরি হওয়া এই নতুন বিভাগের এর বিভাগীয় পর্যায় ও নামের উপরে চলতেছে এক প্রকারের ভার্সুয়াল যুদ্ধ। সেখানে প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ ই নিজেদের জেলাকে বিভাগ হিসেবে দেখতে চায়। বিশেষ করে নোয়াখালী ও কুমিল্লাবাসী তাদের নিজ নিজ জেলাকে বিভাগ হিসেবে দেখার প্রতি বেশি আগ্রহী।
একটি পর্যায়ে এই বিতর্ক ভার্সুয়্যাল থেকে মাঠ পর্যায়ে নেমে এসেছে, আর বিভিন্ন পর্যায়ের আন্দোলন দেখা যাচ্ছে। সেই আন্দলনের বিশেষ সুযোগ নিচ্ছে বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলো। তারা বিভিন্ন আলোচনাসভা ও সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়গুলো নিয়ে আরো বিতর্ক তৈরি করে দেশকে উত্তাল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন দলকেই আমরা ভিন্ন ভিন্ন জেলার প্রতি কথার প্রবনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে তাদের থেকে ভোট আদায়ের বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতে দেখতে পাচ্ছি।
সম্প্রতি বিএনপি কে নোয়াখালীর পক্ষে দেখা যাচ্ছে, আর বিপরীতে এনসিপি কে কুমিল্লার পক্ষে দেখা যাচ্ছে।
এই ৬ অক্টোবর সোমবারে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি বিশেষ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের একটি বিশেষ পরিচিত রাজনৈতিক দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু বলেছেন “যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে নোয়াখালীকে বিভাগ করা হবে” ।
অপরদিকে ফেনী জেলার জনগন এখনো চট্টগ্রাম বিভাগেই থাকার পক্ষে আন্দোলন করে যাচ্ছে। সেখানেও স্থানীয় নেতা কর্মীদের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা সভার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি শোনা যাচ্ছে।
কুমিল্লাকে বিভাগ করার বিষয়ে বর্তমান উপদেষ্টা আসিব নজরুল বিশেষ প্রক্রিয়া চালু রেখেছে বলে জানা যায়। তাছাড়াও এখানে এনসিপির রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়েও অনেক অনেক তথ্য উঠে এসেছে। তারা কুমিল্লাকে বিভাগ করার বিশেষ দাবী জানিয়েছে।
শেষ ফলাফল
ধারনা করা হচ্ছে যে, রাজনৈতিক প্রভাবের ফলে এই বিভাগটি কোন জেলার অন্তরভুক্ত হবে সেটি বলা অসম্ভব প্রায়। তবে সরকারের এই উত্তেজনা মূলক সময়কে রূখে দাড়িয়ে দেশের শান্তি বজায় রাখা উচিৎ। সেই সাথে সরকারের প্রয়োজন মতো উপযুক্ত স্থানে এই প্রক্রিয়া চালু রাখা দরকার। যদি সেটি এই দুটো জেলার বাইরের কোন জেলায় করার প্রয়োজন ও হয়ে থাকে।
