ব্যাংককের চালেম ফ্রা কিয়াত স্পোর্টস সেন্টারে দ্বিতীয় ফিফা প্রীতি ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গোলরক্ষক রুপনার কয়েকটি অসাধারণ সেভ সত্ত্বেও বিরতিতে যেতে হয়েছে ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকে।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল স্বাগতিক থাইল্যান্ড। দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ পায় তারা—কর্নার থেকে আসা বল পায়ে জড়াতে পারেননি সাওয়ালাক পেঙ্গাম, রিবাউন্ডে ম্যাডিসন ক্যাস্টিনের শট উড়ে যায় বারপারের অনেক ওপরে।
পঞ্চম মিনিটে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। ডিফেন্ডার আফঈদার ভুলে বল কাড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন থাই অধিনায়ক, তবে শেষ মুহূর্তে রুপনা চাকমা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
১২ মিনিটে আর রক্ষা হয়নি। মাঝমাঠ থেকে জিরাপোন মঙলির নিখুঁত পাস পেয়ে ডিফেন্স টপকে একক প্রচেষ্টায় গোল করেন পেঙ্গাম। শামসুন্নাহার ও শিউলি তাঁকে থামাতে পারেননি। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে বাংলাদেশকে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে দেন তিনি।
গোল হজমের পর কিছুটা প্রাণ ফিরে আসে বাংলাদেশের আক্রমণে। তিনটি দ্রুত পাল্টা আক্রমণ তৈরি করলেও ফিনিশিংয়ের ঘাটতিতে সেটি কাজে লাগানো যায়নি।
২৩ মিনিটে অফসাইড ফাঁদ এড়িয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে থাইল্যান্ড। কাঞ্জনাপোর্ন সায়েনখুনের লং পাসে দারুণ নিয়ন্ত্রণে বল ধরে রুপনার মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান ফরোয়ার্ড মংকোলদি।
এর ঠিক এক মিনিট পরই আবারও রক্ষণভাগের ভুলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। তবে এবারও রুপনার উপস্থিত বুদ্ধিতে রক্ষা পায় দল।
২৯ মিনিটে অবশেষে গোলের দেখা পায় লাল-সবুজরা। মারিয়ার কর্নার কিকে শামসুন্নাহার জুনিয়রের হেড পোস্টে লেগে জালে ঢুকে যায়—ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ২-১।
তবে সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩৪ মিনিটে আরেকটি লং পাস থেকে গোল করেন থাইল্যান্ডের ফরোয়ার্ড ম্যাডিসন। এবারও আফঈদা ও শামসুন্নাহার সিনিয়রের ভুলের সুযোগ নেন তিনি।
৪০ মিনিটে আবারও বাংলাদেশ রক্ষণের বড় ভুলে গোল খেতে বসেছিল। অধিনায়ক আফঈদার পায়ের নিচ দিয়ে বল গড়িয়ে যায়, কিন্তু গোললাইন থেকে রুপনার চমৎকার সেভে বেঁচে যায় দল।
প্রথমার্ধ শেষে তাই পিটার বাটলারের শিষ্যদের ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয় ৩-১ গোলের ঘাটতি নিয়ে।
