চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এক পর্যায়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের হাতে। কিন্তু এক সহজ ক্যাচ ছেড়ে দিয়ে সেটির নিয়ন্ত্রণটা হারিয়ে ফেলল টাইগাররা। সুযোগটি কাজে লাগিয়ে রভম্যান পাওয়েল ও শাই হোপের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বড় লড়াইয়ের পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথমে ব্যাট করে ক্যারিবিয়ানরা নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ৩ উইকেটে ১৬৫ রান। শেষদিকে অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে হোপ ও পাওয়েল ৪৬ বলে যোগ করেন ৮৩ রান।
বাংলাদেশের সামনে এবার রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জ। কারণ ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে এত বড় লক্ষ্য তাড়া করে এর আগে কখনও জেতেনি বাংলাদেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপে উইন্ডিজের ১৬৪ রান তাড়া করে জয়ের পর এবার সেটি ছাড়িয়ে যেতে হবে লাল-সবুজদের।
এই ম্যাচটি ছিল রভম্যান পাওয়েলের শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। বিশেষ ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তিনি খেলেন ঝোড়ো ইনিংস—২৮ বলে ৪৪ রান, যাতে ছিল ১টি চার ও ৪টি ছক্কা। অপরপ্রান্তে অধিনায়ক শাই হোপও দারুণ খেলেন, ২৮ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ছিল ধীরগতির। আলিক আথানেজ ও ব্র্যান্ডন কিং ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে মাত্র ৩৫ রান তুলতে পারেন। তাসকিন আহমেদের একটি ওভারেই আসে ১৭ রান। পরে রিশাদ হোসেনের বলে ২৭ বলে ৩৪ রানে আথানেজ বোল্ড হয়ে ফেরেন।
তিন নম্বরে নেমে শুরু থেকেই ইতিবাচক ব্যাটিং করেন হোপ, কিন্তু অপরপ্রান্তে সঙ্গী হারাতে থাকেন একের পর এক। তাসকিনের বলে পরপর দুই বলে আউট হন কিং (৩৩) ও রাদারফোর্ড (০)।
এরপর মাঠে নামেন পাওয়েল। শুরুতে তাল মিলাতে পারেননি—১৮ বলে করেছিলেন মাত্র ৯ রান। কিন্তু এখানেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।
মোস্তাফিজুর রহমানের বলে থার্ডম্যান পজিশনে সহজ ক্যাচটি ছেড়ে দেন তানজিম হাসান সাকিব। সেই জীবন পেয়েই ভয়ংকর রূপ নেন পাওয়েল। শেষ দিকে মোস্তাফিজের এক ওভারে ছক্কা হাঁকান, আর ইনিংসের শেষ ওভারে সাকিবের বলেই টানা তিনটি ছক্কায় দলকে পৌঁছে দেন ১৬৫ রানে। শেষ ১০ বলে করেন অবিশ্বাস্য ৩৫ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল তাসকিন আহমেদ, ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ছিলেন নিয়ন্ত্রিত—৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৫ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৬৫/৩
(আথানেজ ৩৪, কিং ৩৩, হোপ ৪৬, পাওয়েল ৪৪; তাসকিন ২/৩৬, নাসুম ০/১৫)
