ঘরের মাঠে ৩-৪ গোলে হেরে যাওয়ার পর শুক্রবার হংকং, চায়না রওনা দেয় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সেখানে পৌঁছে শনিবার সকালে হালকা রিকভারি সেশন আর বিকেলে পুরো দমে অনুশীলন করেছে হামজা চৌধুরী, জামাল ভূঁইয়া আর তাদের সঙ্গীরা।
আগামী মঙ্গলবার হংকংয়ের কাই তাক স্পোর্টস গ্রাউন্ডে স্বাগতিকদের বিপক্ষে নামবে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা — এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ফিরতি ম্যাচে।
শনিবার কাই পো স্পোর্টস গ্রাউন্ডে দলটা পুরোপুরি প্রস্তুতি নেয় ম্যাচের জন্য। সুখবর হলো — ডিফেন্ডার তপু বর্মণ এখন একদম ফিট। ঘরের মাঠে আগের ম্যাচে শেষ দিকে বদলি হয়ে নামলেও এবার শুরুর একাদশে খেলার মতো অবস্থায় আছেন। তপু নিজেই বললেন,
আমি এখন একদম সুস্থ। ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় আছি। শতভাগ ফিট আছি।
তবে বাস্তবতা হইল — বাছাই পেরুনোর রাস্তা এখন অনেক কঠিন বাংলাদেশের সামনে। তিন ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের একদম নিচে কাবরেরার দল। তারপরও তপুর চোখে এখনো আশা আছে,
এখনও সুযোগ আছে। আমরা দলগতভাবে খেলতে চাই, ১৪ তারিখের ম্যাচটা জিততে চাই। জয় ছাড়া আর কোনো রাস্তা নাই। আমরা জেতার মনোভাব নিয়েই মাঠে নামব।
ঘরের মাঠে আগের ম্যাচে ড্র করার সুযোগ থাকলেও গোল সমতা ফিরিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আরেকটা গোল খাইয়া বসে বাংলাদেশ। সেই ভুল থেকে শিখে এবার সতর্ক থাকার কথা জানালেন তপু,
ওই ম্যাচটা হারা ছিল একদমই অপ্রত্যাশিত। শেষ দিকে মনোযোগ একটু কমে গেছিল। শেষ আধা মিনিটে গোল খাইছি — ওই সময় আমাদের আরো সেন্সিবল হওয়া দরকার ছিল, ম্যাচ স্লো করা দরকার ছিল। এই জিনিসগুলোই শিখছি আমরা।
ওই ম্যাচের বিশ্লেষণে কোচ কাবরেরা বলেন,
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকে ঠিকমতো মানিয়ে নিতে পারিনি। কিন্তু শেষ ৩০ মিনিটে ছেলেরা অনেক ভালো খেলেছে। শেষ দিকে ছোট একটা ভুলই আমাদের হারিয়েছে।
হারটা ভুলে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন কাবরেরা। এবার প্রতিপক্ষ সেই হংকংই, তবে পরিবেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রায় ৫০ হাজার দর্শকের সামনে খেলতে হবে জামাল ভূঁইয়াদের। কিন্তু বাংলাদেশ কোচ এটাকেই দেখছেন একধরনের উদ্দীপনা হিসেবে,
আমরা এমন পরিবেশে খেলতে অভ্যস্ত। হংকংয়ের এই সুন্দর মাঠে খেলতে মুখিয়ে আছি আমরা।