আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই ২৫০টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। দলীয় হাইকমান্ড ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ করেছে, এবং মাঠে সংগঠনকে আরও সক্রিয় রাখতে দ্রুত সবুজ সংকেত দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে দলটি।
দলের নেতারা জানিয়েছেন, ৮টি বিভাগের মোট ৩০০ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে শেষ হয়। সাক্ষাৎকারে প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সংগঠনের ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে দিকনির্দেশনা পান।
বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলেছেন—ঐক্য বজায় রাখলে যোগ্যদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে, এবং দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যই হবে মূল অস্ত্র। হাইকমান্ডের বার্তা—দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও নেতৃত্বকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে।
অন্যদিকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন—যে প্রার্থী মনোনয়ন পাবেন, তার পক্ষেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেছেন, প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগণের কাছে ধানের শীষের ইতিবাচক ভাবমূর্তি ধরে রাখতে হবে।
দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, “বিভেদ রোধ ও স্বাধীন প্রার্থী হওয়া ঠেকাতে হাইকমান্ড কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”
তিনি বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই ২০০ থেকে ২৫০ জন প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে।
তার ভাষায়, মাঠে দলের উপস্থিতি জোরদার করতেই অধিকাংশ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করছে বিএনপি।
