হংকং গিয়েই অনুশীলনে নামছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। তবে লম্বা ভ্রমণের ক্লান্তি থাকায় প্রথম দিনে খেলোয়াড়রা শুধু হালকা রিকোভারি সেশনই করল। ঘরের মাঠে যে ভুল কইরা হেরেছিল, সেই ভুল আর কইরা বসতে চায় না কেউ। এই ম্যাচটা একরকম “ডু অর ডাই” — জিতলেই এশিয়ান কাপের আশা টিকবে, না হলে সব শেষ।
হংকং-চায়নার বিপক্ষে আগের ম্যাচের হার দেইখা অনেকে হয়তো বাংলাদেশের উপর বাজি ধরতে ভয় পাইতেছে। তবুও দলটা হংকং শহরে গিয়েছে সমর্থকদের হারানো ভরসা ফেরানোর প্রতিজ্ঞা নিয়া। এশিয়ান কাপ খেলার আশা যতটুকুই বাঁচে আছে, সেইটারে আঁকড়ে ধইরা নতুন ইতিহাস গড়ার মানসিকতা নিয়েই লড়তে নামবে ছেলেরা।
একদিনের মাথায়ই অনুশীলন শুরু করলেও, প্রথম দিনটা ছিল শরীর হালকা করা আর ফিটনেস ঠিক রাখার সেশন। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা চায়, ইনজুরির ঝুঁকি না নিয়া খেলোয়াড়রা যেন রিফ্রেশ হয়ে মাঠে নামতে পারে।
তিনি কইলেন,
আমরা অনেক দূর ভ্রমণ কইরা আইছি। তার আগের দিনও ভারি ম্যাচ খেলছি। এখন বিশ্রামই দরকার সবচেয়ে বেশি। বিশ্রাম না নিলে ইনজুরির ভয় থাকে — সেই ঝুঁকি নিতে চাই না।”
ঘরের মাঠে ইনজুরির কারণে সেরা একাদশ দিতে পারেন নাই কাবরেরা। তবে সুখবর হইল, তপু বর্মণ এখন পুরোপুরি ফিট। তিনি প্রথম মিনিট থেইকেই মাঠে নামতে রাজি, আর প্রতিজ্ঞা কইরা রাখছে—আগের ভুলগুলা আর হইবে না।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একমাত্র পয়েন্টটা কিন্তু বিদেশের মাঠ থেইকেই আইছে। দুই ম্যাচ পর আবার অ্যাওয়ে ম্যাচ, তাই সবাইর ভাবনা—যদি ওরা পারে, বাংলাদেশ কেন পারবে না?
হংকং-চায়নার বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে দলে কিছু পরিবর্তনের সম্ভাবনাও আছে। ঘরের মাঠের ভুল পথ আর ধইরা হাঁটতে চায় না কোচিং স্টাফরাও।