হামজা আমার দলের খেলোয়াড় হইলে, ওর জায়গা থাকত বেঞ্চেই।’ — এমনটাই কইছেন হংকং চায়নার ব্রিটিশ কোচ অ্যাশলে ওয়েস্টউড। বুধবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা প্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরী বিষয়ে এক প্রশ্নে এমন জবাব দিছেন তিনি।
র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ পিছে ৩৮ ধাপ, তবু এই কোচের চোখে র্যাঙ্কিংয়ের দাম তেমন কিছু না। তার ভাষায়, ‘আমি র্যাঙ্কিং নিয়া ভাবি না। দুই দলই এখন উন্নতির রাস্তায় আছে। বাংলাদেশ ১৮ মাস আগেও এই অবস্থায় ছিল না। এখন একটা স্থিরতা পাইছে, কোচ আছে যিনি কিছু দিন ধইরা কাজ কইরা যাইতেছেন। খেলোয়াড়রাও ফুটবল ভালোবাসে। র্যাঙ্কিং আমার কাছে বড় কিছু না।
অ্যাশলে আরো বলেন, ‘আমরা লিচেনস্টাইনের (২০৩ নম্বরে) কাছে হারছিলাম, কিন্তু ওরা ইউরোপে খেলে। তাই র্যাঙ্কিং না, আমরা দেখি কারা প্রতিপক্ষ, কারা মাঠে নামবে। ফুটবলে অনেক কিছুর প্রভাব পড়ে—দর্শক, মাঠ, পরিবেশ, খাবার, এমনকি আবহাওয়াও।’
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠ নিয়েও মুখ খুলছেন এই ব্রিটিশ কোচ। তার কথায়, ‘পিচটা আরো ভালো হইতে পারত। বাংলাদেশ প্রায় প্রতিদিনই এই মাঠে প্র্যাকটিস করছে, যেটা নিয়মের বাইরে। এএফসি ম্যাচের আগে ২-৩ দিন মাঠ ব্যবহার না করাই ভালো, কিন্তু তারা করে গেছে। ফলে মাঠ কিছুটা খারাপ হইছে। তবে আমরা ওটা নিয়ায় মাথা ঘামাই না। দুই দলকেই এই মাঠে নামতে হইব। বাংলাদেশ হয়তো একটু বেশি অভ্যস্ত, কারণ ওরা ৯ দিন ধইরা এখানে অনুশীলন করছে।’
তবে বাংলাদেশের আতিথেয়তায় ভীষণ খুশি এই কোচ। হেসে বললেন, ‘এখানে আসা দারুণ লাগছে। হোটেল, বিমানবন্দর—সব জায়গায় মানুষ এত ভালো আচরণ করছে, মনে হয় নিজের বাড়িতে আছি। আগেও আমি এই অঞ্চলে কাজ করছি—ভারত, বেঙ্গালুরু, মুম্বাই, কলকাতায়। বাংলাদেশকেও আমরা যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি।’
দলের মিডফিল্ডার জয় ইন জেসি ইউও প্রশংসা করতে ভোলেননি। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার বাংলাদেশে আসছি। এখানকার মানুষ খুব আন্তরিক। আতিথেয়তা অসাধারণ। জানি, ঘরের দর্শকরা খেলার জন্য ভীষণ উচ্ছ্বসিত। আমরাও চাই সবাই মিলে একটা দারুণ ম্যাচ উপহার দিতে।
