1906 সালে কবি ঠাকুর রবিদ্রনাথ দেশ প্রেমের অংশ থেকে বাংলাদেশকে ভালো বেসে একটি সংগিত রচিত করেন। এই সংগিত আমার সোনার বাংলা নামে পরিচিত ছিল। উল্লেখ্য কবি ঠাকুর বা রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন বাঙালী এবং বাংলা ভাষার কবি। সেই সাথে তাকে তখন বিশ্ব কবি বলেও উল্লেখ করা হয়।
এই আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি পরবর্তিতে বাংলাদেশের জাতিয় সংগাীত হিসেবে ধারন করা হয়। এখনো পর্যন্ত সেই আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি রবিন্দ্র সংগীত কে ই বাঙালীর জাতিয় সংগীত হিসেবে বিবেচিত। তবে বার বার এটি পরিবর্তনের দাবী উঠেছিল।
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি বা জাতিয় সংগীত
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালো বাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রানে বাজায় বাঁশি।
ও-মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রানে- পাগল করে,
মরি হায় হায় রে-
ওমা অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি দেখেছি মধুর হাসি।
কি সোভা, কি ছায়া গো, কি স্নেহ, কি মায়া গো-
কি আঁচল বিছায়েছ বটের মুলে, নদীর কুলে কুলে।
মা, তোর মুখের বানী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায় হায় রে-
মা তোর বদন খানি মলিন হলে, ওমা আমি নয়ন জলে ভাসি।
এই টুকু গানের সাথে গাওয়ার সুবিধা বা সুর যুক্ত করলে, কয়েকটি লাইন ২ বার যুক্ত হয়ে থাকে, সেগুলো আপনারা নিচের ভিডিওটা চালু করলেই দেখতে পারবেন।
আমার সোনার বাংলা গানের ইতিহাস
১৯০৬ সালে বিশ্ব কবি রবিন্দ্রনাথ এই সংগিত রচিত করে। এই সংগীত বিশ শতকের প্রথম ২ দশকে, দেশের গান হিসেবে অত্যান্ত জনপ্রিয় ছিল।
১৯৭১ সালের বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই গানটি আবার উত্তেজনায় পরে। ঘটনা ক্রমে ইন্টারনেট থেকে পাওয়া সুত্রে যানা যায়, এই গানটি ১৯৭১ সালে ৩ জানুয়ারী ঢাকার পল্টন ময়দানে ছাত্র লীগ ও শ্রমিক লীগের আয়োজীত একটি অনুষ্ঠানে এটি পরিবেশন করা হয়েছিল।
ঢাকার রেসকোর্স ময়দান বা বর্তমান সোহরাওয়ার্দী ময়দানে ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সাধীনতা গামী ভাষন চলাকালীন ও এটি গাওয়ার বিশেষ তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
আরো তথ্য ইন্টারনেট থেকে পাওয়া যায়, এটি মুক্তিযুদ্ধ চলা কালীন সময়ে দেশের গানগুলো বেতারের মাধ্যমে প্রচার করা হতো, সেখানে এই গানটিও নিয়মিত প্রচার করা হতো।
পরবর্তি সময়ে আওয়ামীলীগ সরকার রাজনৈতিক ভাবে এটি দেশের জাতিয় সংগীত হিসেবে সিকৃতি দেয়। যা দেশের মানুষ মেনে নিয়েছে বলে মনে করা হয়। তবে তার পরে বেশ কয়েক বার এটি নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশ্ন জাগে। তার মধ্যে মাদ্রাসার ছাত্রদের এই গান গাওয়াতে হবে এমন কিছু সময় ও পার করতে হয়েছে।
এছাড়াও দেশের একমাত্র জাতিয় সংগীত আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি গান টি ছাড়া আর কোন গানকে সিকৃতি দেওয়া হয় নি। যদিও কবি কাজী নজরুলের অসংখ্য দেশ প্রেমের গান রয়েছে। তার সাথে একটা সময় কবি মুহিব খানের ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি গানটি দ্বিতীয় জাতীয় সংগীত হিসেবে চাইলেও সে ব্যাপারে কোন বিশেষ বিষয়ে পদক্ষেপ দেখা যায় নি। উল্লেখ্য বিশ্বের উন্নত কিছু দেশে ২ টি জাতীয় সংগীত ব্যবহারের বিষয়টা দেখা যায়।
জাতীয় সংগীত লিরিক্স
যেহেতু এটি একটি গান বা সংগীত তাই সুধু লেখা থেকে এটি সম্পুর্ন ভাবে উপভোগ করা সম্ভব নয়। এজন্য দেশের অন্যতম সংগীত শিল্পি জেমস এর কন্ঠে সুনতে পারেন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বা আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালো বাসি গান টি।